৩৫২০

পরিচ্ছেদঃ সবর (ধৈর্যের) বিবরণ

(৩৫২০) সুহাইব (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ’’তোমাদের পূর্ব যুগে একজন বাদশাহ ছিল এবং তাঁর (উপদেষ্টা) এক যাদুকর ছিল। যাদুকর বার্ধক্যে উপনীত হলে বাদশাহকে বলল যে, ’আমি বৃদ্ধ হয়ে গেলাম তাই আপনি আমার নিকট একটি বালক পাঠিয়ে দিন, যাতে আমি তাকে যাদু-বিদ্যা শিক্ষা দিতে পারি।’ ফলে বাদশাহ তার কাছে একটি বালক পাঠাতে আরম্ভ করল, যাকে সে যাদু শিক্ষা দিত। তার যাতায়াত পথে এক পাদরী বাস করত। যখনই বালকটি যাদুকরের কাছে যেত, তখনই পাদরীর নিকটে কিছুক্ষণের জন্য বসত, তাঁর কথা শুনে তাকে ভাল লাগত। সুতরাং যখনই সে যাদুকরের নিকট যেত, তখনই যাওয়ার সময় সে তাঁর কাছে বসত। যখন সে পাদরীর কাছে আসত, যাদুকর তাকে (তার বিলম্বের কারণে) মারত। ফলে সে পাদরীর নিকটে এর অভিযোগ করল। পাদরী বলল, ’যখন তোমার ভয় হবে যে, যাদুকর তোমাকে মারধর করবে, তখন তুমি বলবে, আমার বাড়ির লোক আমাকে (কোন কাজে) আটকে দিয়েছিল। আর যখন বাড়ির লোকে মারবে বলে আশঙ্কা হবে, তখন তুমি বলবে যে, যাদুকর আমাকে (কোন কাজে) আটকে দিয়েছিল।’

সুতরাং সে এভাবেই দিনপাত করতে থাকল। একদিন বালকটি তার চলার পথে একটি বিরাট (হিংস্র) জন্তুদেখতে পেল। ঐ (জন্তু)টি লোকের পথ অবরোধ ক’রে রেখেছিল। বালকটি (মনে মনে) বলল, ’আজ আমি জানতে পারব যে, যাদুকর শ্রেষ্ঠ না পাদরী?’ অতঃপর সে একটি পাথর নিয়ে বলল, ’হে আল্লাহ! যদি পাদরীর বিষয়টি তোমার নিকটে যাদুকরের বিষয় থেকে পছন্দনীয় হয়, তাহলে তুমি এই পাথর দ্বারা এই জন্তুটিকে মেরে ফেল। যাতে (রাস্তা নিরাপদ হয়) এবং লোকেরা চলাফিরা করতে পারে।’ (এই দু’আ করে) সে জন্তুটাকে পাথর ছুঁড়ল এবং তাকে হত্যা ক’রে দিল। এর পর লোকেরা চলাফিরা করতে লাগল। বালকটি পাদরীর নিকটে এসে ঘটনাটি বর্ণনা করল। পাদরী তাকে বলল, ’বৎস! তুমি আজ আমার চেয়ে উত্তম। তোমার (ঈমান ও একীনের) ব্যাপার দেখে আমি অনুভব করছি যে, শীঘ্রই তোমাকে পরীক্ষায় ফেলা হবে। সুতরাং যখন তুমি পরীক্ষার সম্মুখীন হবে, তখন তুমি আমার রহস্য প্রকাশ ক’রে দিও না।’

আর বালকটি (আল্লাহর ইচ্ছায়) জন্মান্ধত্ব ও কু’রোগ ভাল করত এবং অন্যান্য সমস্ত রোগের চিকিৎসা করত। (এমতাবস্থায়) বাদশাহর জনৈক দরবারী অন্ধ হয়ে গেল। যখন সে বালকটির কথা শুনল, তখন প্রচুর উপঢৌকন নিয়ে তার কাছে এল এবং তাকে বলল যে, ’তুমি যদি আমাকে ভাল করতে পার, তাহলে এ সমস্ত উপঢৌকন তোমার।’ সে বলল, ’আমি তো কাউকে আরোগ্য দিতে পারি না, আল্লাহ তাআলাই আরোগ্য দান ক’রে থাকেন। যদি তুমি আল্লাহর প্রতি ঈমান আনয়ন কর, তাহলে আমি আল্লাহর কাছে দু’আ করব, ফলে তিনি তোমাকে অন্ধত্বমুক্ত করবেন।’ সুতরাং সে তার প্রতি ঈমান আনল। ফলে আল্লাহ তাআলা তাকে আরোগ্য দান করলেন। তারপর সে পূর্বেকার অভ্যাস অনুযায়ী বাদশাহর কাছে গিয়ে বসল। বাদশাহ তাকে বলল, ’কে তোমাকে চোখ ফিরিয়ে দিল?’ সে বলল, ’আমার প্রভু!’ সে বলল, ’আমি ব্যতীত তোমার অন্য কেউ প্রভু আছে?’ সে বলল, ’আমার প্রভু ও আপনার প্রভু হচ্ছেন আল্লাহ।’ বাদশাহ তাকে গ্রেপ্তার করল এবং তাকে ততক্ষণ পর্যন্ত শাস্তি দিতে থাকল, যতক্ষণ পর্যন্ত না সে ঐ (চিকিৎসক) বালকের কথা বলে দিল। অতএব তাকে (বাদশার দরবারে) নিয়ে আসা হল। বাদশাহ তাকে বলল, ’বৎস! তোমার কৃতিত্ব ঐ সীমা পর্যন্ত পৌঁছে গেছে যে, তুমি জন্মান্ধ ও কুষ্ঠরোগীকে আরোগ্য দান করছ এবং আরো অনেক কিছু করছ।’ বালকটি বলল, ’আমি কাউকে আরোগ্য দান করি না, আরোগ্য দানকারী হচ্ছেন একমাত্র মহান আল্লাহ।’ বাদশাহ তাকেও গ্রেপ্তার ক’রে ততক্ষণ পর্যন্ত শাস্তি দিতে থাকল, যতক্ষণ পর্যন্ত না সে ঐ পাদরীর কথা বলে দিল।

অতঃপর পাদরীকেও (তার কাছে) নিয়ে আসা হল। পাদরীকে বলা হল যে, ’তুমি নিজের ধর্ম থেকে ফিরে যাও।’ কিন্তু সে অস্বীকার করল। ফলে তার মাথার সিঁথিতে করাত রাখা হল। করাতটি তাকে (চিরে) দ্বিখণ্ডিত ক’রে দিল; এমনকি তার দুই ধার (মাটিতে) পড়ে গেল। তারপর বাদশাহর দরবারীকে নিয়ে আসা হল এবং তাকে বলা হল যে, ’তোমার ধর্ম পরিত্যাগ কর।’ কিন্তু সে ও (বাদশার কথা) প্রত্যাখান করল। ফলে তার মাথার সিঁথিতে করাত রাখা হল। তা দিয়ে তাকে (চিরে) দ্বিখণ্ডিত ক’রে দিল; এমনকি তার দুই ধার (মাটিতে) পড়ে গেল। তারপর বালকটিকে নিয়ে আসা হল। অতঃপর তাকে বলা হল যে, ’তুমি ধর্ম থেকে ফিরে এস।’ কিন্তু সে ও অসম্মতি জানাল। সুতরাং বাদশাহ তাকে তার কিছু বিশেষ লোকের হাতে সঁপে দিয়ে বলল যে, ’একে অমুক পাহাড়ে নিয়ে যাও, তার উপরে তাকে আরোহণ করাও। অতঃপর যখন তোমরা তার চূড়ায় পৌঁছবে (তখন তাকে ধর্ম-ত্যাগের ব্যাপারে জিজ্ঞাসা কর) যদি সে নিজের ধর্ম থেকে ফিরে যায়, তাহলে ভাল। নচেৎ তাকে ওখান থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দাও।’ সুতরাং তারা তাকে নিয়ে গিয়ে পাহাড়ের উপর আরোহণ করল। বালকটি আল্লাহর কাছে দু’আ করল, ’হে আল্লাহ! তুমি আমার জন্য তাদের মুকাবেলায় যে ভাবেই চাও যথেষ্ট হয়ে যাও।’ সুতরাং পাহাড় কেঁপে উঠল এবং তারা সকলেই নীচে পড়ে গেল।

বালকটি হেঁটে বাদশার কাছে উপস্থিত হল। বাদশাহ তাকে জিজ্ঞাসা করল, ’তোমার সঙ্গীদের কী হল?’ বালকটি বলল, ’আল্লাহ তাআলা তাদের মোকাবেলায় আমার জন্য যথেষ্ট হয়েছেন।’

বাদশাহ আবার তাকে তার কিছু বিশেষ লোকের হাতে সঁপে দিয়ে বলল যে, ’একে নিয়ে তোমরা নৌকায় চড় এবং সমুদ্রের মধ্যস্থলে গিয়ে তাকে ধর্মের ব্যাপারে জিজ্ঞাসা কর! যদি সে স্বধর্ম থেকে ফিরে আসে, তাহলে ঠিক আছে। নচেৎ তাকে সমুদ্রে নিক্ষেপ কর।’ সুতরাং তারা তাকে নিয়ে গেল। অতঃপর বালকটি (নৌকায় চড়ে) দু’আ করল, ’হে আল্লাহ! তুমি এদের মোকাবেলায় যেভাবে চাও আমার জন্য যথেষ্ট হয়ে যাও।’ সুতরাং নৌকা উল্টে গেল এবং তারা সকলেই পানিতে ডুবে গেল।

তারপর বালকটি হেঁটে বাদশাহর কাছে এল। বাদশাহ বলল, ’তোমার সঙ্গীদের কী হল?’ বালকটি বলল, ’আল্লাহ তাআলা তাদের মোকাবেলায় আমার জন্য যথেষ্ট হয়ে গেছেন।’ পুনরায় বালকটি বাদশাহকে বলল যে, ’আপনি আমাকে সে পর্যন্ত হত্যা করতে পারবেন না, যে পর্যন্ত না আপনি আমার নির্দেশিত পদ্ধতি অবলম্বন করবেন।’ বাদশাহ বলল, ’তা কি?’ সে বলল, ’আপনি একটি মাঠে লোকজন একত্রিত করুন এবং গাছের গুঁড়িতে আমাকে ঝুলিয়ে দিন। অতঃপর আমার তূণ থেকে একটি তীর নিয়ে তা ধনুকের মাঝে রাখুন, তারপর বলুন, ’’বিসমিল্লাহি রাব্বিল গুলাম!’’ (অর্থাৎ, এই বালকের প্রতিপালক আল্লাহর নামে মারছি।) অতঃপর আমাকে তীর মারুন। এইভাবে করলে আপনি আমাকে হত্যা করতে সফল হবেন।’

সুতরাং (বালকটির নির্দেশানুযায়ী) বাদশাহ একটি মাঠে লোকজন একত্রিত করল এবং গাছের গুঁড়িতে তাকে ঝুলিয়ে দিল। অতঃপর তার তূণ থেকে একটি তীর নিয়ে তা ধনুকের মাঝে রেখে বলল, ’বিসমিল্লাহি রাব্বিল গুলাম!’ (অর্থাৎ, এই বালকের প্রতিপালক আল্লাহর নামে মারছি।) অতঃপর তাকে তীর মারল। তীরটি তার কান ও মাথার মধ্যবর্তী স্থানে (কানমুতোয়) লাগল। বালকটি তার কানমুতোয় হাত রেখে মারা গেল। অতঃপর লোকেরা (বালকটির অলৌকিকতা দেখে) বলল যে, ’আমরা এই বালকটির প্রভুর উপর ঈমান আনলাম।’ বাদশার কাছে এসে বলা হল যে, ’আপনি যার ভয় করছিলেন তাই ঘটে গেছে, লোকেরা (আল্লাহর প্রতি) ঈমান এনেছে।’ সুতরাং সে পথের দুয়ারে গর্ত খুঁড়ার আদেশ দিল। ফলে তা খুঁড়া হল এবং তাতে আগুন জ্বালানো হল। বাদশাহ আদেশ করল যে, ’যে দ্বীন থেকে না ফিরবে তাকে এই আগুনে নিক্ষেপ কর’ অথবা তাকে বলা হল যে, ’তুমি আগুনে প্রবেশ কর।’ তারা তাই করল। শেষ পর্যন্ত একটি স্ত্রীলোক এল। তার সঙ্গে তার একটি শিশু ছিল। সে তাতে পতিত হতে কুণ্ঠিত হলে তার বালকটি বলল, ’আম্মা! তুমি সবর কর। কেননা, তুমি সত্যের উপরে আছ।

وَعَن صُهَيبٍ أنَّ رَسُوْلَ الله ﷺ قَالَ كَانَ مَلِكٌ فيمَنْ كَانَ قَبلَكمْ وَكَانَ لَهُ سَاحِرٌ فَلَمَّا كَبِرَ قَالَ للمَلِكِ : إنِّي قَدْ كَبِرْتُ فَابْعَثْ إلَيَّ غُلاماً أُعَلِّمْهُ السِّحْرَ ؛ فَبَعثَ إِلَيْهِ غُلاماً يُعَلِّمُهُ وَكانَ في طرِيقِهِ إِذَا سَلَكَ رَاهِبٌ فَقَعدَ إِلَيْه وسَمِعَ كَلامَهُ فَأعْجَبَهُ وَكانَ إِذَا أتَى السَّاحِرَ مَرَّ بالرَّاهبِ وَقَعَدَ إِلَيْه فَإذَا أَتَى السَّاحِرَ ضَرَبَهُ فَشَكَا ذلِكَ إِلَى الرَّاهِب فَقَالَ : إِذَا خَشيتَ السَّاحِرَ فَقُلْ : حَبَسَنِي أَهْلِي وَإذَا خَشِيتَ أهلَكَ فَقُلْ : حَبَسَنِي السَّاحِرُ فَبَيْنَما هُوَ عَلَى ذلِكَ إِذْ أَتَى عَلَى دَابَّةٍ عَظِيمَةٍ قَدْ حَبَسَتِ النَّاسَ فَقَالَ : اليَوْمَ أعْلَمُ السَّاحرُ أفْضَلُ أم الرَّاهبُ أفْضَلُ ؟ فَأخَذَ حَجَراً، فَقَالَ : اللَّهُمَّ إنْ كَانَ أمْرُ الرَّاهِبِ أَحَبَّ إِلَيْكَ مِنْ أمْرِ السَّاحِرِ فَاقْتُلْ هذِهِ الدّابَّةَ حَتّٰـى يَمضِيَ النَّاسُ فَرَمَاهَا فَقَتَلَها ومَضَى النَّاسُ فَأتَى الرَّاهبَ فَأَخبَرَهُ فَقَالَ لَهُ الرَّاهبُ : أَيْ بُنَيَّ أَنْتَ اليَومَ أفْضَل منِّي قَدْ بَلَغَ مِنْ أَمْرِكَ مَا أَرَى وَإنَّكَ سَتُبْتَلَى فَإن ابْتُلِيتَ فَلاَ تَدُلَّ عَلَيَّ ؛ وَكانَ الغُلامُ يُبْرىءُ الأكْمَهَ وَالأَبْرصَ ويداوي النَّاسَ مِنْ سَائِرِ الأَدْوَاء فَسَمِعَ جَليسٌ لِلملِكِ كَانَ قَدْ عَمِيَ فأتاه بَهَدَايا كَثيرَةٍ فَقَالَ : مَا ها هُنَا لَكَ أَجْمعُ إنْ أنتَ شَفَيتَنِي فَقَالَ : إنّي لا أشْفِي أحَداً إِنَّمَا يَشفِي اللهُ تَعَالٰـى فَإنْ آمَنْتَ بالله تَعَالٰـى دَعَوتُ اللهَ فَشفَاكَ فَآمَنَ بالله تَعَالٰـى فَشفَاهُ اللهُ تَعَالٰـى فَأَتَى المَلِكَ فَجَلسَ إِلَيْهِ كَما كَانَ يَجلِسُ فَقَالَ لَهُ المَلِكُ : مَنْ رَدّ عَلَيْكَ بَصَرَكَ ؟ قَالَ : رَبِّي قَالَ : وَلَكَ رَبٌّ غَيري ؟ قَالَ : رَبِّي وَرَبُّكَ اللهُ فَأَخَذَهُ فَلَمْ يَزَلْ يُعَذِّبُهُ حَتّٰـى دَلَّ عَلَى الغُلامِ فَجيء بالغُلاَمِ فَقَالَ لَهُ المَلِكُ : أيْ بُنَيَّ قَدْ بَلَغَ مِنْ سِحْرِكَ مَا تُبْرِئُ الأَكْمَهَ وَالأَبْرَصَ وتَفْعَلُ وتَفْعَلُ فَقَالَ : إنِّي لا أَشْفي أحَداً إِنَّمَا يَشفِي الله تَعَالٰـى فَأَخَذَهُ فَلَمْ يَزَلْ يُعَذِّبُهُ حَتّٰـى دَلَّ عَلَى الرَّاهبِ ؛ فَجِيء بالرَّاهبِ فَقيلَ لَهُ : ارجِعْ عَنْ دِينكَ فَأَبَى فَدَعَا بِالمِنْشَارِ فَوُضِعَ المِنْشَارُ في مَفْرق رَأسِهِ فَشَقَّهُ حَتّٰـى وَقَعَ شِقَّاهُ ثُمَّ جِيءَ بِجَليسِ المَلِكِ فقيل لَهُ : ارْجِعْ عَنْ دِينِكَ، فَأَبَى فَوضِعَ المِنْشَارُ في مَفْرِق رَأسِهِ فَشَقَّهُ بِهِ حَتّٰـى وَقَعَ شِقَّاهُ ثُمَّ جِيءَ بالغُلاَمِ فقيلَ لَهُ: ارْجِعْ عَنْ دِينكَ فَأَبَى فَدَفَعَهُ إِلَى نَفَرٍ مِنْ أصْحَابهِ فَقَالَ : اذْهَبُوا بِهِ إِلَى جَبَلِ كَذَا وَكَذَا فَاصْعَدُوا بِهِ الجَبَل فَإِذَا بَلَغْتُمْ ذِرْوَتَهُ فَإِنْ رَجَعَ عَنْ دِينِهِ وَإلاَّ فَاطْرَحُوهُ فَذَهَبُوا بِهِ فَصَعِدُوا بِهِ الجَبَلَ فَقَالَ : اللَّهُمَّ أكْفنيهمْ بِمَا شِئْتَ فَرَجَفَ بهِمُ الجَبلُ فَسَقَطُوا، وَجاءَ يَمشي إِلَى المَلِكِ فَقَالَ لَهُ المَلِكُ : مَا فَعَلَ أصْحَابُكَ ؟ فَقَالَ : كَفَانِيهمُ الله تَعَالٰـى فَدَفَعَهُ إِلَى نَفَرٍ مِنْ أَصْحَابِهِ فَقَالَ: اذْهَبُوا بِهِ فاحْمِلُوهُ في قُرْقُورٍ وتَوَسَّطُوا بِهِ البَحْرَ فَإنْ رَجعَ عَنْ دِينِهِ وإِلاَّ فَاقْذِفُوهُ فَذَهَبُوا بِهِ فَقَالَ : اللَّهُمَّ أكْفِنيهمْ بمَا شِئْتَ فانْكَفَأَتْ بِهمُ السَّفينةُ فَغَرِقُوا وَجَاء يَمْشي إِلَى المَلِكِ فَقَالَ لَهُ المَلِكُ : مَا فعلَ أصْحَابُكَ ؟ فَقَالَ : كَفَانِيهمُ الله تَعَالٰـى فَقَالَ لِلمَلِكِ : إنَّكَ لَسْتَ بِقَاتِلِي حَتّٰـى تَفْعَلَ مَا آمُرُكَ بِهِ قَالَ : مَا هُوَ ؟ قَالَ : تَجْمَعُ النَّاسَ في صَعيدٍ وَاحدٍ وتَصْلُبُني عَلَى جِذْعٍ ثُمَّ خُذْ سَهْماً مِنْ كِنَانَتي ثُمَّ ضَعِ السَّهْمَ في كَبدِ القَوْسِ ثُمَّ قُلْ : بسْم الله ربِّ الغُلاَمِ، ثُمَّ ارْمِني، فَإنَّكَ إِذَا فَعَلْتَ ذلِكَ قَتَلتَني، فَجَمَعَ النَّاسَ في صَعيدٍ واحدٍ وَصَلَبَهُ عَلَى جِذْعٍ ثُمَّ أَخَذَ سَهْماً مِنْ كِنَانَتِهِ ثُمَّ وَضَعَ السَّهْمَ في كَبِدِ القَوْسِ ثُمَّ قَالَ : بِسمِ اللهِ رَبِّ الغُلامِ ثُمَّ رَمَاهُ فَوقَعَ في صُدْغِهِ، فَوَضَعَ يَدَهُ في صُدْغِهِ فَمَاتَ فَقَالَ النَّاسُ : آمَنَّا بِرَبِّ الغُلامِ فَأُتِيَ المَلِكُ فقيلَ لَهُ : أَرَأَيْتَ مَا كُنْتَ تَحْذَرُ قَدْ والله نَزَلَ بكَ حَذَرُكَ قَدْ آمَنَ النَّاسُ فَأَمَرَ بِالأُخْدُودِ بأفْواهِ السِّكَكِ فَخُدَّتْ وأُضْرِمَ فيهَا النِّيرانُ وَقَالَ : مَنْ لَمْ يَرْجعْ عَنْ دِينهِ فَأقْحموهُ فيهَا أَوْ قيلَ لَهُ: اقتَحِمْ فَفَعَلُوا حَتّٰـى جَاءت امْرَأةٌ وَمَعَهَا صَبيٌّ لَهَا فَتَقَاعَسَتْ أنْ تَقَعَ فيهَا، فَقَالَ لَهَا الغُلامُ : يَا أُمَّهْ اصْبِري فَإِنَّكِ عَلَى الحَقِّ رواه مسلم

وعن صهيب ان رسول الله ﷺ قال كان ملك فيمن كان قبلكم وكان له ساحر فلما كبر قال للملك : اني قد كبرت فابعث الي غلاما اعلمه السحر ؛ فبعث اليه غلاما يعلمه وكان في طريقه اذا سلك راهب فقعد اليه وسمع كلامه فاعجبه وكان اذا اتى الساحر مر بالراهب وقعد اليه فاذا اتى الساحر ضربه فشكا ذلك الى الراهب فقال : اذا خشيت الساحر فقل : حبسني اهلي واذا خشيت اهلك فقل : حبسني الساحر فبينما هو على ذلك اذ اتى على دابة عظيمة قد حبست الناس فقال : اليوم اعلم الساحر افضل ام الراهب افضل ؟ فاخذ حجرا، فقال : اللهم ان كان امر الراهب احب اليك من امر الساحر فاقتل هذه الدابة حتـى يمضي الناس فرماها فقتلها ومضى الناس فاتى الراهب فاخبره فقال له الراهب : اي بني انت اليوم افضل مني قد بلغ من امرك ما ارى وانك ستبتلى فان ابتليت فلا تدل علي ؛ وكان الغلام يبرىء الاكمه والابرص ويداوي الناس من ساىر الادواء فسمع جليس للملك كان قد عمي فاتاه بهدايا كثيرة فقال : ما ها هنا لك اجمع ان انت شفيتني فقال : اني لا اشفي احدا انما يشفي الله تعالـى فان امنت بالله تعالـى دعوت الله فشفاك فامن بالله تعالـى فشفاه الله تعالـى فاتى الملك فجلس اليه كما كان يجلس فقال له الملك : من رد عليك بصرك ؟ قال : ربي قال : ولك رب غيري ؟ قال : ربي وربك الله فاخذه فلم يزل يعذبه حتـى دل على الغلام فجيء بالغلام فقال له الملك : اي بني قد بلغ من سحرك ما تبرى الاكمه والابرص وتفعل وتفعل فقال : اني لا اشفي احدا انما يشفي الله تعالـى فاخذه فلم يزل يعذبه حتـى دل على الراهب ؛ فجيء بالراهب فقيل له : ارجع عن دينك فابى فدعا بالمنشار فوضع المنشار في مفرق راسه فشقه حتـى وقع شقاه ثم جيء بجليس الملك فقيل له : ارجع عن دينك، فابى فوضع المنشار في مفرق راسه فشقه به حتـى وقع شقاه ثم جيء بالغلام فقيل له: ارجع عن دينك فابى فدفعه الى نفر من اصحابه فقال : اذهبوا به الى جبل كذا وكذا فاصعدوا به الجبل فاذا بلغتم ذروته فان رجع عن دينه والا فاطرحوه فذهبوا به فصعدوا به الجبل فقال : اللهم اكفنيهم بما شىت فرجف بهم الجبل فسقطوا، وجاء يمشي الى الملك فقال له الملك : ما فعل اصحابك ؟ فقال : كفانيهم الله تعالـى فدفعه الى نفر من اصحابه فقال: اذهبوا به فاحملوه في قرقور وتوسطوا به البحر فان رجع عن دينه والا فاقذفوه فذهبوا به فقال : اللهم اكفنيهم بما شىت فانكفات بهم السفينة فغرقوا وجاء يمشي الى الملك فقال له الملك : ما فعل اصحابك ؟ فقال : كفانيهم الله تعالـى فقال للملك : انك لست بقاتلي حتـى تفعل ما امرك به قال : ما هو ؟ قال : تجمع الناس في صعيد واحد وتصلبني على جذع ثم خذ سهما من كنانتي ثم ضع السهم في كبد القوس ثم قل : بسم الله رب الغلام، ثم ارمني، فانك اذا فعلت ذلك قتلتني، فجمع الناس في صعيد واحد وصلبه على جذع ثم اخذ سهما من كنانته ثم وضع السهم في كبد القوس ثم قال : بسم الله رب الغلام ثم رماه فوقع في صدغه، فوضع يده في صدغه فمات فقال الناس : امنا برب الغلام فاتي الملك فقيل له : ارايت ما كنت تحذر قد والله نزل بك حذرك قد امن الناس فامر بالاخدود بافواه السكك فخدت واضرم فيها النيران وقال : من لم يرجع عن دينه فاقحموه فيها او قيل له: اقتحم ففعلوا حتـى جاءت امراة ومعها صبي لها فتقاعست ان تقع فيها، فقال لها الغلام : يا امه اصبري فانك على الحق رواه مسلم

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২৭/ আদব