পরিচ্ছেদঃ ১. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - উপার্জন করা এবং হালাল রুযী অবলম্বনের উপায় সন্ধান করা
২৭৮১-[২৩] ’আব্দুল্লাহ ইবনু মাস্’ঊদ হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ অন্যান্য ফরয কাজ আদায়ের সাথে হালাল রুযী-রোজগারের ব্যবস্থা গ্রহণ করাও একটি ফরয। (বায়হাক্বী- শু’আবুল ঈমান)[1]
عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «طَلَبُ كَسْبِ الْحَلَالِ فَرِيضَةٌ بَعْدَ الْفَرِيضَةِ» . رَوَاهُ الْبَيْهَقِيُّ فِي شعب الْإِيمَان
ব্যাখ্যা: (طَلَبُ كَسْبِ الْحَلَالِ فَرِيضَةٌ) ‘‘হালাল উপায়ে উপার্জনের রাস্তা তালাশ করা ফরয।’’ অর্থাৎ নিজের প্রয়োজন মিটানো অথবা অন্যের প্রয়োজন মিটানোর দায়িত্ব যার ওপর অর্পিত তার কর্তব্য হলো হালাল উপায়ে উপার্জন করা। রাস্তা খোঁজে বের করা। অর্থাৎ সুনিশ্চিত হালাল এমন পন্থায় উপার্জন করা যা হালাল হতে পারে, আবার হারাম হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে। এমন সন্দেহজনক পন্থা পরিহার করে নিশ্চিত হালাল পন্থায় উপার্জন করা ফরয।
(بَعْدَ الْفَرِيضَةِ) ‘‘ফরযের পর ফরয’’। অর্থাৎ সালাত, সওম ও হজ্জ/হজ ইত্যাদি ফরয কার্য সম্পাদনের মতো হালাল উপায়ে উপার্জন করাও একটি ফরয কাজ, আর তা অব্যাহতভাবে চলতে থাকবে। হজ্জ/হজ জীবনে মাত্র একবার ফরয, সওম বৎসরে মাত্র এক মাস, কিন্তু হালাল উপার্জন সর্বদাই ফরয। তা কোনো সময়ের সাথে সীমাবদ্ধ নয়। (মিরকাতুল মাফাতীহ)