পরিচ্ছেদঃ
৯৪৮। আলী (রাঃ) বলেছেন, আমরা যখন মদীনায় গেলাম, তখন মদীনার প্রচুর ফলমূল আহরণ করলাম। এতে মদীনার প্রতি আমাদের প্রবল আসক্তি জন্মে গেল বটে। তবে আমরা খুবই অসুস্থ হয়ে পড়লাম। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ সময় বদর সম্পর্কে খোঁজ খবর নিচ্ছিলেন। যখন আমরা জানতে পারলাম যে, মুশরিকরা রওয়ানা হয়ে এসেছে, তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বদর অভিমুখে যাত্রা করলেন। বদর একটা কুয়া। মুশরিকরা আমাদের আগেই ঐ কুয়ার কাছে উপস্থিত হলো। সেখানে আমরা তাদের মধ্য থেকে দু’জনকে পেলাম। একজন কুরাইশের, অপরজন উকবা বিন আবু মুয়াইতের মুক্ত গোলাম। কুরাইশী পালিয়ে গেল কিন্তু উকবার মুক্ত গোলামকে আমরা পাকড়াও করে ফেললাম। তাকে জিজ্ঞাসা করলাম, তোমাদের বাহিনীর সদস্য সংখ্যা কত? সে বললো, আল্লাহর কসম, তারা সংখ্যায় অনেক এবং ভীষণভাবে অস্ত্ৰ সজ্জিত। এ কথার পর মুসলিমরা তাকে মারধর করতে লাগলো এবং মারতে মারতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে নিয়ে গেল।
তিনি তাকে জিজ্ঞাসা করলেন, তোমাদের বাহিনীতে লোক সংখ্যা কত? সে বললো, আল্লাহর কসম, তারা সংখ্যায় অনেক এবং মারাত্মক অস্ত্রশস্ত্ৰে সজ্জিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জোর প্রচেষ্টা চালালেন, যাতে সে তাদের প্রকৃত সংখ্যা জানায়। কিন্তু সে জানাতে অস্বীকার করলো। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তোমাদের বাহিনী প্রতিদিন ক’টা উটি যবেহ করে? সে বললো, প্রতিদিন দশটা। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ ওরা সংখ্যায় হাজার খানিক হবে। প্রতিটা যবাই করা উট একশো জন ও তাদের অনুগামী চাকর বাকররা খেতে পারে। ঐ রাতে আমাদের উপর এক পশলা বৃষ্টি হলো। আমরা বৃষ্টি থেকে রক্ষা পেতে গাছ-পালা ও চামড়ার ঢালের নিচে আশ্রয় নিলাম। আর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সারা রাত এরূপ দু’আ করতে থাকলেনঃ হে আল্লাহ, তুমি যদি এই দলটিকে (মুসলিমদের দলকে) ধ্বংস করে দাও, তাহলে তোমার ইবাদত আর হবে না।
যখন ভোর হলো, তখন তিনি আহবান জানালেন, হে আল্লাহর বান্দারা, নামাযের জন্য এস। লোকেরা গাছ-পালা ও ঢালের নিচ থেকে এসে নামাযের জামায়াতে উপস্থিত হলো। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে নিয়ে নামায পড়লেন এবং লড়াই করতে উদ্বুদ্ধ করলেন। তিনি বললেন, এই সকল লাল ছোট ছোট পাহাড়ের নিচে কুরাইশের বাহিনী অবস্থান করছে। এরপর যখন মুশরিকরা আমাদের নিকটবর্তী হলো এবং আমরা সারিবদ্ধভাবে তাদের মুখোমুখি হলাম। তখন দেখলাম, তাদের মধ্য থেকে এক ব্যক্তি নিজের একটা লাল উটের পিঠে আরোহণ করে মুশরিক বাহিনীর মধ্যে ঘোরাফেরা করছে। তা দেখে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ হে আলী, হামযাকে আমার কাছে ডেকে দাও। হামযা তখন মুশরিকদের সবচেয়ে নিকটে ছিলেন।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ ঐ লাল উটের আরোহী লোকটা কে? সে তাদেরকে কী বলছে? ঐ দলের মধ্যে এমন কেউ যদি থেকে থাকে যে কোন ভালো কাজ ও কল্যাণকর কাজের আদেশ দেয়। তবে সে হয়তো ঐ লাল উটওয়ালাই হবে। তৎক্ষণাত হামযা এলেন। তিনি বললেন, লোকটি উতবা বিন রাবীয়া। সে যুদ্ধ করতে নিষেধ করছে। সে তাদেরকে বলছে, হে আমার সম্প্রদায়, আমি দেখতে পাচ্ছি, জীবন বাজি রাখা একটা বাহিনী। তোমরা তাদের কাছেও পৌছতে পারবে না। সে চেষ্টা না করলেই তোমাদের কল্যাণ। হে আমার সম্প্রদায়, তোমরা আমার মাথার বিনিময়ে হলেও আমার এ কথাটা মেনে নাও। তোমরা বল, উতবা বিন রাবীয়া কাপুরুষ হয়ে গেছে। অথচ তোমরা তো জান, আমি তোমাদের সবার চেয়ে বেশি কাপুরুষ নই।
এ কথা শুনতে পেয়ে আবু জাহল বললো, তুমি এ কথা বলছ? আল্লাহর কসম, তুমি ছাড়া আর কেউ এ কথা বললে তাকে আমি অপদস্থ করতাম। তুমি আসলে মুসলিমদের ভয়ে চুপসে গিয়েছ। উতবা ভীষণ চটে গিয়ে বললো, কী। তোমার মত মাংসহীন নিতম্বওয়ালার এত স্পর্ধা যে, আমাকে এভাবে লজ্জা দিলে? ঠিক আছে, আজকে দেখে নিও, আমাদের কে ভীরু কাপুরুষ। পরক্ষণে উতবা, তার ভাই শাইবা এবং তার ছেলে ওয়ালীদ প্ৰচণ্ড আত্মমর্যাদাবোধে উজ্জীবিত হয়ে একযোগে বেরিয়ে পড়লো। বেরিয়ে এসে হাঁক দিল, কে আছে আমাদের সাথে লড়াই করার মত বীর পুরুষ?
এ হাঁক শুনে আনসারী সাহাবীদের মধ্য থেকে ছয়জন বেরিয়ে এল। উতবা বললো, আমরা এদের সাথে লড়তে চাই না। আমরা লড়তে চাই আমাদের চাচাতো ভাইদের সাথে, আব্দুল মুত্তালিব গোত্রের লোকদের সাথে। এ কথা শুনে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আলী যাও, হামযা যাও। হে উবায়দা ইবনুল হারিছ যাও। আল্লাহ (এ তিনজনের হাত দিয়ে) উতবা, শাইবা ও রাবীয়ার দুই ছেলেকে এবং উতবার ছেলে ওয়ালীদকে হত্যা করলেন। উবাইদা আহত হলো। আমরা সর্বমোট সত্তর জনকে হত্যা ও সত্তর জনকে বন্দী করলাম। আনসারদের মধ্য থেকে একজন বেঁটে লোক রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের চাচা আব্বাস বিন আব্দুল মুত্তালিবকে বন্দী অবস্থায় নিয়ে এল। (যিনি তখনো মক্কায় ছিলেন এবং কুরাইশ বাহিনীর সাথে আসতে বাধ্য হয়েছিলেন)
আব্বাস (রাঃ) বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ, আল্লাহর কসম, এই ব্যক্তি আমাকে গ্রেফতার করেনি। যে ব্যক্তি আমাকে গ্রেফতার করেছে, সে একজন ন্যাড়ামাথা অতীব সুদৰ্শন মানুষ। সে ছিল সাদাকালো ডোরা কাটা একটা ঘোড়ার আরোহী। তাকে এখানে মুসলিম জনতার মধ্যে দেখছি না। আনসারী বললো, ইয়া রাসূলাল্লাহ, ওকে তো আমিই গ্রেফতার করলাম। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তুমি চুপ কর। আসলে আল্লাহ তোমাকে একজন সম্মানিত ফেরেশতা দ্বারা সাহায্য করেছেন। আলী (রাঃ) বললেন, আমরা বনু আব্দুল মুত্তালিব গোত্রের আব্বাস, আকীল ও নাওফেল বিন হারেসকে গ্রেফতার করেছিলাম।
[আবু দাউদ-২৬৬৫]
حَدَّثَنَا حَجَّاجٌ، حَدَّثَنَا إِسْرَائِيلُ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ حَارِثَةَ بْنِ مُضَرِّبٍ، عَنْ عَلِيٍّ، قَالَ: لَمَّا قَدِمْنَا الْمَدِينَةَ أَصَبْنَا مِنْ ثِمَارِهَا، فَاجْتَوَيْنَاهَا وَأَصَابَنَا بِهَا وَعْكٌ، وَكَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَتَخَبَّرُ عَنْ بَدْرٍ، فَلَمَّا بَلَغَنَا أَنَّ الْمُشْرِكِينَ (2) قَدْ أَقْبَلُوا، سَارَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى بَدْرٍ، وَبَدْرٌ بِئْرٌ، فَسَبَقْنَا الْمُشْرِكِينَ إِلَيْهَا، فَوَجَدْنَا فِيهَا رَجُلَيْنِ مِنْهُمْ، رَجُلًا مِنْ قُرَيْشٍ، وَمَوْلًى لِعُقْبَةَ بْنِ أَبِي مُعَيْطٍ، فَأَمَّا الْقُرَشِيُّ فَانْفَلَتَ، وَأَمَّا مَوْلَى عُقْبَةَ فَأَخَذْنَاهُ، فَجَعَلْنَا نَقُولُ لَهُ: كَمِ الْقَوْمُ؟ فَيَقُولُ: هُمْ وَاللهِ كَثِيرٌ عَدَدُهُمْ، شَدِيدٌ بَأْسُهُمْ. فَجَعَلَ الْمُسْلِمُونَ إِذْ قَالَ ذَلِكَ ضَرَبُوهُ، حَتَّى انْتَهَوْا بِهِ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ لَهُ: " كَمِ الْقَوْمُ؟ " قَالَ: هُمْ وَاللهِ كَثِيرٌ عَدَدُهُمْ، شَدِيدٌ بَأْسُهُمْ فَجَهَدَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ يُخْبِرَهُ كَمْ هُمْ، فَأَبَى ثُمَّ إِنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سَأَلَهُ: " كَمْ يَنْحَرُونَ مِنَ الْجُزُرِ؟ " فَقَالَ: عَشْرًا كُلَّ يَوْمٍ، فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " الْقَوْمُ أَلْفٌ، كُلُّ جَزُورٍ لِمِائَةٍ وَتَبِعَهَا " ثُمَّ إِنَّهُ أَصَابَنَا مِنَ اللَّيْلِ طَشٌّ مِنْ مَطَرٍ، فَانْطَلَقْنَا تَحْتَ الشَّجَرِ وَالْحَجَفِ نَسْتَظِلُّ تَحْتَهَا، مِنَ الْمَطَرِ، وَبَاتَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَدْعُو رَبَّهُ عَزَّ وَجَلَّ، وَيَقُولُ: " اللهُمَّ إِنَّكَ إِنْ تُهْلِكْ هَذِهِ الْفِئَةَ لَا تُعْبَدْ " قَالَ: فَلَمَّا طَلَعَ الْفَجْرُ نَادَى: " الصَّلاةَ عِبَادَ اللهِ "، فَجَاءَ النَّاسُ مِنْ تَحْتِ الشَّجَرِ، وَالْحَجَفِ، فَصَلَّى بِنَا رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَحَرَّضَ عَلَى الْقِتَالِ، ثُمَّ قَالَ: " إِنَّ جَمْعَ قُرَيْشٍ تَحْتَ هَذِهِ الضِّلَعِ الْحَمْرَاءِ مِنَ الْجَبَلِ ". فَلَمَّا دَنَا الْقَوْمُ مِنَّا وَصَافَفْنَاهُمْ إِذَا رَجُلٌ مِنْهُمْ عَلَى جَمَلٍ لَهُ أَحْمَرَ يَسِيرُ فِي الْقَوْمِ، فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " يَا عَلِيُّ نَادِ لِي حَمْزَةَ - وَكَانَ أَقْرَبَهُمْ مِنَ الْمُشْرِكِينَ -: مَنْ صَاحِبُ الْجَمَلِ الْأَحْمَرِ، وَمَاذَا يَقُولُ لَهُمْ؟ " ثُمَّ قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " إِنْ يَكُنْ فِي الْقَوْمِ أَحَدٌ يَأْمُرُ بِخَيْرٍ، فَعَسَى أَنْ يَكُونَ صَاحِبَ الْجَمَلِ الْأَحْمَرِ " فَجَاءَ حَمْزَةُ فَقَالَ: هُوَ عُتْبَةُ بْنُ رَبِيعَةَ، وَهُوَ يَنْهَى عَنِ الْقِتَالِ، وَيَقُولُ لَهُمْ: يَا قَوْمُ، إِنِّي أَرَى قَوْمًا مُسْتَمِيتِينَ لَا تَصِلُونَ إِلَيْهِمْ وَفِيكُمْ خَيْرٌ، يَا قَوْمُ اعْصِبُوهَا الْيَوْمَ بِرَأْسِي، وَقُولُوا: جَبُنَ عُتْبَةُ بْنُ رَبِيعَةَ، وَقَدْ عَلِمْتُمْ أَنِّي لَسْتُ بِأَجْبَنِكُمْ، قَالَ: فَسَمِعَ ذَلِكَ أَبُو جَهْلٍ، فَقَالَ: أَنْتَ تَقُولُ هَذَا؟ وَاللهِ لَوْ غَيْرُكَ يَقُولُ هَذَا لَأَعْضَضْتُهُ، قَدْ مَلَأَتْ رِئَتُكَ جَوْفَكَ رُعْبًا، فَقَالَ عُتْبَةُ: إِيَّايَ تُعَيِّرُ يَا مُصَفِّرَ اسْتِهِ؟ سَتَعْلَمُ الْيَوْمَ أَيُّنَا الْجَبَانُ، قَالَ: فَبَرَزَ عُتْبَةُ وَأَخُوهُ شَيْبَةُ وَابْنُهُ الْوَلِيدُ حَمِيَّةً، فَقَالُوا: مَنْ يُبَارِزُ؟ فَخَرَجَ فِتْيَةٌ مِنَ الْأَنْصَارِ سِتَّةٌ، فَقَالَ عُتْبَةُ: لَا نُرِيدُ هَؤُلاءِ، وَلَكِنْ يُبَارِزُنَا مِنْ بَنِي عَمِّنَا، مِنْ بَنِي عَبْدِ الْمُطَّلِبِ، فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " قُمْ يَا عَلِيُّ، وَقُمْ يَا حَمْزَةُ، وَقُمْ يَا عُبَيْدَةُ بْنَ الْحَارِثِ بْنِ الْمُطَّلِبِ " فَقَتَلَ اللهُ تَعَالَى عُتْبَةَ، وَشَيْبَةَ، ابْنَيْ رَبِيعَةَ، وَالْوَلِيدَ بْنَ عُتْبَةَ، وَجُرِحَ عُبَيْدَةُ، فَقَتَلْنَا مِنْهُمْ سَبْعِينَ، وَأَسَرْنَا سَبْعِينَ، فَجَاءَ رَجُلٌ مِنَ الْأَنْصَارِ قَصِيرٌ بِالْعَبَّاسِ بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ أَسِيرًا، فَقَالَ الْعَبَّاسُ: يَا رَسُولَ اللهِ، إِنَّ هَذَا وَاللهِ مَا أَسَرَنِي، لَقَدْ أَسَرَنِي رَجُلٌ أَجْلَحُ، مِنْ أَحْسَنِ النَّاسِ وَجْهًا، عَلَى فَرَسٍ أَبْلَقَ، مَا أُرَاهُ فِي الْقَوْمِ، فَقَالَ الْأَنْصَارِيُّ: أَنَا أَسَرْتُهُ يَا رَسُولَ اللهِ، فَقَالَ: " اسْكُتْ، فَقَدْ أَيَّدَكَ اللهُ تَعَالَى بِمَلَكٍ كَرِيمٍ " فَقَالَ عَلِيٌّ: " فَأَسَرْنَا مِنْ بَنِي عَبْدِ الْمُطَّلِبِ: الْعَبَّاسَ، وعَقِيلًا، وَنَوْفَلَ بْنَ الْحَارِثِ
-
إسناده صحيح، رجاله ثقات رجال الشيخين غيرَ حارثة بن مضرب، فمن رجال أصحاب السنن، وهو ثقة، وسماع إسرائيل من جده أبي إسحاق في غاية الإتقان للزومه إياه وكان خصيصاً به، فيما قاله الحافظ في "الفتح" 1/351. حجاج: هو ابن محمد المصيصي الأعور
وأخرجه ابنُ أبي شيبة 14/362 - 364، وأبو داود (2665) والبزار. (719) ، والطبري في "تاريخه" 2/424-426، والبيهقي 3/276 و9/331 من طرق عن إسرائيل، بهذا الإسناد. ورواية أبي داود والبيهقي مختصرة
وقويه: "فاجتويناها"، قال ابن الأثير في " النهاية" 1/318: أي: أصابهم الجَوى، وهو المرض وداءُ الجوف إذا تطاول، وذلك إذا لم يوافقهم هواؤها واستوخموها، ويقال: اجتَوَيْتُ البلدَ، إذا كرهتَ المقام فيه وإن كنتَ في نعمة
والطش: المطر الخفيف. والحَجَف، جمع حجفة: وهي الترس
وقوله: "صاففناهم "أي: صففنا مقابل صفوف العدو، وفي) ب (و) ظ 11) : صافناهم، قال ابن الأثير: أي: واقفناهم وقما حذاءهم وقوله: "لأعضضته ": من العض بالنواجذ، أي قلتُ له: اعضض هَنَ أبيك
وقوله: "يا مُصَفر اسْتِه"، إذا صبغه بالصفْرة، والاست: هو الدبُر