৩৪৪৯

পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ

৩৪৪৯-[৪] মিকদাদ ইবনুল আস্ওয়াদ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, হে আল্লাহর রসূল! আমি যদি পরস্পরে যুদ্ধে কোনো কাফিরের সম্মুখীন হই, আর তরবারি দ্বারা আঘাত করে সে আমার হাত কেটে ফেলে। তারপর সে আমার নিকট থেকে দূরে সরে কোনো গাছের আড়ালে আশ্রয় নিয়ে বলে উঠে, আমি আল্লাহর ওয়াস্তে মুসলিম হয়ে গেছি (অর্থাৎ- ইসলাম কবুল করেছি)। অন্য বর্ণনায় আছে, যখন আমি তাকে হত্যা করতে উদ্যত হই, তখন সে বলে উঠে, ’লা- ইলা-হা ইল্লাল্লা-হ’ (অর্থাৎ- আল্লাহ ছাড়া প্রকৃতপক্ষে কোনো উপাস্য নেই)। অতএব এ সাক্ষ্য দেয়ার পরও কি আমি তাকে হত্যা করতে পারি? তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, তুমি তাকে হত্যা করো না। তিনি (মিকদাদ) বললেন, হে আল্লাহর রসূল! সে তো আমার হাত কেটে ফেলেছে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তুমি তাকে হত্যা করো না। কেননা তুমি যদি তাকে হত্যা কর, তাহলে সে ঐ অবস্থায় পৌঁছে যাবে, যেখানে তুমি তাকে হত্যা করার পূর্বে ছিলে। আর তুমি সে অবস্থায় পৌঁছে যাবে, যেখানে সে ঐ কালিমা পড়ার পূর্বে ছিল। (বুখারী ও মুসলিম)[1]

اَلْفَصْلُ الْأَوَّلُ

وَعَنِ الْمِقْدَادِ بْنِ الْأَسْوَدِ أَنَّهُ قَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ أَرَأَيْتَ إِنْ لَقِيتُ رَجُلًا مِنَ الْكُفَّارِ فَاقْتَتَلْنَا فَضَرَبَ إِحْدَى يَدَيَّ بِالسَّيْفِ فقطعهما ثُمَّ لَاذَ مِنِّي بِشَجَرَةٍ فَقَالَ: أَسْلَمْتُ لِلَّهِ وَفِي رِوَايَةٍ: فَلَمَّا أَهْوَيْتُ لِأَقْتُلَهُ قَالَ: لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ أَأَقْتُلُهُ بَعْدَ أَنْ قَالَهَا؟ قَالَ: «لَا تَقْتُلْهُ» فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّهُ قَطَعَ إِحْدَى يَدَيَّ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَا تَقْتُلْهُ فَإِنْ قَتَلْتَهُ فَإِنَّهُ بِمَنْزِلَتِكَ قَبْلَ أَنْ تَقْتُلَهُ وَإِنَّكَ بِمَنْزِلَتِهِ قَبْلَ أَنْ يَقُولَ كَلِمَتَهُ الَّتِي قَالَ»

وعن المقداد بن الاسود انه قال: يا رسول الله ارايت ان لقيت رجلا من الكفار فاقتتلنا فضرب احدى يدي بالسيف فقطعهما ثم لاذ مني بشجرة فقال: اسلمت لله وفي رواية: فلما اهويت لاقتله قال: لا اله الا الله ااقتله بعد ان قالها؟ قال: «لا تقتله» فقال: يا رسول الله انه قطع احدى يدي فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم: «لا تقتله فان قتلته فانه بمنزلتك قبل ان تقتله وانك بمنزلته قبل ان يقول كلمته التي قال»

ব্যাখ্যা: কালিমাহ্ পড়া তথা ঈমান আনয়ন করার পর কাউকে হত্যা করা হারাম। কালিমাহ্ গ্রহণ করার পূর্বে হত্যা করা যেমন হালাল ছিল ঠিক তেমনি ঈমান আনয়নের কারণে তাকে হত্যা করা হারাম, হত্যাকারী নিহত ব্যক্তির স্থলাভিষিক্ত হবে।

‘আল্লামা কাযী ‘ইয়ায (রহঃ) বলেনঃ যখন কোনো কাফির বলে যে, আমি ইসলাম গ্রহণ করেছি বা আমি মুসলিম, তখন তাকে মুসলিম হিসেবে গণ্য করতে হবে। তাকে হত্যা করা যাবে না। কোনো মুসলিম যখন কোনো কাফিরের সাথে যুদ্ধে লিপ্ত হয় এবং কাফির কর্তৃক আহত হওয়ার পর যদি কাফির মুসলিম হয়ে যায় তখন প্রথম মুসলিম নতুন মুসলিমকে হত্যা করতে পারবে না যে ইতিপূর্বে কাফির ছিল। (মিরকাতুল মাফাতীহ; ফাতহুল বারী ৭ম খন্ড, হাঃ ৪০১৯; শারহে মুসলিম ২য় খন্ড, হাঃ ৯৫; ‘আওনুল মা‘বূদ ৫ম খন্ড, হাঃ ২৬৪১)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ মিকদাম (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-১৬: কিসাস (প্রতিশোধ) (كتاب القصاص)