২৭৮২

পরিচ্ছেদঃ ১. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - উপার্জন করা এবং হালাল রুযী অবলম্বনের উপায় সন্ধান করা

২৭৮২-[২৪] ’আব্দুল্লাহ ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তাঁকে একবার কুরআন মাজীদ লেখার মজুরি বা পারিশ্রমিক গ্রহণ করা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে, জবাবে তিনি বললেন, তাতে কোনো দোষ নেই। কারণ তারা তো (কুরআনের) হরফসমূহের নক্সা অঙ্কন করে নিজ হাতের উপার্জন খেয়ে থাকে। (রযীন)[1]

وَعَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا أَنَّهُ سُئِلَ عَنْ أُجْرَةِ كِتَابَةِ الْمُصْحَفِ فَقَالَ: لَا بَأْسَ إِنَّمَا هُمْ مُصَوِّرُونَ وَإِنَّهُمْ إِنَّمَا يَأْكُلُونَ من عمل أَيْديهم. رَوَاهُ رزين

وعن ابن عباس رضي الله عنهما انه سىل عن اجرة كتابة المصحف فقال: لا باس انما هم مصورون وانهم انما ياكلون من عمل ايديهم. رواه رزين

ব্যাখ্যা: (إِنَّمَا هُمْ مُصَوِّرُونَ) ‘‘তারা তো শুধুমাত্র অঙ্কনকারী’’। অর্থাৎ মুসহাফ লেখকগণ শুধুমাত্র কুরআনের অক্ষর অঙ্কন করে আর তা দূষণীয় নয়।

(وَإِنَّهُمْ إِنَّمَا يَأْكُلُونَ مِنْ عَمَلِ أَيْدِيْهِمْ) ‘‘তারা তো শুধুমাত্র তাদের স্বীয় হস্তের উপার্জনই ভক্ষণ করে।’’ আর স্বীয় হস্তের উপার্জন সর্বাধিক উত্তম উপার্জন। ‘আল্লামা ত্বীবী বলেনঃ পাঠ করা এবং পঠিত, লেখা এবং লিখিত এর সবগুলোর সমন্বয়ে হলো কুরআন তথা মুসহাফ। এক্ষেত্রে লেখা ও পাঠ করা এটি হলো মানুষের কর্ম। তাই মুসহাফ লেখা যেহেতু মানুষের কর্ম সেহেতু মুসহাফ লিখে তার পারিশ্রমিক নেয়া বৈধ। (মিরকাতুল মাফাতীহ)


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-১২: ক্রয়-বিক্রয় (ব্যবসা) (كتاب البيوع)