১৫৪২

পরিচ্ছেদঃ একতা ও বিচ্ছিন্নতা

(১৫৪২) খাববাব বিন আরাত্ত (রাঃ) বলেন, একদা আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে নিয়ে খুব লম্বা নামায পড়লেন। লোকেরা বলল, ’হে আল্লাহর রসূল! আপনি এমন নামায পড়লেন, যা আগে পড়তেন না।’ তিনি বললেন, ’’হ্যাঁ, এটি ছিল আগ্রহ ও ভীতির নামায। আমি এতে আল্লাহর নিকট তিনটি জিনিস প্রার্থনা করলাম। কিন্তু তিনি আমাকে দু’টি জিনিস দান করলেন এবং একটি জিনিস দিলেন না। আমি প্রার্থনা করলাম, তিনি যেন আমার উম্মতকে দুর্ভিক্ষে-কবলিত ক’রে ধ্বংস না করেন, তিনি আমাকে তা দিলেন। আমি চাইলাম, তিনি যেন আমার উম্মতের উপর কোন পর-শত্রুকে আধিপত্য না দেন, তিনি আমাকে তা দিলেন। আমি চাইলাম, তিনি যেন আমার উম্মতের মাঝে গৃহদ্বন্দ্ব না রাখেন, তিনি আমাকে তা দিলেন না।’’ (তিরমিযী ২১৭৫, নাসাঈ, আহমাদ ২১০৫৩, মিশকাত ৩/২৫০)

অন্য এক বর্ণনায় আছে, ’’আমি চাইলাম, তিনি যেন তোমাদেরকে বিভিন্ন দলে বিভক্ত ক’রে এক দলকে অপর দলের নিপীড়নের আস্বাদ গ্রহণ না করান, কিন্তু তিনি আমাকে তা দিলেন না।’’ (সহীহহুল জামে’ ২৪৩৩)

عَنْ خَبَّابِ بْنِ الأَرَتِّ قَالَ: صَلَّى رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صَلاَةً فَأَطَالَهَا فَقَالُوا: يَا رَسُولَ اللهِ صَلَّيْتَ صَلاَةً لَمْ تَكُنْ تُصَلِّيهَا؟ قَالَ: أَجَلْ إِنَّهَا صَلاَةُ رَغْبَةٍ وَرَهْبَةٍ إِنِّي سَأَلْتُ اللَّهَ فِيهَا ثَلاَثًا فَأَعْطَانِي اثْنَتَيْنِ وَمَنَعَنِي وَاحِدَةً، سَأَلْتُهُ أَنْ لاَ يُهْلِكَ أُمَّتِي بِسَنَةٍ فَأَعْطَانِيهَا، وَسَأَلْتُهُ أَنْ لاَ يُسَلِّطَ عَلَيْهِمْ عَدُوًّا مِنْ غَيْرِهِمْ فَأَعْطَانِيهَا، وَسَأَلْتُهُ أَنْ لاَ يُذِيقَ بَعْضَهُمْ بَأْسَ بَعْضٍ فَمَنَعَنِيهَا.
وَفِيْ رِوَايَةٍ وَسَأَلْتُهُ أَنْ لَا يَلْبِسَهُمْ شِيَعًا وَيُذِيقَ بَعْضَهُمْ بَأْسَ بَعْضٍ فَمَنَعَنِيهَا

عن خباب بن الارت قال: صلى رسول الله صلى الله عليه وسلم صلاة فاطالها فقالوا: يا رسول الله صليت صلاة لم تكن تصليها؟ قال: اجل انها صلاة رغبة ورهبة اني سالت الله فيها ثلاثا فاعطاني اثنتين ومنعني واحدة، سالته ان لا يهلك امتي بسنة فاعطانيها، وسالته ان لا يسلط عليهم عدوا من غيرهم فاعطانيها، وسالته ان لا يذيق بعضهم باس بعض فمنعنيها. وفي رواية وسالته ان لا يلبسهم شيعا ويذيق بعضهم باس بعض فمنعنيها

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
১৩/ সুন্নাহ