পরিচ্ছেদঃ যিকরের মজলিসের ফযীলত
(৩৬৯২) মুসলিমের আবূ হুরাইরা (রাঃ) কর্তৃক এক বর্ণনায় আছে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, অবশ্যই আল্লাহর অতিরিক্তি কিছু ভ্রাম্যমান ফিরিশতা আছেন, যাঁরা যিকরের মজলিস খুঁজতে থাকেন। অতঃপর যখন কোন এমন মজলিস পেয়ে যান, যাতে আল্লাহর যিকর হয়, তখন তাঁরা সেখানে বসে যান। তাঁরা পরস্পরকে ডানা দিয়ে ঢেকে নেন। পরিশেষে তাঁদের ও নিচের আসমানের মধ্যবর্তী জায়গা পরিপূর্ণ ক’রে দেন। অতঃপর লোকেরা মজলিস ত্যাগ করলে তাঁরা আসমানে উঠেন। তখন আল্লাহ আযযা অজাল্ল অধিক জানা সত্ত্বেও তাঁদেরকে জিজ্ঞাসা করেন, ’তোমরা কোথা থেকে এলে?’ তাঁরা বলেন, ’আমরা পৃথিবী থেকে আপনার এমন কতকগুলি বান্দার নিকট থেকে এলাম, যারা আপনার তাসবীহ, তাকবীর, তাহলীল ও তাহমীদ পড়ে এবং আপনার নিকট প্রার্থনা করে।’ তিনি বলেন, ’তারা আমার নিকট কী প্রার্থনা করে?’
তাঁরা বলেন, ’তারা আপনার নিকট আপনার জান্নাত প্রার্থনা করে।’ তিনি বলেন, ’তারা কি আমার জান্নাত দেখেছে?’ তাঁরা বলেন, ’না, হে প্রতিপালক!’ তিনি বলেন, ’কেমন হত, যদি তারা আমার জান্নাত দেখত?’ তাঁরা বলেন, ’তারা আপনার নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করে।’ তিনি বলেন, ’তারা আমার নিকট কি থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করে?’ তাঁরা বলেন, ’আপনার জাহান্নাম থেকে, হে প্রতিপালক!’ তিনি বলেন, ’তারা কি আমার জাহান্নাম দেখেছে?’ তাঁরা বলেন, ’না।’ তিনি বলেন, ’কেমন হত, যদি তারা আমার জাহান্নাম দেখত?’ তাঁরা বলেন, ’আর তারা আপনার নিকট ক্ষমা চায়।’ তিনি বলেন, ’আমি তাদেরকে ক্ষমা ক’রে দিলাম, তারা যা প্রার্থনা করে তা দান করলাম এবং যা থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করে, তা থেকে আশ্রয় দিলাম।’ তাঁরা বলেন, ’হে প্রতিপালক! ওদের মধ্যে অমুক পাপী বান্দা এমনি পার হতে গিয়ে তাদের সাথে বসে গিয়েছিল।’ তিনি বলেন, ’আমি তাকেও ক্ষমা ক’রে দিলাম! কারণ তারা সেই সম্প্রদায়, তাদের সাথে যে বসে সেও বঞ্চিত হয় না।’
وَفِي رِوَايَةِ لِمُسلِمٍ عَنْ أَبِي هُرَيرَةَ عَنِ النَّبِيِّ ﷺ قَالَ إِنَّ للهِ مَلاَئِكَةً سَيَّارَةً فُضُلاً يَتَتَبُّعُونَ مَجَالِسَ الذِّكْرِ فَإِذَا وَجَدُوا مَجْلِساً فِيهِ ذِكْرٌ قَعَدُوا مَعَهُمْ وَحَفَّ بَعْضُهُمْ بَعْضاً بِأَجْنِحَتِهِمْ حَتّٰـى يَمْلَؤُوا مَا بَيْنَهُمْ وَبَيْنَ السَّمَاءِ الدُّنْيَا فَإِذَا تَفَرَّقُوا عَرَجُوا وَصَعدُوا إِلَى السَّمَاءِ فَيَسْأَلُهُمْ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ وَهُوَ أَعْلَمُ : مِنْ أَيْنَ جِئْتُمْ ؟ فَيَقُولُونَ : جِئْنَا مِنْ عِنْدِ عِبَادٍ لَكَ فِي الأَرْضِ : يُسَبِّحُونَكَ وَيُكبِّرُونَكَ وَيُهَلِّلُونَكَ وَيَحْمَدُونَكَ وَيَسْألُونَكَ قَالَ : وَمَاذَا يَسْألُونِي ؟ قَالُوا : يَسْألُونَكَ جَنَّتَكَ قَالَ : وَهَلْ رَأَوْا جَنَّتِي؟ قَالُوا : لاَ أَيْ رَبِّ قَالَ : فَكَيْفَ لَوْ رَأَوْا جَنَّتِي؟ قَالُوا : وَيَستَجِيرُونَكَ قَالَ : وَمِمَّ يَسْتَجِيرُونِي؟ قَالُوا : مِنْ نَارِكَ يَا رَبِّ قَالَ: وَهَلْ رَأوْا نَارِي؟ قَالُوا : لاَ قَالَ : فَكَيْفَ لَوْ رَأَوْا نَارِي قَالُوا : وَيَسْتَغفِرُونَكَ؟ فيَقُولُ: قَدْ غَفَرْتُ لَهُمْ وَأَعْطَيْتُهُمْ مَا سَأَلُوا وَأَجَرْتُهُمْ مِمَّا اسْتَجَارُوا قَالَ : فيَقُولُونَ : رَبِّ فِيهِمْ فُلاَنٌ عَبْدٌ خَطَّاءٌ إنَّمَا مَرَّ فَجَلَسَ مَعَهُمْ فيَقُولُ : وَلهُ غَفَرْتُ هُمُ القَومُ لاَ يَشْقَى بِهِمْ جَلِيسُهُمْ