৫৬৪

পরিচ্ছেদঃ

৫৬৪। আলী ইবনে আবী তালিব (রাঃ) থেকে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরাফাতে অবস্থান করলেন। তখন তার পেছনে উসামা বিন যায়িদ উপবিষ্ট ছিলেন। তিনি বললেনঃ এটা অবস্থানের জায়গা এবং সমগ্ৰ আরাফাতই অবস্থানের জায়গা। তারপর উটনীকে ধাক্কা দিলেন এবং জোরে জোরে চলতে লাগলেন। লোকেরা তার ডান পাশে ও বামপাশে চলতে লাগলেন। তিনি তাদের দিকে তাকিয়ে বলতে লাগলেন, প্রশান্তি হে জনতা, প্রশান্তি হে জনতা। অবশেষে তিনি মুযদালফায় এলেন এবং দুই নামায একত্রিত করলেন। তারপর মুযদালিফায় অবস্থান করলেন। তিনি কুযাহ নামক স্থানে অবস্থান করলেন এবং ফযল ইবনে আব্বাসকে পেছনে বসালেন। তিনি বললেনঃ এটা অবস্থানের স্থান এবং সমগ্র মুযদালফাই অবস্থানের স্থান। এরপর উটনীকে ধাক্কা দিয়ে জোরে জোরে চলতে লাগলেন এবং অন্য লোকেরা ডানে ও বামে চলতে লাগলো। তিনি তাদের দিকে তাকিয়ে বলতে লাগলেনঃ হে জনতা, প্রশান্তি, প্রশান্তি। অবশেষে তিনি মুহাস্‌সারে এলেন এবং বাহক জন্তুটিকে ধাক্কা দিয়ে জোরে জোরে চালিয়ে মুহাসসার থেকে বেরিয়ে গেলেন।

তারপর পুনরায় তাঁর প্রথম অভিযানে প্রত্যাবর্তন করলেন (অর্থাৎ নতুনভাবে যাত্রা শুরু করলেন) এবং শেষ পর্যন্ত জামরায় পাথর নিক্ষেপ করলেন। তারপর কুরবানীর জায়গায় এলেন। বললেনঃ এটা কুরবানীর জায়গা এবং সমগ্ৰ মিনা কুরবানীর জায়গা। তারপর খাসিয়াম গোত্রের এক যুবতী মহিলা তাঁর কাছে এল। সে বললোঃ আমার আব্বা বৃদ্ধ এবং চলাফেরায় অক্ষম। অথচ তাঁর ওপর হজ্জ ফরয হয়ে আছে। কিন্তু তার হজ্জ করার ক্ষমতা নেই। তাঁর পক্ষ থেকে আমি হজ্জ করলে কি আদায় হবে? রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ হ্যাঁ এবং তিনি মহিলার দিক থেকে ফযল ইবনে আব্বাসের মুখ সরিয়ে দিতে লাগলেন।

তারপর তার কাছে এক ব্যক্তি এল। সে বললোঃ আমি জামরায় পাথর নিক্ষেপ করেছি, আরাফাত থেকে ফিরে এসেছি, (ইহরাম খুলে স্বাভাবিক) পোশাক পরেছি, কিন্তু চুল কামাইনি। তিনি বললেনঃ কোন ক্ষতি নেই। এখন চুল কামাও। তারপর তাঁর কাছে আরেক ব্যক্তি এল। সে বললোঃ আমি পাথর নিক্ষেপ করেছি, চুল কামিয়েছি, পোশাক পরেছি, কিন্তু কুরবানী করিনি। তিনি বললেনঃ কোন ক্ষতি নেই, এখন কুরবানী কর। তারপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফিরে চললেন। তিনি এক বালতি যমযমের পানি আনতে বললেন, তা থেকে কিছু পান করলেন এবং কিছু দিয়ে ওযূ করলেন। তারপর বললেনঃ হে আবদুল মুত্তালিবের গোত্ৰ, তোমরা পানি তোল। যদি আশঙ্কা না থাকতো যে, তোমরা পরাভূত হবে, তাহলে আমি পানি তুলতাম। (অর্থাৎ আমি তুললে কুয়ায় এত ভীড় হতো যে, তোমরা হয়তো পানি তোলার সুযোগ পেতে না)। আবান বললেনঃ হে আল্লাহর রাসূল, আমি দেখেছি, আপনি আপনার চাচাতো ভাইয়ের মুখ ঘুরিয়ে দিচ্ছিলেন। তিনি বললেনঃ আমি দেখলাম, একজন যুবক এবং একজন যুবতী কাছাকাছি রয়েছে। তাই আমার আশঙ্কা ছিল ওদেরকে শয়তান কুপ্ররোচনা দেয়। কিনা। [হাদীস নং-৫৬২]

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ، حَدَّثَنِي أَحْمَدُ بْنُ عَبْدَةَ الْبَصْرِيُّ، حَدَّثَنَا الْمُغِيرَةُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْحَارِثِ الْمَخْزُومِيُّ، حَدَّثَنِي أَبِي عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ الْحَارِثِ، عَنْ زَيْدِ بْنِ عَلِيِّ بْنِ حُسَيْنِ بْنِ عَلِيٍّ، عَنْ أَبِيهِ عَلِيِّ بْنِ حُسَيْنٍ، عَنْ عُبَيْدِ اللهِ بْنِ أَبِي رَافِعٍ، مَوْلَى رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ، أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَقَفَ بِعَرَفَةَ وَهُوَ مُرْدِفٌ أُسَامَةَ بْنَ زَيْدٍ فَقَالَ: " هَذَا الْمَوْقِفُ وَكُلُّ عَرَفَةَ مَوْقِفٌ " ثُمَّ دَفَعَ يَسِيرُ الْعَنَقَ وَجَعَلَ النَّاسُ يَضْرِبُونَ يَمِينًا وَشِمَالًا، وَهُوَ يَلْتَفِتُ وَيَقُولُ: السَّكِينَةَ أَيُّهَا النَّاسُ السَّكِينَةَ أَيُّهَا النَّاسُ " حَتَّى جَاءَ الْمُزْدَلِفَةَ، وَجَمَعَ بَيْنَ الصَّلاتَيْنِ، ثُمَّ وَقَفَ بِالْمُزْدَلِفَةِ، فَوَقَفَ عَلَى قُزَحَ، وَأَرْدَفَ الْفَضْلَ بْنَ عَبَّاسٍ، وَقَالَ: هَذَا الْمَوْقِفُ، وَكُلُّ الْمُزْدَلِفَةِ مَوْقِفٌ " ثُمَّ دَفَعَ وَجَعَلَ يَسِيرُ الْعَنَقَ، وَالنَّاسُ يَضْرِبُونَ يَمِينًا وَشِمَالًا، وَهُوَ يَلْتَفِتُ وَيَقُولُ: " السَّكِينَةَ السَّكِينَةَ أَيُّهَا النَّاسُ " حَتَّى جَاءَ مُحَسِّرًا فَقَرَعَ رَاحِلَتَهُ فَخَبَّتْ، حَتَّى خَرَجَ، ثُمَّ عَادَ لِسَيْرِهِ الْأَوَّلِ، حَتَّى رَمَى الْجَمْرَةَ، ثُمَّ جَاءَ الْمَنْحَرَ فَقَالَ: " هَذَا الْمَنْحَرُ، وَكُلُّ مِنًى مَنْحَرٌ " ثُمَّ جَاءَتْهُ امْرَأَةٌ شَابَّةٌ مِنْ خَثْعَمَ، فَقَالَتْ: إِنَّ أَبِي شَيْخٌ كَبِيرٌ، وَقَدْ أَفْنَدَ، وَأَدْرَكَتْهُ فَرِيضَةُ اللهِ فِي الْحَجِّ، وَلا يَسْتَطِيعُ أَدَاءَهَا، فَيُجْزِئُ عَنْهُ أَنْ أُؤَدِّيَهَا عَنْهُ؟ قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: نَعَمْ ، وَجَعَلَ يَصْرِفُ وَجْهَ الْفَضْلِ بْنِ الْعَبَّاسِ عَنْهَا. ثُمَّ أَتَاهُ رَجُلٌ فَقَالَ: إِنِّي رَمَيْتُ الْجَمْرَةَ، وَأَفَضْتُ وَلَبِسْتُ وَلَمْ أَحْلِقْ. قَالَ: " فَلا حَرَجَ، فَاحْلِقْ " ثُمَّ أَتَاهُ رَجُلٌ آخَرُ، فَقَالَ: إِنِّي رَمَيْتُ وَحَلَقْتُ وَلَبِسْتُ وَلَمْ أَنْحَرْ فَقَالَ: " لَا حَرَجَ فَانْحَرْ " ثُمَّ أَفَاضَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَدَعَا بِسَجْلٍ مِنْ مَاءِ زَمْزَمَ، فَشَرِبَ مِنْهُ وَتَوَضَّأَ، ثُمَّ قَالَ: " انْزِعُوا يَا بَنِي عَبْدِ الْمُطَّلِبِ، فَلَوْلا أَنْ تُغْلَبُوا عَلَيْهَا لَنَزَعْتُ " قَالَ الْعَبَّاسُ: يَا رَسُولَ اللهِ إِنِّي رَأَيْتُكَ تَصْرِفُ وَجْهَ ابْنِ أَخِيكَ؟ قَالَ: إِنِّي رَأَيْتُ غُلامًا شَابًّا، وَجَارِيَةً شَابَّةً، فَخَشِيتُ عَلَيْهِمَا الشَّيْطَانَ

إسناده حسن. وهو مكرر (525) . وأخرجه البزار (532) عن أحمد بن عبدة، بهذا الإسناد. وانظر (562)

حدثنا عبد الله، حدثني احمد بن عبدة البصري، حدثنا المغيرة بن عبد الرحمن بن الحارث المخزومي، حدثني ابي عبد الرحمن بن الحارث، عن زيد بن علي بن حسين بن علي، عن ابيه علي بن حسين، عن عبيد الله بن ابي رافع، مولى رسول الله صلى الله عليه وسلم عن علي بن ابي طالب رضي الله عنه، ان النبي صلى الله عليه وسلم وقف بعرفة وهو مردف اسامة بن زيد فقال: " هذا الموقف وكل عرفة موقف " ثم دفع يسير العنق وجعل الناس يضربون يمينا وشمالا، وهو يلتفت ويقول: السكينة ايها الناس السكينة ايها الناس " حتى جاء المزدلفة، وجمع بين الصلاتين، ثم وقف بالمزدلفة، فوقف على قزح، واردف الفضل بن عباس، وقال: هذا الموقف، وكل المزدلفة موقف " ثم دفع وجعل يسير العنق، والناس يضربون يمينا وشمالا، وهو يلتفت ويقول: " السكينة السكينة ايها الناس " حتى جاء محسرا فقرع راحلته فخبت، حتى خرج، ثم عاد لسيره الاول، حتى رمى الجمرة، ثم جاء المنحر فقال: " هذا المنحر، وكل منى منحر " ثم جاءته امراة شابة من خثعم، فقالت: ان ابي شيخ كبير، وقد افند، وادركته فريضة الله في الحج، ولا يستطيع اداءها، فيجزى عنه ان اوديها عنه؟ قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: نعم ، وجعل يصرف وجه الفضل بن العباس عنها. ثم اتاه رجل فقال: اني رميت الجمرة، وافضت ولبست ولم احلق. قال: " فلا حرج، فاحلق " ثم اتاه رجل اخر، فقال: اني رميت وحلقت ولبست ولم انحر فقال: " لا حرج فانحر " ثم افاض رسول الله صلى الله عليه وسلم، فدعا بسجل من ماء زمزم، فشرب منه وتوضا، ثم قال: " انزعوا يا بني عبد المطلب، فلولا ان تغلبوا عليها لنزعت " قال العباس: يا رسول الله اني رايتك تصرف وجه ابن اخيك؟ قال: اني رايت غلاما شابا، وجارية شابة، فخشيت عليهما الشيطان اسناده حسن. وهو مكرر (525) . واخرجه البزار (532) عن احمد بن عبدة، بهذا الاسناد. وانظر (562)

হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মুসনাদে আহমাদ
মুসনাদে আলী ইবনে আবি তালিব (রাঃ) [আলীর বর্ণিত হাদীস] (مسند علي بن أبي طالب)