পরিচ্ছেদঃ
৩৯০। ’আবাইয়া বিন রিফা’য়া বর্ণনা করেন, উমার (রাঃ) জানতে পারলেন যে, সা’দ যখন প্রাসাদ তৈরি করেছেন, তখন বলেছেন, এ প্রাসাদের কোন তুলনা নেই। তিনি মুহাম্মাদ বিন মাসলামাকে (সা’দের নিকট) পাঠালেন। সেখানে গিয়ে তিনি নিজের চকমকি পাথর বের করে আগুন জ্বালালেন এবং এক দিরহাম দিয়ে কিছু কাষ্ঠ কিনলেন। সা’দকে বলা হলো যে, জনৈক ব্যক্তি এই এই কাজ করেছে। সা’দ বললেনঃ ওতো মুহাম্মাদ বিন মাসলামা। অতঃপর সা’দ বেরিয়ে তার কাছে গেলেন এবং আল্লাহর কসম খেয়ে বললেন যে, তিনি ঐ কথা (এ প্রাসাদের তুলনা নেই) বলেননি। মুহাম্মাদ বিন মাসলামা বললেন, ঠিক আছে, আপনি যা বলছেন, সেটা আমরা আপনার পক্ষ থেকে পৌছে দেবো, আর আমাদেরকে যা আদেশ দেয়া হয়েছে, তা আমরা করবো। অতঃপর তিনি (প্রাসাদের) দরজা জ্বালিয়ে দিলেন। এ সময়ে সা’দ তাঁর সফরের রসদ দিতে চাইলে তিনি তা প্রত্যাখ্যান করলেন।
অতঃপর মুহাম্মাদ উমারের নিকট গেলেন। উমার (রাঃ) তাকে পুনরায় সা’দের নিকট পাঠালেন। এভাবে তার আসা যাওয়ায় উনিশ দিন কেটে গেল। সা’দ বললেন, আপনার সম্পর্কে সুধারণা না থাকলে আমি মনে করতাম, আপনি আমার বক্তব্য পৌছাননি। মুহাম্মাদ বললেন, হ্যাঁ, পৌছিয়েছি। বলেছি তিনি আমাকে সালাম বলে পাঠিয়েছেন, দুঃখ প্রকাশ করেছেন এবং শপথ করে বলেছেন যে, তিনি ঐ কথা বলেননি। তিনি বললেন, তোমাকে কি সফরের রসদ বাবদ তিনি কিছু দিয়েছেন? মুহাম্মাদ বললেনঃ না। মুহাম্মাদ (উমারকে) বললেন, আপনি আমাকে সফরের রসদ দেননি কেন? তিনি বললেন, আমার এটা পছন্দ হয়নি যে, তোমাকে কিছু দিতে আদেশ দিই, ফলে তোমার সুবিধা হোক, আর আমার অসুবিধা হোক। অথচ আমার চার পাশে মদীনাবাসী ক্ষুধায় জর্জরিত। আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, কেউ তার প্রতিবেশীকে অভুক্ত রেখে তৃপ্তিসহকারে যেন আহার না করে।
حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَبَايَةَ بْنِ رِفَاعَةَ، قَالَ: بَلَغَ عُمَرَ أَنَّ سَعْدًا لَمَّا بَنَى الْقَصْرَ، قَالَ: انْقَطَعَ الصُّوَيْتُ، فَبَعَثَ إِلَيْهِ مُحَمَّدَ بْنَ مَسْلَمَةَ، فَلَمَّا قَدِمَ أَخْرَجَ زَنْدَهُ، وَأَوْرَى نَارَهُ، وَابْتَاعَ حَطَبًا بِدِرْهَمٍ، وَقِيلَ لِسَعْدٍ: إِنَّ رَجُلًا فَعَلَ كَذَا وَكَذَا. فَقَالَ: ذَاكَ مُحَمَّدُ بْنُ مَسْلَمَةَ. فَخَرَجَ إِلَيْهِ فَحَلَفَ بِاللهِ مَا قَالَهُ، فَقَالَ: نُؤَدِّي عَنْكَ الَّذِي تَقُولُهُ، وَنَفْعَلُ مَا أُمِرْنَا بِهِ. فَأَحْرَقَ الْبَابَ، ثُمَّ أَقْبَلَ يَعْرِضُ عَلَيْهِ أَنْ يُزَوِّدَهُ فَأَبَى، فَخَرَجَ فَقَدِمَ عَلَى عُمَرَ، فَهَجَّرَ إِلَيْهِ، فَسَارَ ذَهَابَهُ وَرُجُوعَهُ تِسْعَ عَشْرَةَ، فَقَالَ: لَوْلا حُسْنُ الظَّنِّ بِكَ لَرَأَيْنَا أَنَّكَ لَمْ تُؤَدِّ عَنَّا. قَالَ: بَلَى، أَرْسَلَ يَقْرَأُ السَّلامَ، وَيَعْتَذِرُ، وَيَحْلِفُ بِاللهِ مَا قَالَهُ. قَالَ: فَهَلْ زَوَّدَكَ شَيْئًا؟ قَالَ: لَا، قَالَ : فَمَا مَنَعَكَ أَنْ تُزَوِّدَنِي أَنْتَ؟ قَالَ: إِنِّي كَرِهْتُ أَنْ آمُرَ لَكَ فَيَكُونَ لَكَ الْبَارِدُ، وَيَكُونَ لِي الْحَارُّ، وَحَوْلِي أَهْلُ الْمَدِينَةِ قَدْ قَتَلَهُمُ الْجُوعُ، وَقَدْ سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: " لَا يَشْبَعُ الرَّجُلُ دُونَ جَارِهِ
رجاله ثقات رجال الشيخين، ورواية عباية بن رفاعة عن عمر مرسلة، قاله أبو زرعة كما في " المراسيل " لابن أبي حاتم ص 151، وقد جعل أبو نعيم في " الحلية " الحديث من رواية عباية بن رفاعة عن محمد بن مسلمة عن عمر، وإسناده إلى عباية صحيح رجاله كلهم ثقات. سفيان: هو سفيان بن سعيد بن مسروق الثوري
وأخرجه الحاكم 4 / 167 مختصراً من طريق أحمد بن حنبل، بهذا الإسناد. وقال الذهبي في " تلخيصه ": سنده جيد
وأخرجه مختصراً بالمرفوع منه أبو نعيم في " الحلية " 9 / 27 من طريق عبد الرحمن بن مهدي، بهذا الإسناد، وجعله من حديث عباية عن محمد بن مسلمة، عن عمر. وقد تحرف في المطبوع منه " عباية بن رفاعة " إلى: عبادة عن رفاعة
وأخرجه بطوله ابن المبارك في " الزهد " (513) عن سفيان بن عيينة، عن عمر بن سعيد أخي سفيان الثوري، عن أبيه، به
ولقوله: " لا يشبع الرجل دون جاره " شاهد من حديث أنس بن مالك عند البزار (119) ، والطبراني في " الكبير " (751) ولفظه عند البزار: " ليس المؤمن الذي يبيت شبعان وجاره طاوٍ "، وحسَّن المنذري إسناده في " الترغيب " 3 / 358. ونحوه عن ابن عباس عند أبي يعلى (2699) ، والبخاري في " الأدب المفرد " (112) ، وصححه الحاكم 4 / 167
وقوله: " أَورى بناره "، أي: أَوقَدها، والزَّنْد: العود الذي يُقدح به النار