৪৯৯

পরিচ্ছেদঃ

৪৯৯। হাদীস নং ৩৯৯ দ্রষ্টব্য।


৩৯৯। ইবনুল আব্বাস বলেন, আমি উসমান বিন আফফানকে জিজ্ঞাসা করলাম, আল আনফালের মত ছোট সূরা ও আত তাওবার মত বৃহৎ সূরাকে পরস্পরের সাথে সংযুক্ত করলেন কেন? কেনইবা এই দুটোর মধ্যে “বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম” লিখলেন না, অথচ বৃহৎ সাতটি সূরায় বিসমিল্লাহ লিখেছেন? উসমান (রাঃ) বললেনঃ কখনো কখনো রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ওপর বহু আয়াত সম্বলিত সূরা নাযিল হতো। যখন কোন সূরার অংশ বিশেষ নাযিল হতো তখন তিনি তার নিকটে অবস্থানরত এমন কাউকে ডাকতেন, যিনি লিখতে জানতেন। তাঁকে বলতেন, এই অংশটা অমুক বিষয় সম্বলিত সূরার অন্তর্ভুক্ত কর। কখনো কখনো তাঁর ওপর কতিপয় আয়াত নাযিল হতো। তখন তিনি বলতেন, এ আয়াতগুলিকে অমুক বিষয় সম্বলিত সূরায় লিপিবদ্ধ কর। আবার কখনো একটি আয়াত নাযিল হতো। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলতেন, এ আয়াতটিকে অমুক বিষয় সম্বলিত সূরায় অন্তর্ভুক্ত কর।

সূরা আল আনফাল ছিল মদীনায় নাযিলকৃত প্রাথমিক সূরাগুলির অন্যতম। আর আত তাওবা ছিল আল কুরআনের শেষাংশের সূরা। উভয় সূরার ঘটনাবলীতে সাদৃশ্য রয়েছে। সহসা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইন্তিকাল করলেন সূরা আত তাওবা কোথায় থাকবে সে সম্পর্কে কিছু না জানিয়েই। আমি মনে করলাম এটি আল আনফালেরই অংশ। তাই দুটিকে সংযুক্ত করলাম এবং উভয়ের মধ্যে বিসমিল্লাহও লিখিনি। (ইবনে জাফরের বর্ণনামতে) তিনি আরো বললেন যে, বড় বড় সাতটি সূরায় বিসমিল্লাহ উল্লেখ করেছি


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মুসনাদে আহমাদ
মুসনাদে উসমান বিন আফফান (রাঃ) [উসমানের বর্ণিত হাদীস] (مسند عثمان بن عفان)