৩০০৭

পরিচ্ছেদঃ ১৫. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - অনাবাদী জমিন আবাদ করা ও সেচের পালা

৩০০৭-[১৭] ’আয়িশাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। একদিন তিনি বললেন, হে আল্লাহর রসূল! কোন্ জাতীয় জিনিস নিষেধ করা অবৈধ? তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেনঃ পানি, লবণ ও আগুন। তিনি (’আয়িশাহ্) বলেন, আমি আবার জিজ্ঞেস করলাম, এই পানির ব্যাপারটা তো বুঝলাম, কিন্তু লবণ ও আগুনের ব্যাপারটা কি? তখন তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, হে হুমায়রা (’আয়িশাহ্)! যে আগুন দান করেছে সে যেন আগুনে যা কিছু পাক করেছে তার সবটাই দান করেছে, আর যে লবণ দান করেছে সে যেন লবণে যা কিছু সুস্বাদু করেছে তা সবটুকুই দান করেছে। আর যে ব্যক্তি কোনো মুসলিমকে পানি পান করিয়েছে, যেখানে পানি পাওয়া যায় সেখানে, সে যেন একটা ক্রীতদাস মুক্ত করেছে। আর যে ব্যক্তি কোনো মুসলিমকে পানি পান করিয়েছে, যেখানে পানি পাওয়া যায় না সেখানে, সে যেন তাকে জীবনই দান করেছে। (ইবনু মাজাহ)[1]

عَن عَائِشَة أَنَّهَا قَالَتْ: يَا رَسُولَ اللَّهِ مَا الشَّيْءُ الَّذِي لَا يَحِلُّ مَنْعُهُ؟ قَالَ: «الْمَاءُ وَالْمِلْحُ وَالنَّار» قَالَت: قلت: يَا رَسُول الله هَذَا الْمَاءُ قَدْ عَرَفْنَاهُ فَمَا بَالُ الْمِلْحِ وَالنَّارِ؟ قَالَ: «يَا حميراء أَمن أَعْطَى نَارًا فَكَأَنَّمَا تَصَدَّقَ بِجَمِيعِ مَا أَنْضَجَتْ تِلْكَ النَّارُ وَمَنْ أَعْطَى مِلْحًا فَكَأَنَّمَا تَصَدَّقَ بِجَمِيعِ مَا طَيَّبَتْ تِلْكَ الْمِلْحُ وَمَنْ سَقَى مُسْلِمًا شَرْبَةً مِنْ مَاءٍ حَيْثُ يُوجَدُ الْمَاءُ فَكَأَنَّمَا أَعْتَقَ رَقَبَةً وَمَنْ سَقَى مُسْلِمًا شَرْبَةً مِنْ مَاءٍ حَيْثُ لَا يُوجَدُ الْمَاءُ فَكَأَنَّمَا أَحْيَاهَا» . رَوَاهُ ابْنُ مَاجَهْ

عن عاىشة انها قالت: يا رسول الله ما الشيء الذي لا يحل منعه؟ قال: «الماء والملح والنار» قالت: قلت: يا رسول الله هذا الماء قد عرفناه فما بال الملح والنار؟ قال: «يا حميراء امن اعطى نارا فكانما تصدق بجميع ما انضجت تلك النار ومن اعطى ملحا فكانما تصدق بجميع ما طيبت تلك الملح ومن سقى مسلما شربة من ماء حيث يوجد الماء فكانما اعتق رقبة ومن سقى مسلما شربة من ماء حيث لا يوجد الماء فكانما احياها» . رواه ابن ماجه

ব্যাখ্যা: (وَمَنْ أَعْطٰى مِلْحًا فَكَأَنَّمَا تَصَدَّقَ بِجَمِيعِ مَا طَيَّبَتْ تِلْكَ الْمِلْحُ) ত্বীবী (রহঃ) বলেনঃ এখানে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিচক্ষণ পদ্ধতিতে স্পষ্টভাবে উত্তর দিয়েছেন, অর্থাৎ- তুমি তোমার থেকে এ বিষয়টি পরিহার কর এবং লক্ষ্য কর ঐ ব্যক্তির দিকে যে ব্যক্তি এ তুচ্ছ বিষয় হতে নিষেধ করার কারণে তার নিজ থেকে এ অফুরন্ত পুণ্য ছুটে যায় যে ব্যাপারে ব্যক্তি দান করতে অপারগ নয়। আর এ কারণেই রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর উক্তি (طَيَّبَتْ) -এর মাঝে (مِلْحُ)-এর সর্বনাম স্ত্রীলিঙ্গ নিয়েছেন। এর দ্বারা উদ্দেশ্য হলো স্বল্পতা, নগণ্যতা।

(وَمَنْ يَسْقِي مُسْلِمًا شَرْبَةً مِنْ مَاءٍ) জানতে না চাওয়া সত্ত্বেও উত্তরে পানির আলোচনা নিয়ে আসা হয়েছে, এটা মূলত পানির ব্যাপারে ‘আয়িশার জ্ঞানের দাবীকে প্রত্যাখ্যান করার উদ্দেশ্য। অর্থাৎ- তুমি এ ব্যাপারে বিস্তারিতভাবে জান না। এ কারণে আলোচনাতেও পানির কথা পরে নিয়ে এসেছে। (মিরকাতুল মাফাতীহ)


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-১২: ক্রয়-বিক্রয় (ব্যবসা) (كتاب البيوع)