৪২৩

পরিচ্ছেদঃ মুজাহাদাহ বা দ্বীনের জন্য এবং আত্মা, শয়তান ও দ্বীনের শত্রুদের বিরুদ্ধে নিরলস চেষ্টা, টানা পরিশ্রম ও আজীবন সংগ্রাম করার গুরুত্ব

(৪২৩) আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন যে, আমার চাচা আনাস ইবনে নাযর বদরের যুদ্ধে অনুপস্থিত ছিলেন। (যার জন্য তিনি খুবই দুঃখিত হয়েছিলেন।) অতঃপর তিনি একবার বললেন, হে আল্লাহর রসূল! প্রথম যে যুদ্ধ আপনি মুশরিকদের বিরুদ্ধে করলেন তাতে আমি অনুপস্থিত থাকলাম। যদি (এরপর) আল্লাহ আমাকে মুশরিকদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে হাজির হওয়ার সৌভাগ্য দান করেন, তাহলে আমি কী করব আল্লাহ তা অবশ্যই দেখাবেন (অথবা দেখবেন)। অতঃপর যখন উহুদের দিন এল, তখন মুসলিমরা (শুরুতে) ঘাঁটি ছেড়ে দেওয়ার কারণে পরাজিত হলেন। তিনি বললেন, হে আল্লাহ! এরা অর্থাৎ, সঙ্গীরা যা করল তার জন্য আমি তোমার নিকট ওযর পেশ করছি। আর ওরা অর্থাৎ, মুশরিকরা যা করল, তা থেকে আমি তোমার কাছে সম্পর্কহীনতা প্রকাশ করছি। অতঃপর তিনি আগে বাড়লেন এবং সামনে সা’দ ইবনে মুআযকে পেলেন।

তিনি বললেন, হে সা’দ ইবনে মুআয! জান্নাত! কা’বার প্রভুর কসম! আমি উহুদ অপেক্ষা নিকটতর জায়গা হতে তার সুগন্ধ পাচ্ছি। (এই বলে তিনি শত্রুদের মাঝে ঝাঁপিয়ে পড়লেন এবং যুদ্ধ করতে করতে শাহাদত বরণ করলেন।) সা’দ বলেন, হে আল্লাহর রসূল! সে যা করল, আমি তা পারলাম না। আনাস (রাঃ) বলেন, আমরা তাঁর দেহে আশীর চেয়ে বেশি তরবারি, বর্শা বা তীরের আঘাত চিহ্ন পেলাম। আর আমরা তাকে এই অবস্থায় পেলাম যে, তাকে হত্যা করা হয়েছে এবং মুশরিকরা তাঁর নাক-কান কেটে নিয়েছে। ফলে কেউ তাঁকে চিনতে পারেনি। কেবল তাঁর বোন তাঁকে তাঁর আঙ্গুলের পাব দেখে চিনেছিল। আনাস (রাঃ) বলেন যে, আমরা ধারণা করতাম যে, (সূরা আহযাবের ২৩নং) এই আয়াত তাঁর ও তাঁর মত লোকদের ব্যাপারে অবতীর্ণ হয়েছে। মু’মিনদের মধ্যে কিছু আল্লাহর সঙ্গে তাদের কৃত অঙ্গীকার পূরণ করেছে, ওদের কেউ কেউ নিজ কর্তব্য পূর্ণরূপে সমাধা করেছে এবং কেউ কেউ প্রতীক্ষায় রয়েছে। ওরা তাদের লক্ষ্য পরিবর্তন করেনি।

عَن أَنَسٍ قَالَ : غَابَ عَمِّي أَنَسُ بْنُ النَّضْرِ عَن قِتَالِ بَدْرٍ فَقَالَ : يَا رَسُولَ الله غِبْتُ عَن أَوَّلِ قِتال قَاتَلْتَ المُشْرِكِينَ لَئِن اللهُ أَشْهَدَنِي قِتَالَ المُشركِينَ لَيُرِيَنَّ اللهُ مَا أَصْنَعُ فَلَمَّا كَانَ يَومُ أُحُدٍ انْكَشَفَ المُسْلِمونَ فَقَالَ : اَللّٰهُمَّ أعْتَذِرُ إلَيْكَ مِمَّا صَنَعَ هؤُلاَءِ ـ يعَني : أصْحَابهُ ـ وَأبْرَأُ إلَيْكَ مِمَّا صَنَعَ هؤُلاَءِ ـ يَعَني : المُشركِينَ ـ ثُمَّ تَقَدَّمَ فَاسْتَقْبَلهُ سَعدُ بْنُ مُعاذٍ فَقَالَ : يَا سعدَ بنَ معاذٍ الجَنَّةُ وَرَبِّ الكعْبَةِ إنِّي أَجِدُ ريحَهَا مِنْ دُونِ أُحُدٍ قَالَ سعدٌ : فَمَا اسْتَطَعتُ يَا رسولَ الله مَا صَنَعَ قَالَ أنسٌ : فَوَجَدْنَا بِهِ بِضْعاً وَثَمانينَ ضَربَةً بالسَّيفِ أَوْ طَعَنةً بِرمْحٍ أَوْ رَمْيَةً بسَهْمٍ وَوَجَدْنَاهُ قَدْ قُتِلَ وَمَثَّلَ بِهِ المُشْرِكونَ فما عَرَفهُ أَحَدٌ إلاَّ أُخْتُهُ بِبَنَانِهِ قَالَ أنس : كُنَّا نَرَى أَوْ نَظُنُّ أَنَّ هَذِهِ الآيَة نَزَلَت فِيهِ وَفِي أشبَاهِه : مِنَ الْمُؤْمِنِينَ رِجَالٌ صَدَقُوا مَا عَاهَدُوا اللهَ عَلَيْهِ إِلَى آخِرها مُتَّفَقٌ عَلَيهِ

عن انس قال : غاب عمي انس بن النضر عن قتال بدر فقال : يا رسول الله غبت عن اول قتال قاتلت المشركين لىن الله اشهدني قتال المشركين ليرين الله ما اصنع فلما كان يوم احد انكشف المسلمون فقال : اللهم اعتذر اليك مما صنع هولاء ـ يعني : اصحابه ـ وابرا اليك مما صنع هولاء ـ يعني : المشركين ـ ثم تقدم فاستقبله سعد بن معاذ فقال : يا سعد بن معاذ الجنة ورب الكعبة اني اجد ريحها من دون احد قال سعد : فما استطعت يا رسول الله ما صنع قال انس : فوجدنا به بضعا وثمانين ضربة بالسيف او طعنة برمح او رمية بسهم ووجدناه قد قتل ومثل به المشركون فما عرفه احد الا اخته ببنانه قال انس : كنا نرى او نظن ان هذه الاية نزلت فيه وفي اشباهه : من المومنين رجال صدقوا ما عاهدوا الله عليه الى اخرها متفق عليه

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
৪/ আন্তরিক কর্মাবলী