পরিচ্ছেদঃ ২০৮৬. উসমান ইবন আফফান আবু আমর কুরায়শী (রাঃ) এর ফযীলত ও মর্যাদা। নবী করীম (সাঃ) বলেন, রুমা কূপটি যে খনন করে দিবে তার জন্য জান্নাত। উসমান (রাঃ) তা খনন করে দিলেন। নবী (সাঃ) আরো বলেন, যে সংকটপূর্ণ যুদ্ধে (তাবুক যুদ্ধে) যুদ্ধের সাজ-সারাঞ্জামের ব্যবস্থা করবে তার জন্য জান্নাত। উসমান (রাঃ) তা করে দেন।
৩৪৩৩। মূসা ইবনু ইসমাঈল (রহঃ) ... উসমান ইবনু মাওহাব (রহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, জনৈক মিসরবাসী মক্কায় এসে হাজ্জ (হজ্জ) সম্পাদন করে দেখতে পেল যে, কিছু সংখ্যক লোক একত্রে বসে আছে। সে বলল, এ লোকজন কারা? তাকে জানানো হল এরা কুরাইশ বংশের লোকজন। সে বলল, তাদের মধ্যে ঐ শায়েখ ব্যাক্তিটি কে? তারা বললেন, ইনি আবদুল্লাহ ইবনু উমর (রাঃ)। সে ব্যাক্তি (তাঁর নিকট এসে) বলল, হে আবদুল্লাহ ইবনু উমর (রাঃ), আমি আপনাকে একটি বিষয় সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করব; আপনি আমাকে বলুন, (১) আপনি কি এটা জানেন যে, উসমান (রাঃ) উহুদ যুদ্ধ (চলাকালে) যুদ্ধক্ষেত্র থেকে পালিয়ে গিয়েছিলেন। তিনি উত্তর দিলেন, হ্যাঁ। (২) সে বলল, আপনি জানেন কি উসমান (রাঃ) বদর যুদ্ধে অনুপস্থিত ছিলেন? ইবনু উমর (রাঃ) উত্তরে বললেন, হ্যাঁ। (৩) আপনি জানেন কি বায়’আতে রিযওয়ানে তিনি অনুপস্থিত ছিলেন? ইবনু উমর (রাঃ) বললেন, হ্যাঁ। লোকটি বলে উঠল, আল্লাহু আকবার। ইবনু উমর (রাঃ) তাকে বললেন, এস, তোমাকে প্রকৃত ঘটনা বলে দেই।
উসমান (রাঃ)-এর উহুদ যুদ্ধ থেকে পালিয়ে যাওয়া সম্পর্কে আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ তাঁকে মাফ করে দিয়েছেন ও ক্ষমা করে দিয়েছেন। (কুরআনে কারীমে এ বিষয়ে উল্লেখ আছে) আর তিনি বদর যুদ্ধে এজন্য অনুপস্থিত ছিলেন যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কন্যা তাঁর স্ত্রী [রোকাইয়া (রাঃ)] রোগগ্রস্ত ছিলেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁকে বললেন, বদরে অংশ গ্রহণকারী ব্যাক্তির সমপরিমাণ সাওয়াব ও গণীমতের অংশ মিলবে। আর বায়’আত রিযওয়ান থেকে তাঁর অনুপস্থিতির কারণ হল, মক্কার বুকে তাঁর [উসমান (রাঃ)] চেয়ে সম্ভ্রান্ত, অন্য কেউ যদি থকতো তবে তাকেই তিনি উসমানের পরিবর্তে পাঠাতেন। অতঃপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উসমান (রাঃ) কে মক্কায় প্রেরেণ করেন। এবং তাঁর চলে যাওয়ার পর বায়’আতে রিযওয়ান অনুষ্ঠিত হয়। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর ডান হাতের প্রতি ঈঙ্গিত করে বললেন, এটি উসমানের হাত। তারপর ডান বাম হাতে স্থাপন করে বললেন যে, এ হল উসমানের বায়’আত। ইবনু উমর (রাঃ) ঐ (মিসরীয়) লোকটিকে বললেন, তুমি এস এই জবাব নিয়ে যাও।
باب مَنَاقِبُ عُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ أَبِي عَمْرٍو الْقُرَشِيِّ رضى الله عنه وَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ يَحْفِرْ بِئْرَ رُومَةَ فَلَهُ الْجَنَّةُ». فَحَفَرَهَا عُثْمَانُ. وَقَالَ: «مَنْ جَهَّزَ جَيْشَ الْعُسْرَةِ فَلَهُ الْجَنَّةُ». فَجَهَّزَهُ عُثْمَانُ
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، حَدَّثَنَا عُثْمَانُ ـ هُوَ ابْنُ مَوْهَبٍ ـ قَالَ جَاءَ رَجُلٌ مَنْ أَهْلِ مِصْرَ حَجَّ الْبَيْتَ فَرَأَى قَوْمًا جُلُوسًا، فَقَالَ مَنْ هَؤُلاَءِ الْقَوْمُ قَالَ هَؤُلاَءِ قُرَيْشٌ. قَالَ فَمَنِ الشَّيْخُ فِيهِمْ قَالُوا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ. قَالَ يَا ابْنَ عُمَرَ إِنِّي سَائِلُكَ عَنْ شَىْءٍ فَحَدِّثْنِي هَلْ تَعْلَمُ أَنَّ عُثْمَانَ فَرَّ يَوْمَ أُحُدٍ قَالَ نَعَمْ. قَالَ تَعْلَمُ أَنَّهُ تَغَيَّبَ عَنْ بَدْرٍ وَلَمْ يَشْهَدْ قَالَ نَعَمْ. قَالَ تَعْلَمُ أَنَّهُ تَغَيَّبَ عَنْ بَيْعَةِ الرُّضْوَانِ فَلَمْ يَشْهَدْهَا قَالَ نَعَمْ. قَالَ اللَّهُ أَكْبَرُ. قَالَ ابْنُ عُمَرَ تَعَالَ أُبَيِّنْ لَكَ أَمَّا فِرَارُهُ يَوْمَ أُحُدٍ فَأَشْهَدُ أَنَّ اللَّهَ عَفَا عَنْهُ وَغَفَرَ لَهُ، وَأَمَّا تَغَيُّبُهُ عَنْ بَدْرٍ، فَإِنَّهُ كَانَتْ تَحْتَهُ بِنْتُ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَكَانَتْ مَرِيضَةً، فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِنَّ لَكَ أَجْرَ رَجُلٍ مِمَّنْ شَهِدَ بَدْرًا وَسَهْمَهُ ". وَأَمَّا تَغَيُّبُهُ عَنْ بَيْعَةِ الرُّضْوَانِ فَلَوْ كَانَ أَحَدٌ أَعَزَّ بِبَطْنِ مَكَّةَ مِنْ عُثْمَانَ لَبَعَثَهُ مَكَانَهُ فَبَعَثَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عُثْمَانَ وَكَانَتْ بَيْعَةُ الرُّضْوَانِ بَعْدَ مَا ذَهَبَ عُثْمَانُ إِلَى مَكَّةَ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِيَدِهِ الْيُمْنَى " هَذِهِ يَدُ عُثْمَانَ ". فَضَرَبَ بِهَا عَلَى يَدِهِ، فَقَالَ " هَذِهِ لِعُثْمَانَ ". فَقَالَ لَهُ ابْنُ عُمَرَ اذْهَبْ بِهَا الآنَ مَعَكَ.
Narrated `Uthman:
(the son of Muhib) An Egyptian who came and performed the Hajj to the Ka`ba saw some people sitting. He enquire, "Who are these people?" Somebody said, "They are the tribe of Quraish." He said, "Who is the old man sitting amongst them?" The people replied, "He is `Abdullah bin `Umar." He said, "O Ibn `Umar! I want to ask you about something; please tell me about it. Do you know that `Uthman fled away on the day (of the battle) of Uhud?" Ibn `Umar said, "Yes." The (Egyptian) man said, "Do you know that `Uthman was absent on the day (of the battle) of Badr and did not join it?" Ibn `Umar said, "Yes." The man said, "Do you know that he failed to attend the Ar Ridwan pledge and did not witness it (i.e. Hudaibiya pledge of allegiance)?" Ibn `Umar said, "Yes." The man said, "Allahu Akbar!" Ibn `Umar said, "Let me explain to you (all these three things). As for his flight on the day of Uhud, I testify that Allah has excused him and forgiven him; and as for his absence from the battle of Badr, it was due to the fact that the daughter of Allah's Messenger (ﷺ) was his wife and she was sick then. Allah's Messenger (ﷺ) said to him, "You will receive the same reward and share (of the booty) as anyone of those who participated in the battle of Badr (if you stay with her).' As for his absence from the Ar-Ridwan pledge of allegiance, had there been any person in Mecca more respectable than `Uthman (to be sent as a representative). Allah's Messenger (ﷺ) would have sent him instead of him. No doubt, Allah's Messenger (ﷺ) had sent him, and the incident of the Ar-Ridwan pledge of Allegiance happened after `Uthman had gone to Mecca. Allah's Messenger (ﷺ) held out his right hand saying, 'This is `Uthman's hand.' He stroke his (other) hand with it saying, 'This (pledge of allegiance) is on the behalf of `Uthman.' Then Ibn `Umar said to the man, 'Bear (these) excuses in mind with you.'
পরিচ্ছেদঃ ২১৮১. মহান আল্লাহর বাণীঃ যেদিন দু'দল পরস্পরের সম্মুখীন হয়েছিল সেদিন তোমাদের মধ্য হতে যারা পৃষ্ঠ প্রদর্শন করেছিল, তাদের কোন কৃতকর্মের জন্য শয়তানই তাদের পদস্খলন ঘটিয়েছিল। অবশ্য আল্লাহ তাদের ক্ষমা করে দিয়েছেন। আল্লাহ ক্ষমাপরায়ণ ও পরম সহনশীল (৩ঃ ১৫৫)
৩৭৬৯। আবদান (রহঃ) ... উসমান ইবনু মাওহাব (রহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, হাজ্জ (হজ্জ) পালনের উদ্দেশ্য এক ব্যাক্তি বায়তুল্লায় এসে সেখানে একদল লোককে বসা অবস্থায় দেখতে পেয়ে জিজ্ঞেস করলেন, এসব লোক কারা? তারা বললেন, এরা হচ্ছেন কুরাইশ গোত্রের লোক। লোকটি পুনরায় জিজ্ঞেস করলেন, এ বৃদ্ধ লোকটি কে? উপস্থিত সকলেই বললেন, ইনি হচ্ছেন (আবদুল্লাহ) ইবনু উমর (রাঃ)। তখন লোকটি তাঁর (ইবনু উমর) কাছে গিয়ে বললেন, আমি আপনাকে কিছু কথা জিজ্ঞেস করব, আপনি আমাকে বলে দেবেন কি? এরপর লোকটি বললেন, আমি আপনাকে এই ঘরের মর্যাদার কসম দিয়ে বলছি, উহুদ যুদ্ধের দিন উসমান ইবনু আফফান (রাঃ) পালিয়েছিলেন, এ কথা আপনি জানেন? তিনি বললেন, হ্যাঁ। লোকটি বললেন, তিনি বদরের রণাংগনে অনুপস্থিত ছিলেন, যুদ্ধে অংশগ্রহন করেননি- এ কথাও কি আপনি জানেন? তিনি বললেন, হ্যাঁ। লোকটি পুনরায় বললেন, তিনি বায়আতে রিদওয়ানেও অনুপস্থিত ছিলেন- এ কথাও কি আপনি জানেন? তিনি বললেন, হ্যাঁ। বর্ণনাকারী বলেন, লোকটি তখন আল্লাহু আকবার ধ্বনি উচ্চারণ করল।
তখন ইবনু উমর (রাঃ) বললেন, এসো, এখন আমি তোমাকে সব ব্যপারে অবহিত করছি এবং তোমার প্রশ্নগুলোর উত্তর খুলে বলছি।
(১) উহুদের রনাঙ্গন থেকে তাঁর পালানোর ব্যাপার সম্বন্ধে আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ তাঁকে ক্ষমা করে দিয়েছেন।
(২) বদর যুদ্ধে তাঁর অনুপস্থিত থাকার কারণ হচ্ছে এই যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কন্যা (রুকাইয়া) তাঁর স্ত্রী ছিলেন। তিনি ছিলেন অসুস্থ। তাই তাঁকে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছিলেন, বদর যুদ্ধে অংশগ্রহণকারীদের মত তুমি সওয়াব লাভ করবে এবং গনীমতের অংশ পাবে।
(৩) বাইআতে রিদওয়ান থেকে তাঁর অনুপস্থিত থাকার কারণ হল এই যে, মক্কাবাসীদের নিকট উসমান ইবনু আফফান (রাঃ) থেকে অধিক মর্যাদাসম্পন্ন ব্যাক্তি থাকলে অবশ্যই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে মক্কা পাঠাতেন। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ জন্য উসমান (রাঃ)-কে (মক্কা) পাঠালেন। তাঁর মক্কা গমনের পরই বায়আতে রিদওয়ান সংঘটিত হয়েছিল। তাই (বায়আত গ্রহণের সময়) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর ডান হাতখানা অপর হাতের উপর রেখে বলেছিলেন, এটাই উসমানের হাত।
এরপর তিনি (আবদুল্লাহ ইবনু উমর) বললেন, এই হল উসমান (রাঃ)-এর অনুপস্থিতির মূল কারণ। এখন তুমি যাও এবং এই কথাগুলো মনে গেঁথে রেখো।
باب قَوْلِ اللَّهِ تَعَالَى {إِنَّ الَّذِينَ تَوَلَّوْا مِنْكُمْ يَوْمَ الْتَقَى الْجَمْعَانِ إِنَّمَا اسْتَزَلَّهُمُ الشَّيْطَانُ بِبَعْضِ مَا كَسَبُوا وَلَقَدْ عَفَا اللَّهُ عَنْهُمْ إِنَّ اللَّهَ غَفُورٌ حَلِيم
حَدَّثَنَا عَبْدَانُ، أَخْبَرَنَا أَبُو حَمْزَةَ، عَنْ عُثْمَانَ بْنِ مَوْهَبٍ، قَالَ جَاءَ رَجُلٌ حَجَّ الْبَيْتَ فَرَأَى قَوْمًا جُلُوسًا فَقَالَ مَنْ هَؤُلاَءِ الْقُعُودُ قَالُوا هَؤُلاَءِ قُرَيْشٌ. قَالَ مَنِ الشَّيْخُ قَالُوا ابْنُ عُمَرَ. فَأَتَاهُ فَقَالَ إِنِّي سَائِلُكَ عَنْ شَىْءٍ أَتُحَدِّثُنِي، قَالَ أَنْشُدُكَ بِحُرْمَةِ هَذَا الْبَيْتِ أَتَعْلَمُ أَنَّ عُثْمَانَ بْنَ عَفَّانَ فَرَّ يَوْمَ أُحُدٍ قَالَ نَعَمْ. قَالَ فَتَعْلَمُهُ تَغَيَّبَ عَنْ بَدْرٍ فَلَمْ يَشْهَدْهَا قَالَ نَعَمْ. قَالَ فَتَعْلَمُ أَنَّهُ تَخَلَّفَ عَنْ بَيْعَةِ الرُّضْوَانِ فَلَمْ يَشْهَدْهَا قَالَ نَعَمْ. قَالَ فَكَبَّرَ. قَالَ ابْنُ عُمَرَ تَعَالَ لأُخْبِرَكَ وَلأُبَيِّنَ لَكَ عَمَّا سَأَلْتَنِي عَنْهُ، أَمَّا فِرَارُهُ يَوْمَ أُحُدٍ فَأَشْهَدُ أَنَّ اللَّهَ عَفَا عَنْهُ، وَأَمَّا تَغَيُّبُهُ عَنْ بَدْرٍ فَإِنَّهُ كَانَ تَحْتَهُ بِنْتُ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَكَانَتْ مَرِيضَةً، فَقَالَ لَهُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " إِنَّ لَكَ أَجْرَ رَجُلٍ مِمَّنْ شَهِدَ بَدْرًا وَسَهْمَهُ ". وَأَمَّا تَغَيُّبُهُ عَنْ بَيْعَةِ الرُّضْوَانِ فَإِنَّهُ لَوْ كَانَ أَحَدٌ أَعَزَّ بِبَطْنِ مَكَّةَ مِنْ عُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ لَبَعَثَهُ مَكَانَهُ، فَبَعَثَ عُثْمَانَ، وَكَانَ بَيْعَةُ الرُّضْوَانِ بَعْدَ مَا ذَهَبَ عُثْمَانُ إِلَى مَكَّةَ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم بِيَدِهِ الْيُمْنَى " هَذِهِ يَدُ عُثْمَانَ ". فَضَرَبَ بِهَا عَلَى يَدِهِ فَقَالَ " هَذِهِ لِعُثْمَانَ ". اذْهَبْ بِهَذَا الآنَ مَعَكَ.
Narrated `Uthman bin Mauhab:
A man came to perform the Hajj to (Allah's) House. Seeing some people sitting, he said, "Who are these sitting people?" Somebody said, "They are the people of Quraish." He said, "Who is the old man?" They said, "Ibn `Umar." He went to him and said, "I want to ask you about something; will you tell me about it? I ask you with the respect due to the sanctity of this (Sacred) House, do you know that `Uthman bin `Affan fled on the day of Uhud?" Ibn `Umar said, "Yes." He said, "Do you know that he (i.e. `Uthman) was absent from the Badr (battle) and did not join it?" Ibn `Umar said, "Yes." He said, "Do you know that he failed to be present at the Ridwan Pledge of allegiance (i.e. Pledge of allegiance at Hudaibiya) and did not witness it?" Ibn `Umar replied, "Yes," He then said, "Allahu- Akbar!" Ibn `Umar said, "Come along; I will inform you and explain to you what you have asked. As for the flight (of `Uthman) on the day of Uhud, I testify that Allah forgave him. As regards his absence from the Badr (battle), he was married to the daughter of Allah's Messenger (ﷺ) and she was ill, so the Prophet (ﷺ) said to him, 'You will have such reward as a man who has fought the Badr battle will get, and will also have the same share of the booty.' As for his absence from the Ridwan Pledge of allegiance if there had been anybody more respected by the Meccans than `Uthman bin `Affan, the Prophet would surely have sent that man instead of `Uthman. So the Prophet (ﷺ) sent him (i.e. `Uthman to Mecca) and the Ridwan Pledge of allegiance took place after `Uthman had gone to Mecca. The Prophet raised his right hand saying. 'This is the hand of `Uthman,' and clapped it over his other hand and said, "This is for `Uthman.'" Ibn `Umar then said (to the man), "Go now, after taking this information."
পরিচ্ছেদঃ ৮১. যখন মুহরিম ব্যক্তি শিকার দেখিয়ে দেয়, আর হালাল ব্যক্তি তা শিকার করে
২৮২৯. মাহমুদ ইবন গায়লান (রহঃ) ... উসমান ইবন আবদুল্লাহ ইবন মাওহাব (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আবদুল্লাহকে তার পিতা আবু কাতাদা (রাঃ) থেকে বর্ণনা করতে শুনেছি যে, কয়েকজন সাহাবী এক সফরে ছিলেন। তাদের কেউ কেউ মুহরিম ছিলেন, আর কেউ কেউ মুহরিম ছিলেন না। তিনি বলেন, আমি একটি জংলী গাধা দেখতে পেলাম। আমি আমার ঘোড়ায় আরোহণ করে বর্শ ধারণ করলাম এবং তঁদের সাহায্য চাইলাম। কিন্তু তারা আমাকে সাহায্য করতে অস্বীকার করলেন। তারপর আমি তাদের একজনের নিকট থেকে একটি তীর কেড়ে নিয়ে ঐ গাধাকে আক্রমণ করলাম এবং তাকে ধরে ফেললাম। তারা সকলেই তা খেলেন এবং ভয় করলেন। বর্ণনাকারী বলেনঃ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বললেনঃ তোমরা কি এ ব্যাপারে ইঙ্গিত অথবা সাহায্য করেছিলে ? তারা বললেনঃ না । তিনি বললেন, তাহলে খাও।
إِذَا أَشَارَ الْمُحْرِمُ إِلَى الصَّيْدِ فَقَتَلَهُ الْحَلَالُ
أَخْبَرَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلَانَ قَالَ حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ قَالَ أَنْبَأَنَا شُعْبَةُ قَالَ أَخْبَرَنِي عُثْمَانُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَوْهَبٍ قَالَ سَمِعْتُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ أَبِي قَتَادَةَ يُحَدِّثُ عَنْ أَبِيهِ أَنَّهُمْ كَانُوا فِي مَسِيرٍ لَهُمْ بَعْضُهُمْ مُحْرِمٌ وَبَعْضُهُمْ لَيْسَ بِمُحْرِمٍ قَالَ فَرَأَيْتُ حِمَارَ وَحْشٍ فَرَكِبْتُ فَرَسِي وَأَخَذْتُ الرُّمْحَ فَاسْتَعَنْتُهُمْ فَأَبَوْا أَنْ يُعِينُونِي فَاخْتَلَسْتُ سَوْطًا مِنْ بَعْضِهِمْ فَشَدَدْتُ عَلَى الْحِمَارِ فَأَصَبْتُهُ فَأَكَلُوا مِنْهُ فَأَشْفَقُوا قَالَ فَسُئِلَ عَنْ ذَلِكَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ هَلْ أَشَرْتُمْ أَوْ أَعَنْتُمْ قَالُوا لَا قَالَ فَكُلُوا
Abdullah bin Abi Qatadah narrated from his father that:
they were on a march, somr of them in Ihram and some not in Ihram. He said: "I saw an onager so I mounted my horse and picked up a spear. I asked them to help me but they refused to help me. I snatched a whip from one of them and chased the onager and caught it. They ate of it but they were scared. The prophet was asked about that and he said: 'Did you pint (at it) or help him?' They said, 'No.' He said: Then eat.'"
পরিচ্ছেদঃ ৬২/৭. ‘উসমান ইব্নু আফ্ফান আবূ ‘আমর কুরায়শী (রাঃ)-এর ফযীলত ও মর্যাদা।
৩৬৯৯. ‘উসমান ইবনু মাওহাব (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক মিসরবাসী মক্কা্য় এসে হাজ্জ করে দেখতে পেল যে, কিছু লোক একত্রে বসে আছে। সে বলল, এ লোকজন কারা? তাকে জানানো হল এরা কুরাইশ বংশের লোকজন। সে বলল, তাদের মধ্যে শায়খ কে? তারা বললেন, ইনি ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ)। সে ব্যক্তি (তাঁর নিকট এসে) বলল, হে ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ), আমি আপনাকে একটি বিষয়ে জিজ্ঞেস করব; আপনি আমাকে বলুন, (১) আপনি কি এটা জানেন যে, ‘উসমান (রাঃ) উহুদ যুদ্ধক্ষেত্র হতে পালিয়ে গিয়েছিলেন। তিনি উত্তর দিলেন, হাঁ। (২) সে বলল, আপনি জানেন কি ‘উসমান (রাঃ) বাদার যুদ্ধে অনুপস্থিত ছিলেন? ইবনু ‘উমার (রাঃ) উত্তরে বললেন, হাঁ। (৩) আপনি জানেন কি বায়‘আতে রিযওয়ানে তিনি অনুপস্থিত ছিলেন? ইবনু ‘উমার (রাঃ) বললেন, হাঁ। লোকটি বলে উঠল, আল্লাহু আকবার। ইবনু ‘উমার (রাঃ) তাকে বললেন, এস, তোমাকে আসল ঘটনা বলে দেই। ‘উসমান (রাঃ)-এর উহুদ যুদ্ধ হতে পালিয়ে যাওয়া সম্পর্কে আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ্ তাঁকে মাফ করে দিয়েছেন ও ক্ষমা করেছেন। আর তিনি বাদার যুদ্ধে এজন্য অনুপস্থিত ছিলেন যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কন্যা তাঁর স্ত্রী রোগাক্রান্ত ছিলেন। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁকে বললেন, বাদারে অংশ গ্রহণকারী ব্যক্তির সমপরিমাণ সাওয়াব ও গনীমতের অংশ মিলবে। আর বায়‘আত রিযওয়ান হতে তাঁর অনুপস্থিতির কারণ হল, মক্কার বুকে তাঁর চেয়ে সম্ভ্রান্ত অন্য কেউ যদি থাকতো তবে তাকেই তিনি ‘উসমানের বদলে পাঠাতেন। অতঃপর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ‘উসমান (রাঃ)-কে মক্কা্য় পাঠান।এবং তাঁর চলে যাবার পর বায়‘আতে রিযওয়ান অনুষ্ঠিত হয়। তখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর ডান হাতের প্রতি ঈঙ্গিত করে বললেন, এটি ‘উসমানের হাত। অতঃপর ডান হাত বাম হাতে স্থাপন করে বললেন যে, এ হল ‘উসমানের বায়‘আত। ইবনু ‘উমার (রাঃ) ঐ লোকটিকে বললেন, তুমি এই জবাব তোমার সঙ্গে নিয়ে যাও। (৩১৩০) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৪২৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩৪৩০)
بَابُ مَنَاقِبِ عُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ أَبِيْ عَمْرٍو الْقُرَشِيِّ
حَدَّثَنَا مُوْسَى بْنُ إِسْمَاعِيْلَ حَدَّثَنَا أَبُوْ عَوَانَةَ حَدَّثَنَا عُثْمَانُ هُوَ ابْنُ مَوْهَبٍ قَالَ جَاءَ رَجُلٌ مِنْ أَهْلِ مِصْرَ حَجَّ الْبَيْتَ فَرَأَى قَوْمًا جُلُوْسًا فَقَالَ مَنْ هَؤُلَاءِ الْقَوْمُ فَقَالُوْا هَؤُلَاءِ قُرَيْشٌ قَالَ فَمَنْ الشَّيْخُ فِيْهِمْ قَالُوْا عَبْدُ اللهِ بْنُ عُمَرَ قَالَ يَا ابْنَ عُمَرَ إِنِّيْ سَائِلُكَ عَنْ شَيْءٍ فَحَدِّثْنِيْ هَلْ تَعْلَمُ أَنَّ عُثْمَانَ فَرَّ يَوْمَ أُحُدٍ قَالَ نَعَمْ قَالَ تَعْلَمُ أَنَّهُ تَغَيَّبَ عَنْ بَدْرٍ وَلَمْ يَشْهَدْ قَالَ نَعَمْ قَالَ تَعْلَمُ أَنَّهُ تَغَيَّبَ عَنْ بَيْعَةِ الرِّضْوَانِ فَلَمْ يَشْهَدْهَا قَالَ نَعَمْ قَالَ اللهُ أَكْبَرُ قَالَ ابْنُ عُمَرَ تَعَالَ أُبَيِّنْ لَكَ أَمَّا فِرَارُهُ يَوْمَ أُحُدٍ فَأَشْهَدُ أَنَّ اللهَ عَفَا عَنْهُ وَغَفَرَ لَهُ وَأَمَّا تَغَيُّبُهُ عَنْ بَدْرٍ فَإِنَّهُ كَانَتْ تَحْتَهُ بِنْتُ رَسُوْلِ اللهِ صلى الله عليه وسلم وَكَانَتْ مَرِيْضَةً فَقَالَ لَهُ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم إِنَّ لَكَ أَجْرَ رَجُلٍ مِمَّنْ شَهِدَ بَدْرًا وَسَهْمَهُ وَأَمَّا تَغَيُّبُهُ عَنْ بَيْعَةِ الرِّضْوَانِ فَلَوْ كَانَ أَحَدٌ أَعَزَّ بِبَطْنِ مَكَّةَ مِنْ عُثْمَانَ لَبَعَثَهُ مَكَانَهُ فَبَعَثَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم عُثْمَانَ وَكَانَتْ بَيْعَةُ الرِّضْوَانِ بَعْدَ مَا ذَهَبَ عُثْمَانُ إِلَى مَكَّةَ فَقَالَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم بِيَدِهِ الْيُمْنَى هَذِهِ يَدُ عُثْمَانَ فَضَرَبَ بِهَا عَلَى يَدِهِ فَقَالَ هَذِهِ لِعُثْمَانَ فَقَالَ لَهُ ابْنُ عُمَرَ اذْهَبْ بِهَا الْآنَ مَعَكَ
Narrated `Uthman:
(the son of Muhib) An Egyptian who came and performed the Hajj to the Ka`ba saw some people sitting. He enquire, "Who are these people?" Somebody said, "They are the tribe of Quraish." He said, "Who is the old man sitting amongst them?" The people replied, "He is `Abdullah bin `Umar." He said, "O Ibn `Umar! I want to ask you about something; please tell me about it. Do you know that `Uthman fled away on the day (of the battle) of Uhud?" Ibn `Umar said, "Yes." The (Egyptian) man said, "Do you know that `Uthman was absent on the day (of the battle) of Badr and did not join it?" Ibn `Umar said, "Yes." The man said, "Do you know that he failed to attend the Ar Ridwan pledge and did not witness it (i.e. Hudaibiya pledge of allegiance)?" Ibn `Umar said, "Yes." The man said, "Allahu Akbar!" Ibn `Umar said, "Let me explain to you (all these three things). As for his flight on the day of Uhud, I testify that Allah has excused him and forgiven him; and as for his absence from the battle of Badr, it was due to the fact that the daughter of Allah's Messenger (ﷺ) was his wife and she was sick then. Allah's Messenger (ﷺ) said to him, "You will receive the same reward and share (of the booty) as anyone of those who participated in the battle of Badr (if you stay with her).' As for his absence from the Ar-Ridwan pledge of allegiance, had there been any person in Mecca more respectable than `Uthman (to be sent as a representative). Allah's Messenger (ﷺ) would have sent him instead of him. No doubt, Allah's Messenger (ﷺ) had sent him, and the incident of the Ar-Ridwan pledge of Allegiance happened after `Uthman had gone to Mecca. Allah's Messenger (ﷺ) held out his right hand saying, 'This is `Uthman's hand.' He stroke his (other) hand with it saying, 'This (pledge of allegiance) is on the behalf of `Uthman.' Then Ibn `Umar said to the man, 'Bear (these) excuses in mind with you.'
পরিচ্ছেদঃ ৬৪/১৯. মহান আল্লাহর বাণীঃ
(إِنَّ الَّذِيْنَ تَوَلَّوْا مِنْكُمْ يَوْمَ الْتَقَى الْجَمْعٰنِ لا إِنَّمَا اسْتَزَلَّهُمُ الشَّيْطٰنُ بِبَعْضِ مَا كَسَبُوْا - وَلَقَدْ عَفَا اللهُ عَنْهُمْ ط إِنَّ اللهَ غَفُوْرٌ حَلِيْمٌ ع (155))
যেদিন উভয় দল পরস্পরের সম্মুখীন হয়েছিল, সেদিন তোমাদের মধ্য থেকে যারা ঘুরে দাঁড়িয়েছিল, তারা তো ছিল এমন, যাদের শায়ত্বন পদস্খলন ঘটিয়েছিল তাদের কৃতকর্মের দরুন। অবশ্য আল্লাহ তাদের ক্ষমা করে দিয়েছেন। নিশ্চয় আল্লাহ পরম ক্ষমাশীল, পরম সহনশীল। (আলে ‘ইমরান ৩/১৫৫)
৪০৬৬. ‘উসমান ইবনু মাওহাব (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, হাজ্জ পালনের উদ্দেশে এক ব্যক্তি বাইতুল্লাহয় এসে সেখানে একদল লোককে উপবিষ্ট অবস্থায় দেখে জিজ্ঞেস করলেন, এ উপবিষ্ট লোকগুলো কে? তারা বললেন, এরা হচ্ছেন কুরাইশ গোত্রের লোক। লোকটি আবার জিজ্ঞেস করলেন, এ বৃদ্ধ লোকটি কে? তারা বললেন, ইনি হচ্ছেন ইবনু ‘উমার (রাঃ)। তখন লোকটি তাঁর কাছে গিয়ে বললেন, আমি আপনাকে কিছু কথা জিজ্ঞেস করব, আপনি আমাকে বলে দেবেন কি? এরপর লোকটি বললেন, আমি আপনাকে এই ঘরের সম্মানের কসম দিয়ে বলছি, উহূদের দিন ‘উসমান ইবনু আফফান (রাঃ) পালিয়েছিলেন, এ কথা আপনি কি জানেন? তিনি বললেন, হ্যাঁ। লোকটি বললেন, তিনি বদরে অনুপস্থিত ছিলেন, যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেননি- এ কথাও কি আপনি জানেন? তিনি বললেন, হ্যাঁ। লোকটি আবার বললেন, তিনি বায়আতে রিদওয়ানেও অনুপস্থিত ছিলেন- এ কথাও কি আপনি জানেন? তিনি বললেন, হ্যাঁ। বর্ণনাকারী বলেন, লোকটি তখন আল্লাহু আকবার ধ্বনি উচ্চারণ করল। তখন ইবনু ‘উমার (রাঃ) বললেন, এসো, এখন আমি তোমাকে সব ব্যাপারে জানিয়ে দেই এবং তোমার প্রশ্নগুলোর উত্তর খুলে বলি। (১) উহূদের দিন তাঁর পালানোর ব্যাপার সম্বন্ধে আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ তাঁকে ক্ষমা করে দিয়েছেন। (২) বাদর থেকে তাঁর অনুপস্থিত থাকার কারণ এই যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কন্যা (রুকাইয়া) তাঁর স্ত্রী ছিলেন। তিনি ছিলেন অসুস্থ। তাই তাঁকে নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছিলেন, বদর যুদ্ধে যোগদানকারীদের মতোই তুমি সাওয়াব পাবে এবং গানীমাতের অংশ পাবে। (৩) বায়‘আতে রিদওয়ান থেকে তাঁর অনুপস্থিতির কারণ হল, মক্কা্ উপত্যকায় ‘উসমান ইবনু আফফান (রাঃ) থেকে অধিক মর্যাদাবান কোন ব্যক্তি থাকলে অবশ্যই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে তাঁর স্থলে মক্কা পাঠাতেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ জন্য ‘উসমান (রাঃ)-কে পাঠালেন। ‘উসমান (রাঃ)-এর মক্কা গমনের পরই বাই‘আতে রিদওয়ান সংঘটিত হয়েছিল। তাই (নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর ডান হাতখানা অপর হাতের উপর রেখে বলেছিলেন, এটাই উসমানের হাত। [1] এরপর তিনি (‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার) বললেন, এই হল ‘উসমান (রাঃ)-এর অনুপস্থিতির কারণ। এখন তুমি এ কথাগুলো তোমার সঙ্গে নিয়ে যাও। [৩১৩০] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৭৬৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩৭৬৬)
بَاب قَوْلِ اللهِ تَعَالَى
عَبْدَانُ أَخْبَرَنَا أَبُوْ حَمْزَةَ عَنْ عُثْمَانَ بْنِ مَوْهَبٍ قَالَ جَاءَ رَجُلٌ حَجَّ الْبَيْتَ فَرَأَى قَوْمًا جُلُوْسًا فَقَالَ مَنْ هَؤُلَاءِ الْقُعُوْدُ قَالُوْا هَؤُلَاءِ قُرَيْشٌ قَالَ مَنْ الشَّيْخُ قَالُوا ابْنُ عُمَرَ فَأَتَاهُ فَقَالَ إِنِّيْ سَائِلُكَ عَنْ شَيْءٍ أَتُحَدِّثُنِيْ قَالَ أَنْشُدُكَ بِحُرْمَةِ هَذَا الْبَيْتِ أَتَعْلَمُ أَنَّ عُثْمَانَ بْنَ عَفَّانَ فَرَّ يَوْمَ أُحُدٍ قَالَ نَعَمْ قَالَ فَتَعْلَمُهُ تَغَيَّبَ عَنْ بَدْرٍ فَلَمْ يَشْهَدْهَا قَالَ نَعَمْ قَالَ فَتَعْلَمُ أَنَّهُ تَخَلَّفَ عَنْ بَيْعَةِ الرِّضْوَانِ فَلَمْ يَشْهَدْهَا قَالَ نَعَمْ قَالَ فَكَبَّرَ قَالَ ابْنُ عُمَرَ تَعَالَ لِأُخْبِرَكَ وَلِأُبَيِّنَ لَكَ عَمَّا سَأَلْتَنِيْ عَنْهُ أَمَّا فِرَارُهُ يَوْمَ أُحُدٍ فَأَشْهَدُ أَنَّ اللهَ عَفَا عَنْهُ وَأَمَّا تَغَيُّبُهُ عَنْ بَدْرٍ فَإِنَّهُ كَانَ تَحْتَهُ بِنْتُ رَسُوْلِ اللهِ صلى الله عليه وسلم وَكَانَتْ مَرِيْضَةً فَقَالَ لَهُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم إِنَّ لَكَ أَجْرَ رَجُلٍ مِمَّنْ شَهِدَ بَدْرًا وَسَهْمَهُ وَأَمَّا تَغَيُّبُهُ عَنْ بَيْعَةِ الرِّضْوَانِ فَإِنَّهُ لَوْ كَانَ أَحَدٌ أَعَزَّ بِبَطْنِ مَكَّةَ مِنْ عُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ لَبَعَثَهُ مَكَانَهُ فَبَعَثَ عُثْمَانَ وَكَانَتْ بَيْعَةُ الرِّضْوَانِ بَعْدَمَا ذَهَبَ عُثْمَانُ إِلَى مَكَّةَ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم بِيَدِهِ الْيُمْنَى هَذِهِ يَدُ عُثْمَانَ فَضَرَبَ بِهَا عَلَى يَدِهِ فَقَالَ هَذِهِ لِعُثْمَانَ اذْهَبْ بِهَذَا الْآنَ مَعَكَ.
Narrated `Uthman bin Mauhab:
A man came to perform the Hajj to (Allah's) House. Seeing some people sitting, he said, "Who are these sitting people?" Somebody said, "They are the people of Quraish." He said, "Who is the old man?" They said, "Ibn `Umar." He went to him and said, "I want to ask you about something; will you tell me about it? I ask you with the respect due to the sanctity of this (Sacred) House, do you know that `Uthman bin `Affan fled on the day of Uhud?" Ibn `Umar said, "Yes." He said, "Do you know that he (i.e. `Uthman) was absent from the Badr (battle) and did not join it?" Ibn `Umar said, "Yes." He said, "Do you know that he failed to be present at the Ridwan Pledge of allegiance (i.e. Pledge of allegiance at Hudaibiya) and did not witness it?" Ibn `Umar replied, "Yes," He then said, "Allahu- Akbar!" Ibn `Umar said, "Come along; I will inform you and explain to you what you have asked. As for the flight (of `Uthman) on the day of Uhud, I testify that Allah forgave him. As regards his absence from the Badr (battle), he was married to the daughter of Allah's Messenger (ﷺ) and she was ill, so the Prophet (ﷺ) said to him, 'You will have such reward as a man who has fought the Badr battle will get, and will also have the same share of the booty.' As for his absence from the Ridwan Pledge of allegiance if there had been anybody more respected by the Meccans than `Uthman bin `Affan, the Prophet would surely have sent that man instead of `Uthman. So the Prophet (ﷺ) sent him (i.e. `Uthman to Mecca) and the Ridwan Pledge of allegiance took place after `Uthman had gone to Mecca. The Prophet raised his right hand saying. 'This is the hand of `Uthman,' and clapped it over his other hand and said, "This is for `Uthman.'" Ibn `Umar then said (to the man), "Go now, after taking this information."
পরিচ্ছেদঃ ১৯. 'উসমান ইবনু আফফান (রাযিঃ)-এর মর্যাদা।
৩৭০৬। উসমান ইবনু আবদুল্লাহ ইবনু মাওহিব (রহঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, এক মিসরবাসী বাইতুল্লাহর হাজ্জ আদায় করে। সে একদল লোককে বসা দেখে বলে, এরা কারা? লোকেরা বলল, এরা কুরাইশ বংশীয়। সে পুনরায় বলে, এই বয়স্ক (শায়খ) লোকটি কে? লোকেরা বলল, ইবনু উমর (রাযিঃ)। সে সময় সে তার নিকটে এসে বলল, আপনাকে আমি কয়েকটি বিষয় প্রশ্ন করব। অতএব আপনি আমাকে (তা) বলুন।
আমি এ বাইতুল্লাহর মর্যাদার শপথ দিয়ে আপনাকে প্রশ্ন করছি, আপনি কি অবহিত আছেন যে, উসমান (রাযিঃ) উহুদ যুদ্ধের দিন (যুদ্ধক্ষেত্র হতে) পলায়ন করেছেন? তিনি বললেন, হ্যাঁ। সে আবার বলল, আপনি কি জানেন, তিনি (হুদাইবিয়ায় অনুষ্ঠিত) বাই’আতুর রিযওয়ানে অনুপস্থিত ছিলেন? তিনি বললেন, হ্যাঁ। সে পুনরায়ও বলল, আপনি কি অবহিত আছেন যে, তিনি বদরের যুদ্ধে অনুপস্থিত ছিলেন এবং তাতে উপস্থিত হননি? তিনি বললেন, হ্যাঁ।
সে বলল, আল্লাহু আকবার। তারপর ইবনু উমার (রাযিঃ) তাকে বললেন, এবার এসো। যেসব বিষয়ে তুমি প্রশ্ন করেছ তা তোমাকে আমি সুস্পষ্টভাবে বুঝিয়ে দেই।
উহুদের দিন তার পলায়নের ঘটনা প্রসঙ্গে আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, তার ঐ ব্যাপারটা ইতোমধ্যেই আল্লাহ তা’আলা ক্ষমা করে দিয়েছেন, সম্পূর্ণভাবে মাফ করেছেন। তারপর বদরের যুদ্ধে তার অনুপস্থিতির কারণ এই যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর মেয়ে (রুকাইয়াহ্) তার সহধর্মিণী ছিলেন (এবং সে সময় তিনি মারাত্মক অসুস্থ ছিলেন)। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বললেনঃ যে লোক বদরের যুদ্ধে যোগদান করেছে তার সমপরিমাণ সাওয়াব ও গানীমাত তুমি পাবে। আর তিনি রুকাইয়ার দেখাশুনা করার জন্য তাকে মদীনাতে থাকারই নির্দেশ দিলেন। আর বাই’আতে রিদওয়ানে তার অনুপস্থিতির কারণ এই যে, মক্কাবাসীদের কাছে উসমান (রাযিঃ)-এর চাইতে বেশি মর্যাদাবান কোন মুসলিম লোক (হুদাইবিয়ায়) উপস্থিত থাকলে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (তার পরিবর্তে) তাকেই প্রেরণ করতেন। তা না থাকাতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উসমান (রাযিঃ)-কেই (মক্কায়) প্রেরণ করলেন। আর উসমান (রাযিঃ)-এর মক্কার অভিমুখে রওয়ানা হয়ে যাওয়ার পর বাই’আতুর রিযওয়ান অনুষ্ঠিত হয়।
বর্ণনাকারী বলেন, (বাই’আতঅনুষ্ঠানকালে)রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার ডান হাতের দিকে ইশারা করে বললেনঃ এটা উসমানের হাত। তারপর তিনি ঐ হাতটি তার অন্য হাতের উপর স্থাপন করে বললেনঃ এটি উসমানের (বাই’আত) তারপর ইবনু উমার (রাযিঃ) লোকটিকে বললেন, এবার তুমি এ ব্যাখ্যা সঙ্গে নিয়ে যাও।
সহীহঃ বুখারী (৯৬৯৮)।
আবূ ঈসা বলেন, হাদীসটি হাসান সহীহ।
حَدَّثَنَا صَالِحُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ عُثْمَانَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَوْهَبٍ، أَنَّ رَجُلاً، مِنْ أَهْلِ مِصْرَ حَجَّ الْبَيْتَ فَرَأَى قَوْمًا جُلُوسًا فَقَالَ مَنْ هَؤُلاَءِ قَالُوا قُرَيْشٌ . قَالَ فَمَنْ هَذَا الشَّيْخُ قَالُوا ابْنُ عُمَرَ . فَأَتَاهُ فَقَالَ إِنِّي سَائِلُكَ عَنْ شَيْءٍ فَحَدِّثْنِي أَنْشُدُكَ اللَّهَ بِحُرْمَةِ هَذَا الْبَيْتِ أَتَعْلَمُ أَنَّ عُثْمَانَ فَرَّ يَوْمَ أُحُدٍ قَالَ نَعَمْ . قَالَ أَتَعْلَمُ أَنَّهُ تَغَيَّبَ عَنْ بَيْعَةِ الرِّضْوَانِ فَلَمْ يَشْهَدْهَا قَالَ نَعَمْ . قَالَ أَتَعْلَمُ أَنَّهُ تَغَيَّبَ يَوْمَ بَدْرٍ فَلَمْ يَشْهَدْ قَالَ نَعَمْ . قَالَ اللَّهُ أَكْبَرُ . فَقَالَ لَهُ ابْنُ عُمَرَ تَعَالَ أُبَيِّنْ لَكَ مَا سَأَلْتَ عَنْهُ أَمَّا فِرَارُهُ يَوْمَ أُحُدٍ فَأَشْهَدُ أَنَّ اللَّهَ قَدْ عَفَا عَنْهُ وَغَفَرَ لَهُ وَأَمَّا تَغَيُّبُهُ يَوْمَ بَدْرٍ فَإِنَّهُ كَانَتْ عِنْدَهُ - أَوْ تَحْتَهُ - ابْنَةُ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لَكَ أَجْرُ رَجُلٍ شَهِدَ بَدْرًا وَسَهْمُهُ " . وَأَمَرَهُ أَنْ يَخْلُفَ عَلَيْهَا وَكَانَتْ عَلِيلَةً وَأَمَّا تَغَيُّبُهُ عَنْ بَيْعَةِ الرِّضْوَانِ فَلَوْ كَانَ أَحَدٌ أَعَزَّ بِبَطْنِ مَكَّةَ مِنْ عُثْمَانَ لَبَعَثَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مَكَانَ عُثْمَانَ بَعَثَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عُثْمَانَ إِلَى مَكَّةَ وَكَانَتْ بَيْعَةُ الرِّضْوَانِ بَعْدَ مَا ذَهَبَ عُثْمَانُ إِلَى مَكَّةَ قَالَ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِيَدِهِ الْيُمْنَى " هَذِهِ يَدُ عُثْمَانَ " . وَضَرَبَ بِهَا عَلَى يَدِهِ فَقَالَ " هَذِهِ لِعُثْمَانَ " . قَالَ لَهُ اذْهَبْ بِهَذَا الآنَ مَعَكَ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
Narrated 'Uthman bin 'Abdullah bin Mawhab:
"A man among the people of Egypt performed Hajj to the House, and saw a group sitting, so he said: 'Who are these?' They said: 'The Quraish.' He said: 'So who is this old man?' They said: 'Ibn 'Umar.' So he went to him and said: 'I will ask you about something, so inform me. I ask you by Allah! By the sanctity of this House! Do you know that 'Uthman fled on the Day of (the battle of) Uhud?' He said: 'Yes.' He said: 'Do you know that he was absent from the Pledge of Ar-Ridwan, that he did not witness it?' He said: 'Yes.' He said: 'Do you know that he was absent on the Day of (the battle of) Badr and did not participate in it?' He said: 'Yes.' So he said: 'Allah is Great' So Ibn 'Umar said to him: 'Come, so I can clarify to you what you have asked about. As for his fleeing on the Day of (the battle of) Uhud, then I bear witness that Allah has pardoned him and forgiven him. As for his being absent on the Day of (the battle of) Badr, then he was married to the daughter of the Messenger of Allah (ﷺ). So the Messenger of Allah (ﷺ) said to him: "You have the reward of a man who participated in (the battle of) Badr, and his share (spoils of war)." [And he ordered him to stay behind with her, as she was ill]. As for his being absent from the Pledge of Ar-Ridwan, then if there was anyone more revered in Makkah than 'Uthman, then the Messenger of Allah (ﷺ) would have sent him instead of 'Uthman. The Messenger of Allah (ﷺ) sent 'Uthman [to Makkah], and the Pledge of Ar-Ridwan was after 'Uthman had departed for Makkah." He said: "So the Messenger of Allah (ﷺ) said with his right hand: "This is the hand of 'Uthman," and he put it upon his own hand, and said: "This is for 'Uthman."' He said to him: "Go now, and take this (clarification) with you."
পরিচ্ছেদঃ ৮. মুহরীমের জন্য শিকার করা হারাম
২৭৪৬-(৬১/...) মুহাম্মাদ ইবনুল মুসান্না ও কাসিম ইবনু যাকারিয়্যা (রহিমাহুমাল্লাহ) ..... উসমান ইবনু ’আবদুল্লাহ ইবনু মাওহাব (রহঃ) থেকে উপরোক্ত সানাদ সূত্রে এ হাদীস বর্ণিত হয়েছে। শায়বানের বর্ণনায় আছে, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞেস করলেন, “তোমাদের কেউ কি তাকে (গাধীটি) আক্রমণ করার জন্য নির্দেশ দিয়েছে অথবা এর প্রতি ইঙ্গিত করেছে?" আর শুবাহ্র বর্ণনায় আছে, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞেস করলেন, “তোমরা কি (শিকারের দিকে) ইঙ্গিত করেছিলে অথবা সাহায্য করেছিলে" অথবা "শিকার করেছিলে"। শু’বাহ বলেন রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ দু’টো বাক্য বলেছেন কিনা তা আমার মনে নেই। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ২৭২৩, ইসলামীক সেন্টার ২৭২২)
باب تَحْرِيمِ الصَّيْدِ لِلْمُحْرِمِ
وَحَدَّثَنَاهُ مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، ح وَحَدَّثَنِي الْقَاسِمُ، بْنُ زَكَرِيَّاءَ حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ، عَنْ شَيْبَانَ، جَمِيعًا عَنْ عُثْمَانَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَوْهَبٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ فِي رِوَايَةِ شَيْبَانَ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " أَمِنْكُمْ أَحَدٌ أَمَرَهُ أَنْ يَحْمِلَ عَلَيْهَا أَوْ أَشَارَ إِلَيْهَا " . وَفِي رِوَايَةِ شُعْبَةَ قَالَ " أَشَرْتُمْ أَوْ أَعَنْتُمْ " . أَوْ " أَصَدْتُمْ " . قَالَ شُعْبَةُ لاَ أَدْرِي قَالَ " أَعَنْتُمْ أَوْ أَصَدْتُمْ " .
This hadith is narrated'on the authority of 'Uthman b. 'Abdullah b. Mauhab with the same chain of transmitters. And in the narration transmitted on the authority of Shaiban (the words are):
" The Messenoer of Allah (ﷺ) said: Did any one of you command him to attack it or point towards it?" And in the narration transmitted by Shu'ba (the words are):" Did you point out or did you help or did you hunt?" Shu'ba said: I do not know whether he said:" Did you help or did you hunt?"
পরিচ্ছেদঃ ২. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - প্রশাসনিক কর্মস্থলে কাজ করা এবং তা গ্রহণের দায়িত্বে ভয় করা
৩৭৪৩-[১৩] ইবনু মাওহাব হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ’উসমান ইবনু ’আফফান (রাঃ) ইবনু ’উমার (রাঃ)-কে বললেনঃ আপনি মানুষের মাঝে ইনসাফ কায়িম (বিচারকের দায়িত্ব গ্রহণ) করুন। ইবনু ’উমার(রাঃ) বললেন, হে আমীরুল মু’মিনীন! আপনি আমাকে ক্ষমা করবেন না? ’উসমান(রাঃ) বললেনঃ আপনি এই দায়িত্বকে অপছন্দ করছেন, অথচ আপনার পিতা তো (খলীফাহ্ নিযুক্ত হওয়ার পূর্বেও) বিচার-ফায়সালা করেছেন। ইবনু ’উমার (রাঃ) বললেনঃ আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি, তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি বিচারক নিযুক্ত হয়ে ন্যায়পরায়ণতার সাথে বিচারকার্য পরিচালনা করে তার জন্য এটাই উত্তম যে, সে তা থেকে ন্যায্যভাবে অব্যাহতি লাভ করতে পারে। অতঃপর ’উসমান(রাঃ) ইবনু ’উমার (রাঃ)-কে এ সম্পর্কে আর কিছুই বলেননি। (তিরমিযী)[1]
وَعَنِ ابْنِ مَوْهَبٍ: أَنَّ عُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ لِابْنِ عُمَرَ: اقْضِ بَين النَّاس قَالَ: أَو تعاقبني يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ؟ قَالَ: وَمَا تَكْرَهُ مِنْ ذَلِك وَقد كَانَ أَبوك قَاضِيا؟ قَالَ: لِأَنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «مَنْ كَانَ قَاضِيًا فَقَضَى بِالْعَدْلِ فَبِالْحَرِيِّ أَنْ يَنْقَلِبَ مِنْهُ كَفَافًا» . فَمَا راجعَه بعدَ ذَلِك. رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ
ব্যাখ্যা: অত্র হাদীসটিতে দেখা যাচ্ছে তৃতীয় খলীফা ‘উসমান বিন ‘আফ্ফান তার শাসনামলে দ্বিতীয় খলীফা ‘উমার ইবনুল খত্ত্বাব -এর পুত্র ‘আব্দুল্লাহ বিন ‘উমার (রাঃ)-কে বিচারকার্য গ্রহণের আহবান জানাচ্ছেন অথচ ইবনু ‘উমার (রাঃ) তা বিনয়ের সাথে প্রত্যাখ্যান করছেন। পরক্ষনে ‘উসমান (রাঃ) তাকে বললেন, আপনি কেন বিচারের দায়িত্ব নিতে অস্বীকৃতি জানান অথচ আপনার পিতা এ দায়িত্ব পালন করেছেন। এ প্রশ্নের উত্তরে ইবনু ‘উমার (রাঃ) বললেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি, যারা বিচারক হয় তারা যেন ন্যায়বিচার করে।
(فَبِالْحَرِىِّ أَنْ يَنْقَلِبَ مِنْهُ كَفَافًا) অংশটুকু ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ‘আল্লামা ত্বীবী (রহ) বলেছেনঃ
أَنَّ مَنْ تَرَكَ الْقَضَاءَ وَاجْتَهَدَ فِي تَحَرِّي الْحَقَّ وَاسْتَفْرَغَ جَهْدَه فِيهِ حَقِيقٌ أَنْ لَا يُثَابَ وَلَا يُعَاقَبَ، فَإِذَا كَانَ كَذٰلِكَ، فَأَيُّ فَائِدَةٍ فِي تَوَلِّيهِ.
অর্থাৎ- যারা বিচারপতি হলো, অতঃপর ন্যায়সঙ্গত বিচারের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখলো তাদের এ কাজে কোনো সাওয়াবও নেই গুনাহও নেই। সুতরাং বিষয়টির অবস্থা যখন এরূপ যে, তা গ্রহণে সাওয়াব পাপ কেনটিই নেই। সুতরাং তা গ্রহণে কে রাজী হবে? (মিরকাতুল মাফাতীহ)
পরিচ্ছেদঃ ৩. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - চুল আঁচড়ানো
৪৪৮০-[৬২] ’উসমান ইবনু ’আবদুল্লাহ ইবনু মাওহাব (রহিমাহুল্লাহ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি (একবার) উম্মু সালামাহ্ (রাঃ)-এর নিকট গেলাম। তখন তিনি আমাদের সম্মুখে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কয়েক গাছি চুল বের করে আনলেন যা (মেহেদী দ্বারা) খিযাব করা ছিল। (বুখারী)[1]
وَعَن عُثْمَانَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَوْهَبٍ قَالَ: دَخَلْتُ عَلَى أُمِّ سَلَمَةَ فَأَخْرَجَتْ إِلَيْنَا شَعْرًا مِنْ شَعْرِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مخضوبا. رَوَاهُ البُخَارِيّ
ব্যাখ্যাঃ ‘উসমান ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ আমি উম্মু সালামাহ্ (রাঃ)-এর গৃহে প্রবশে করি, অতঃপর তিনি আমাদেরকে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর খিযাব করা একটি চুল বের করে দেখান। ইবনু মাজাহ ও আহমাদ উক্ত হাদীসে বৃদ্ধি করে বলেন, মেহেদী এবং কাতাম দ্বারা চুলটি খিযাব করা ছিল। কিন্তু পূর্বে উল্লেখিত আনাস (রাঃ)-এর হাদীসে রয়েছে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কখনো খিযাব করতেন না। অতএব উভয় হাদীসের মধ্যে সামঞ্জস্য বিধান করা যায় এভাবে :
তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর অধিকাংশ অবস্থার দিকে বিবেচনা করে বলেছেন, তিনি খিযাব করতেন না। আর যে হাদীসে খিযাবের কথা বলেছেন যেটা স্বল্পতার ক্ষেত্রে বিবেচনা করা এবং এটাও হতে পারে যে, একটি বাস্তবতার উপর ভিত্তি করে বলা হয়েছে আর অন্যটি রূপক অর্থে বলা হয়েছে।
বাস্তবতা হলো : মাথার চুলের রং পরিবর্তনের কারণ হলো মাথা ব্যথার কারণে মেহেদী ব্যবহার করা অথবা অতিরিক্ত সুগন্ধি ব্যবহার করা। যার ফলে খিযাব মনে হতো। আর রূপক অর্থে বার্ধক্যের শুরুতে চুল লালচে হয়ে যায় যা খিযাবের মতো দেখায়। আমার নিকট গ্রহণযোগ্য মত হচ্ছে খিযাব না করাটা বার্ধক্যের কারণে মাথায় খিযাব লাগানোর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য আর করাটা দাড়িতে কোন কোন চুল পেকে গেলে সে ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। আল্লাহই এ ব্যাপারে ভালো জানেন।
এই মর্মে ইমাম বুখারী (রহিমাহুল্লাহ) ইসমা‘ঈলীর সুত্রে বর্ণনা করেন : উম্মু সালামাহ্ (রাঃ)-এর নিকট নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর দাড়ির একটি চুল ছিল, যাতে মেহেদী এবং কাতামের চিহ্ন ছিল। অতএব এ হাদীসটি উপরোক্ত সম্ভাবনার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। যেমনটি শামায়িল অধ্যায়ে আবূ হুরায়রা কর্তৃক বর্ণিত হয়েছে, তাকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল : নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কি খিযাব করতেন? তিনি উত্তর দেন, হ্যাঁ। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ)
পরিচ্ছেদঃ তৃতীয় অনুচ্ছেদ
৪৫৬৮-[৫৫] ’উসমান ইবনু ’আবদুল্লাহ ইবনু মাওহাব (রহিমাহুল্লাহ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমার পরিবারের লোকেরা পানির একটি পেয়ালা দিয়ে আমাকে উম্মু সালামাহ্ (রাঃ)-এর কাছে পাঠালেন। তখন নিয়ম ছিল, যদি কারো ওপর বদনযর লাগত কিংবা অন্য কোন অসুখ হত তখন উম্মু সালামার কাছে একটি পত্র পাঠিয়ে দিত। তিনি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কিছু পশম মুবারক বের করতেন, যা তিনি একটি রৌপ্য কৌটার মধ্যে রাখতেন। অতঃপর তিনি উক্ত পশম মুবারক পানির মধ্যে ডুবিয়ে দিতেন এবং সে পানিগুলো রোগীকে পান করানো হত। বর্ণনাকারী বলেন, আমি রূপার সে নলটির মধ্যে তাকিয়ে দেখলাম, তাতে (রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর) কয়েকটি লাল বর্ণের পশম রয়েছে। (বুখারী)[1]
الْفَصْلُ الثَّالِثُ
وَعَن عُثْمَانَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَوْهَبٍ قَالَ: أَرْسَلَنِي أَهْلِي إِلَى أُمِّ سَلَمَةَ بِقَدَحٍ مِنْ مَاءٍ وَكَانَ إِذَا أَصَابَ الْإِنْسَانَ عَيْنٌ أَوْ شَيْءٌ بَعَثَ إِلَيْهَا مِخْضَبَهُ فَأَخْرَجَتْ مِنْ شَعْرُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَكَانَتْ تُمْسِكُهُ فِي جُلْجُلٍ مِنْ فِضَّةٍ فَخَضْخَضَتْهُ لَهُ فَشَرِبَ مِنْهُ قَالَ: فَاطَّلَعْتُ فِي الْجُلْجُلِ فَرَأَيْت شَعرَات حَمْرَاء. رَوَاهُ البُخَارِيّ
ব্যাখ্যাঃ (إِذَا أَصَابَ الْإِنْسَانَ عَيْنٌ) অর্থাৎ চোখ লাগা বা বদনযরের কারণে অথবা চোখ উঠার (লালবর্ণ আকার ধারণ করার) কারণে।
(فِي الْجُلْجُلِ) ‘জুলজুল’ বলা হয় সেই ছোট ঘণ্টাকে যা চতুস্পদ জন্তুর গলায় ঝুলিয়ে দেয়া হয়। ‘কামূস’ প্রণেতা বলেন, জুলজুল হলো ছোট ঘণ্টা।
(مِنْ فِضَّةٍ) ‘আল্লামা ত্বীবী (রহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ কা‘বাহ্ ঘরের সম্মান ও মর্যাদা প্রকাশার্থে যেভাবে রেশমী কাপড়ের গেলাফ ব্যবহার করা হয়, তদ্রূপ রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর পশম মুবারককে একটি রোপ্য কোটার ভিতরে রাখা হয়েছিল তার সম্মানার্থে। (فَرَأَيْت شَعرَات حَمْرَاء) অর্থাৎ খিযাব করা তথা মেহেদী করা। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ; ফাতহুল বারী ১০ম খন্ড, হাঃ ৫৮৯৬)
আলোচ্য হাদীসটি হতে বুঝা গেল, চুলে মেহেদী করা রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে প্রমাণিত সুন্নাত। আমাদের সমাজে বহু লোক আছে যারা সাদা দাড়ি ও চুল মেহেদী করে না বরং ঐ অবস্থায়ই রেখে দেয়। এটি সুন্নাত বিরোধী কাজ। কাজেই সাদা দাড়ি মেহেদী দ্বারা রাঙিয়ে লাল করা প্রত্যেক মুসলিমের জন্য জরুরী। [সম্পাদক]
পরিচ্ছেদঃ তৃতীয় অনুচ্ছেদ - উসমান (রাঃ)-এর মর্যাদা ও বৈশিষ্ট্য
৬০৮০-[১২] ’উসমান ইবনু আবদুল্লাহ ইবনু মাওহাব (রহিমাহুল্লাহ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদিন মিসরের এক লোক হজ্জে বায়তুল্লাহর উদ্দেশে (মক্কায়) আসলো। তখন সে সেখানে একদল লোককে উপবিষ্ট দেখে প্রশ্ন করল, এরা কে? লোকেরা বলল, এরা কুরায়শ। সে আবার প্রশ্ন করল, এদের মাঝে এ প্রবীণ বয়স্ক লোক কে? লোকেরা বলল, ’আবদুল্লাহ ইবনু উমার (রাঃ)।
তখন সে বলল, হে ইবনু ’উমার! আমি আপনাকে কিছু কথা জিজ্ঞেস করতে চাই। আপনি আমাকে বলুন আপনি কি জানেন যে, উহুদ যুদ্ধের দিন ’উসমান (রাঃ) (যুদ্ধক্ষেত্র হতে) পলায়ন করেছিলেন? তিনি বললেন, হ্যাঁ। লোকটি আবার প্রশ্ন করল, আপনি কি এটাও জানেন যে, উসমান (রাঃ) বদর যুদ্ধে অনুপস্থিত ছিলেন, যুদ্ধক্ষেত্রে উপস্থিত হননি? তিনি বললেন, হ্যাঁ। লোকটি পুনরায় প্রশ্ন করল, আপনি কি জানেন যে, উসমান (রাঃ) বায়’আতে রিযওয়ান (হুদায়বিয়াতে অনুষ্ঠিত বায়’আত) হতে অনুপস্থিত ছিলেন এবং তাতে যোগদান করেননি। তিনি বললেন, হ্যাঁ। [’উসমান (রাঃ)-এর প্রতি বিদ্বেষীস্বরূপ আনন্দে] সে বলে উঠল, ’আল্ল-হু আকবার’। তখন ইবনু ’উমার (রাঃ) বললেন, এবার আসো। প্রকৃত বিষয়টি তোমাকে বুঝিয়ে দিচ্ছি। উহুদের দিন তাঁর পলায়নের ব্যাপারটি- সে সম্পর্কে আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, তাঁর সে ত্রুটিটি আল্লাহ তা’আলা মাফ করে দিয়েছেন। আর বদর যুদ্ধ হতে তার অনুপস্থিতির ব্যাপার হলো, রাসূলুল্লাহ (সা.) -এর কন্যা রুকাইয়্যাহ্ ছিলেন উসমান (রাঃ) এর স্ত্রী। আর তিনি ছিলেন ঐ সময় রোগশয্যায়। তাই রাসূলুল্লাহ (সা.) ’উসমান-কে বলেছিলেন, এ যুদ্ধে যারা যোগদান করবে, তুমি তাদের সমপরিমাণ পুণ্য লাভ করবে এবং (অনুরূপভাবে) গনীমাতের অংশ হতেও তাদের সমপরিমাণ অংশ তুমি লাভ করবে। আর “বায়’আতে রিযওয়ান” হতে অনুপস্থিতির ব্যাপার হলো মাক্কার অধিবাসীদের কাছে উসমান অপেক্ষা অধিকতর সম্মানিত ব্যক্তি যদি অপর কেউ থাকত, তাহলে রাসূলুল্লাহ (সা.) উসমান (রাঃ)-এর স্থলে নিশ্চয় তাকেই পাঠাতেন। তাই রাসূলুল্লাহ (সা.) উসমান (রাঃ) -কেই পাঠিয়েছিলেন। উসমান (রাঃ) -এর মাক্কায় চলে যাওয়ার পর বায়’আতুর রিযওয়ান সংঘটিত হয়। তখন রাসূলল্লাহ (সা.) আপন ডান হাতের দিকে ইঙ্গিত করে বললেন, এটা ’উসমান-এর হাত। তারপর তিনি সে হাতটি নিজের অপর হাতের উপর রেখে বললেন, ’এটা ’উসমান-এর বায়’আত’।
অতঃপর ইবনু ’উমার (রাঃ) লোকটিকে বললেন, ’এখন তুমি এ বর্ণনা সঙ্গে নিয়ে যাও। কেননা তাতে যাদের ’উসমান (রাঃ) সম্পর্কে ভ্রান্ত ধারণা আছে, তাদের বিভ্রান্তি দূর হয়ে যাবে। আর ’উসমান (রাঃ) সম্পর্কে তোমার ভ্রান্ত বিশ্বাস হতে তোমার কোন উপকারে আসবে না, বরং তা বাতিল বলে গণ্য হবে। (বুখারী)
اَلْفصْلُ الثَّالِثُ (بَاب مَنَاقِب عُثْمَان)
عَنْ عُثْمَانَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَوْهَبٍ قَالَ: جَاءَ رَجُلٌ مِنْ أَهْلِ مِصْرَ يُرِيدُ حَجَّ الْبَيْتِ فَرَأَى قَوْمًا جُلُوسًا فَقَالَ: مَنْ هَؤُلَاءِ الْقَوْمُ؟ قَالُوا: هَؤُلَاءِ قُرَيْشٌ. قَالَ فَمَنِ الشَّيْخُ فِيهِمْ؟ قَالُوا: عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ. قَالَ: يَا ابْنَ عُمَرَ إِنِّي سَائِلُكَ عَنْ شَيْءٍ فَحَدِّثْنِي: هَلْ تَعْلَمُ أَنَّ عُثْمَانَ فَرَّ يَوْمَ أُحُدٍ؟ قَالَ: نَعَمْ. قَالَ: هَلْ تَعْلَمُ أَنَّهُ تَغَيَّبَ عَنْ بَدْرٍ وَلَمْ يَشْهَدْهَا؟ قَالَ: نَعَمْ. قَالَ: هَلْ تَعْلَمُ أَنَّهُ تَغَيَّبَ عَنْ بَيْعَةِ الرِّضْوَانِ فَلَمْ يَشْهَدْهَا؟ قَالَ: نَعَمْ؟ قَالَ: اللَّهُ أَكْبَرُ قَالَ ابْنُ عُمَرَ: تَعَالَ أُبَيِّنْ لَك أما فِراره يَوْم أُحد فأشهدُ أَن اللَّهَ عَفَا عَنْهُ وَأَمَّا تَغَيُّبُهُ عَنْ بَدْرٍ فَإِنَّهُ كَانَتْ تَحْتَهُ رُقَيَّةُ بِنْتُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَكَانَتْ مَرِيضَةً فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّ لَكَ أَجْرَ رَجُلٍ مِمَّنْ شَهِدَ بَدْرًا وَسَهْمَهُ» . وَأَمَّا تَغَيُّبُهُ عَنْ بَيْعَةِ الرِّضْوَانِ فَلَوْ كَانَ أَحَدٌ أَعَزَّ بِبَطْنِ مَكَّةَ مِنْ عُثْمَانَ لَبَعَثَهُ فَبَعَثَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عُثْمَان وَكَانَت بَيْعةُ الرضْوَان بعدَ مَا ذَهَبَ عُثْمَانُ إِلَى مَكَّةَ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِيَدِهِ الْيُمْنَى: «هَذِهِ يَدُ عُثْمَانَ» فَضَرَبَ بِهَا عَلَى يَدِهِ وَقَالَ: «هَذِه لعُثْمَان» . فَقَالَ لَهُ ابْنُ عُمَرَ: اذْهَبْ بِهَا الْآنَ مَعَكَ. رَوَاهُ البُخَارِيّ
رواہ البخاری (3698) ۔
(صَحِيح)
ব্যাখ্যা: (جَاءَ رَجُلٌ مِنْ أَهْلِ مِصْرَ يُرِيدُ حَجَّ الْبَيْتِ) হাফিয ইবনু হাজার (রহিমাহুল্লাহ) এ প্রসঙ্গে বলেন, আমি ব্যক্তির নাম জানি না এবং কোন গোত্র হতে এসেছিল সে গোত্রের নাম কি তাও জানি না।
(وَ قٰتِلُوۡهُمۡ حَتّٰی لَا تَکُوۡنَ فِتۡنَۃٌ) ফিতনাহ্ দূরীভূত না হওয়া পর্যন্ত”- (সূরা আল বাকারাহ ২ : ১৯৩)। উক্ত আয়াতের ব্যাখ্যায় যা বলা হয়েছে তাতে মনে হয় ব্যক্তিটির নাম ছিল 'আলা ইবনু আরার। কিন্তু সূরা আল আনফাল-এর ব্যাখ্যায় বলা প্রশ্নকারী ব্যক্তির নাম ছিল হাকিম।
(قَالَ ابْنُ عُمَرَ: تَعَالَ أُبَيِّنْ لَك) ইবনু উমার (রাঃ) তার উদ্দেশ্য বুঝতে পারলেন কেন সে এ বিষয়টিকে বড় করে দেখছে। তিনটি বিষয়ে ব্যক্তিটি দোষ তুলে ধরল, তাই ইবনু 'উমার (রাঃ) -এর নিকট তিনটি ওযর ব্রেনে উপস্থিত হলো এবং উপস্থাপন করে তার সন্দেহ দূর করল।
১) উহুদ যুদ্ধ হতে পলায়ন করা, আল্লাহ তাকে ক্ষমা করে দিয়েছেন।
২) বদর যুদ্ধ হতে পিছিয়ে থাকা নবী (সা.) -এর আদেশ ছিল। তার জন্য দুটি বিষয় অর্জিত হয়েছে। দুনিয়াতে গনীমাতের অংশ আর পরকালে উত্তম প্রতিদান।
৩) আর বায়'আত থেকে পিছিয়ে থাকার ব্যাপারে নবী (সা.)-এর অনুমতি ছিল। আর 'উসমান (রাঃ) এর জন্য নবী (সা.) -এর হাত উত্তম ছিল তার নিজের হাতের চেয়ে।
(فَإِنَّهُ كَانَتْ تَحْتَهُ رُقَيَّةُ بِنْتُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ) নবী (সা.) যখন বদর যুদ্ধে বের হলেন তখন রুকাইয়্যাহ (রাঃ) অসুস্থ ছিলেন, তাই তার শুশ্রূষা করার জন্য উসমান ও উসামাহ ইবনু যায়দ (রাঃ) কে রেখে যান।
যায়দ ইবনু হারিস (রাঃ), যখন সুসংবাদ নিয়ে পৌছান তখন রুকাইয়্যাহ (রাঃ) মৃত্যুবরণ করেন। তিনি বিশ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন। আর তারপরে তার ছেলে আবদুল্লাহ ৪র্থ হিজরীতে ছয় বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করে।
কারী (রহিমাহুল্লাহ) হাদীসের একটি সারমর্মে বলেন, ইবনু 'উমার (রাঃ) লোকটিকে বলল, 'উসমান (রাঃ) সম্পর্কে তোমার কোন ভ্রান্ত ধারণা থাকবে না যখন আমি যথার্থ উত্তরের মাধ্যমে সুস্পষ্ট বর্ণনা করব।
(وَكَانَت بَيْعةُ الرضْوَان بعدَ مَا ذَهَبَ عُثْمَانُ إِلَى مَكَّةَ) মুসলিমদের মাঝে এ সংবাদ ছড়িয়ে পড়ল যে, মুশরিকরা যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে। তখন মুসলিমরাও যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করল এবং তারা নবী (সা.) - এর হাতে বায়'আত গ্রহণ করল যে, তারা যুদ্ধের ময়দান হতে পলায়ন করবে না।
কেউ কেউ বলেন যে, মুসলিমদের নিকট খবর আসলো ‘উসমান (রাঃ)-কে হত্যা করা হয়েছে। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ, ফাতহুল বারী ৭/৩৬৯৮)