পরিচ্ছেদঃ আল্লাহর দয়ার আশা রাখার গুরুত্ব
(৪৪৯) আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) অথবা আবূ সাঈদ খুদরী (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, (বর্ণনাকারী সন্দেহে পড়েছেন। অবশ্য সাহাবীর ব্যক্তিত্ব নির্ণয়ে সন্দেহ ক্ষতিকর কিছু নয়। কেননা সকল সাহাবাই নির্ভরযোগ্য।) সাহাবী বলেন, তাবুকের যুদ্ধের সময় সাহাবীগণ অতিশয় খাদ্য-সংকটে পড়লেন। সুতরাং তাঁরা বললেন, হে আল্লাহর রসূল! যদি আপনি অনুমতি দেন, তাহলে আমরা আমাদের সেচক উট জবাই করে তার মাংস ভক্ষণ এবং চর্বি ব্যবহার করি? রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, (ঠিক আছে) তোমরা কর। (এ সংবাদ শুনে) উমার (রাঃ) এসে বললেন, হে আল্লাহর রসূল! যদি আপনি (এমন) করেন, তাহলে সওয়ারী কমে যাবে। বরং আপনি (এই করুন যে,) তাদেরকে নিজেদের অবশিষ্ট খাদ্যদ্রব্য আনতে বলুন এবং তাদের জন্য তাতে আল্লাহর কাছে বরকতের দু’আ করুন। সম্ভবতঃ আল্লাহ তাতে বরকত দেবেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ’’হ্যাঁ, (তাই-ই করি।)
সুতরাং তিনি চামড়ার একখানি দস্তরখান আনিয়ে নিয়ে তা বিছালেন। অতঃপর তিনি তাঁদের অবশিষ্ট খাদ্যদ্রব্য জমা করার নির্দেশ দিলেন। ফলে কেউ তো এক খাবল ভুট্টা আনলেন, কেউ তো এক খাবল খুরমা এবং কেউ তো রুটির একটি টুকরাও আনলেন। পরিশেষে কিছু পরিমাণ খাদ্য জমা হয়ে গেল। তারপর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বরকতের দু’আ করলেন। অতঃপর বললেন, তোমরা আপন আপন পাত্রে নিয়ে নাও। সুতরাং তাঁরা স্ব স্ব পাত্রে নিতে আরম্ভ করলেন। এমনকি সৈন্যের মধ্যে কোন পাত্র শূন্য রইল না। তাঁরা সকলেই খেয়ে তৃপ্ত হলেন এবং কিছু বেঁচেও গেল। অবশেষে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া সত্য কোন উপাস্য নেই এবং আমি আল্লাহর রসূল। যে কোন বান্দা সন্দেহমুক্ত হয়ে এ দু’টি (সাক্ষ্য) নিয়ে আল্লাহর সাথে সাক্ষাৎ করবে, তাকে যে জান্নাতে যেতে বাধা দেওয়া হবে -তা হতেই পারে না (বরং সে বিনা বাধায় জান্নাতে প্রবেশ করবে)।
وَعَنْ أَبيْ هُرَيْرَةَ أَوْ أَبي سَعِيدٍ الخُدرِي رَضِيَ اللهُ عَنهُمَا شَكَّ الرَّاوِي ولاَ يَضُرُّ الشَّكُّ في عَينِ الصَّحَابيّ لأنَّهُمْ كُلُّهُمْ عُدُولٌ – قَالَ : لَمَّا كَانَ غَزوَةُ تَبُوكَ أصَابَ النَّاسَ مَجَاعَةٌ فَقَالُوْا: يَا رَسُولَ اللهِ لَوْ أذِنْتَ لَنَا فَنَحَرْنَا نَواضِحَنَا فَأكَلْنَا وَادَّهَنَّا؟ فَقَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ افْعَلُوا فَجاء عُمَرُ فَقَالَ : يَا رَسُولَ اللهِ إنْ فَعَلْتَ قَلَّ الظَّهْرُ وَلَكِن ادعُهُمْ بفَضلِ أزْوَادِهِمْ ثُمَّ ادعُ الله لَهُمْ عَلَيْهَا بِالبَرَكَةِ لَعَلَّ الله أنْ يَجْعَلَ في ذلِكَ البَرَكَةَ فَقَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ نَعَمْ فَدَعَا بِنَطْع فَبَسَطَهُ ثُمَّ دَعَا بِفضلِ أزْوَادِهِمْ فَجَعَلَ الرَّجُلُ يَجِيءُ بكَفّ ذُرَةٍ وَيَجِيءُ بِكَفّ تَمرٍ وَيَجِيءُ الآخرُ بِكِسرَةٍ حَتَّى اجْتَمَعَ عَلَى النَّطعِ مِنْ ذلِكَ شَيءٌ يَسيرٌ فَدَعَا رَسُولُ اللهِ ﷺ بِالبَرَكَةِ ثُمَّ قَالَ خُذُوا في أوعِيَتِكُمْ فَأَخَذُوا في أوْعِيَتِهِم حَتَّى مَا تَرَكُوا في العَسْكَرِ وِعَاءً إلاَّ مَلأُوهُ وَأَكَلُوا حَتَّى شَبعُوا وَفَضَلَ فَضْلَةٌ فَقَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ أشْهَدُ أنْ لاَ إلهَ إلاَّ اللهُ وَأنّي رَسُولُ اللهِ لا يَلْقَى الله بِهِمَا عَبْدٌ غَيْرَ شَاكٍّ فَيُحْجَبَ عَن الجَنَّةِ رواه مسلم