৩৭৪৩

পরিচ্ছেদঃ ২. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - প্রশাসনিক কর্মস্থলে কাজ করা এবং তা গ্রহণের দায়িত্বে ভয় করা

৩৭৪৩-[১৩] ইবনু মাওহাব হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ’উসমান ইবনু ’আফফান (রাঃ) ইবনু ’উমার (রাঃ)-কে বললেনঃ আপনি মানুষের মাঝে ইনসাফ কায়িম (বিচারকের দায়িত্ব গ্রহণ) করুন। ইবনু ’উমার(রাঃ) বললেন, হে আমীরুল মু’মিনীন! আপনি আমাকে ক্ষমা করবেন না? ’উসমান(রাঃ) বললেনঃ আপনি এই দায়িত্বকে অপছন্দ করছেন, অথচ আপনার পিতা তো (খলীফাহ্ নিযুক্ত হওয়ার পূর্বেও) বিচার-ফায়সালা করেছেন। ইবনু ’উমার (রাঃ) বললেনঃ আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি, তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি বিচারক নিযুক্ত হয়ে ন্যায়পরায়ণতার সাথে বিচারকার্য পরিচালনা করে তার জন্য এটাই উত্তম যে, সে তা থেকে ন্যায্যভাবে অব্যাহতি লাভ করতে পারে। অতঃপর ’উসমান(রাঃ) ইবনু ’উমার (রাঃ)-কে এ সম্পর্কে আর কিছুই বলেননি। (তিরমিযী)[1]

وَعَنِ ابْنِ مَوْهَبٍ: أَنَّ عُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ لِابْنِ عُمَرَ: اقْضِ بَين النَّاس قَالَ: أَو تعاقبني يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ؟ قَالَ: وَمَا تَكْرَهُ مِنْ ذَلِك وَقد كَانَ أَبوك قَاضِيا؟ قَالَ: لِأَنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «مَنْ كَانَ قَاضِيًا فَقَضَى بِالْعَدْلِ فَبِالْحَرِيِّ أَنْ يَنْقَلِبَ مِنْهُ كَفَافًا» . فَمَا راجعَه بعدَ ذَلِك. رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ

وعن ابن موهب: ان عثمان بن عفان رضي الله عنه قال لابن عمر: اقض بين الناس قال: او تعاقبني يا امير المومنين؟ قال: وما تكره من ذلك وقد كان ابوك قاضيا؟ قال: لاني سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول: «من كان قاضيا فقضى بالعدل فبالحري ان ينقلب منه كفافا» . فما راجعه بعد ذلك. رواه الترمذي

ব্যাখ্যা: অত্র হাদীসটিতে দেখা যাচ্ছে তৃতীয় খলীফা ‘উসমান বিন ‘আফ্ফান তার শাসনামলে দ্বিতীয় খলীফা ‘উমার ইবনুল খত্ত্বাব -এর পুত্র ‘আব্দুল্লাহ বিন ‘উমার (রাঃ)-কে বিচারকার্য গ্রহণের আহবান জানাচ্ছেন অথচ ইবনু ‘উমার (রাঃ) তা বিনয়ের সাথে প্রত্যাখ্যান করছেন। পরক্ষনে ‘উসমান (রাঃ) তাকে বললেন, আপনি কেন বিচারের দায়িত্ব নিতে অস্বীকৃতি জানান অথচ আপনার পিতা এ দায়িত্ব পালন করেছেন। এ প্রশ্নের উত্তরে ইবনু ‘উমার (রাঃ) বললেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি, যারা বিচারক হয় তারা যেন ন্যায়বিচার করে।

(فَبِالْحَرِىِّ أَنْ يَنْقَلِبَ مِنْهُ كَفَافًا) অংশটুকু ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ‘আল্লামা ত্বীবী (রহ) বলেছেনঃ

أَنَّ مَنْ تَرَكَ الْقَضَاءَ وَاجْتَهَدَ فِي تَحَرِّي الْحَقَّ وَاسْتَفْرَغَ جَهْدَه فِيهِ حَقِيقٌ أَنْ لَا يُثَابَ وَلَا يُعَاقَبَ، فَإِذَا كَانَ كَذٰلِكَ، فَأَيُّ فَائِدَةٍ فِي تَوَلِّيهِ.

অর্থাৎ- যারা বিচারপতি হলো, অতঃপর ন্যায়সঙ্গত বিচারের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখলো তাদের এ কাজে কোনো সাওয়াবও নেই গুনাহও নেই। সুতরাং বিষয়টির অবস্থা যখন এরূপ যে, তা গ্রহণে সাওয়াব পাপ কেনটিই নেই। সুতরাং তা গ্রহণে কে রাজী হবে? (মিরকাতুল মাফাতীহ)


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-১৮: প্রশাসন ও বিচারকার্য (كتاب الإمارة والقضاء)