পরিচ্ছেদঃ ১০. প্রথম অনুচ্ছেদ - কুরবানীর দিনের ভাষণ, আইয়্যামে তাশরীক্বে পাথর মারা ও বিদায়ী তাওয়াফ করা
২৬৬৪-[৬] আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মুহাস্সাব নামক স্থানে যুহর, ’আসর, মাগরিব ও ’ইশার সালাত (সালাত/নামাজ/নামায) আদায় করে এখানেই কিছুক্ষণ শুয়ে থাকলেন। অতঃপর সেখান থেকে বায়তুল্লাহর দিকে রওয়ানা হলেন এবং (বিদায়ী) তাওয়াফ সম্পন্ন করলেন। (বুখারী)[1]
بَابٌ خُطْبَةُ يَوْمِ النَّحْرِ وَرَمْىِ أَيَّامِ التَّشْرِيْقِ وَالتَّوْدِيْعِ
وَعَنْ أَنَسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صَلَّى الظُّهْرَ وَالْعَصْرَ وَالْمَغْرِبَ وَالْعَشَاءَ ثُمَّ رَقَدَ رَقْدَةً بِالْمُحَصَّبِ ثُمَّ رَكِبَ إِلَى الْبَيْتِ فَطَافَ بِهِ. رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ
ব্যাখ্যা: কুরবানীর চতুর্থদিনে মিনা থেকে প্রত্যাবর্তনের পরে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যুহরের সালাত (সালাত/নামাজ/নামায) আদায় করলেন। এখান থেকে স্পষ্ট বুঝা যায়, সূর্য ঢলে যাওয়ার পরপরই যুহরের সালাত আদায়ের পূর্বেই কংকর নিক্ষেপ করতে হবে। আর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যুহরের সালাত আদায়ের পূর্বেই মিনা থেকে প্রত্যাবর্তন করেছেন। ‘আল্লামা হাফিয ইবনু হাজার আসকালানী (রহঃ) বলেন, এ হাদীসের সাথে لم يرم الا بعد الزوال তথা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কেবল সূর্য ঢলে যাওয়ার পরেই কংকর নিক্ষেপ করেছেন- এ হাদীসে কোন বিরোধ নেই। কেননা, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মিনা থেকে ফিরে আল মুহাসসাবে নেমেছেন, অতঃপর সেখানেই যুহরের সালাত আদায় করেছেন।
(ثُمَّ رَقَدَ رَقْدَةً) হালকা ঘুম দিলেন। অপর এক বর্ণনায় ثم هجع هجعة এর কথা এসেছে।
(الْمُحَصَّبِ) এটা হলো মিনা ও মক্কা নগরীর মাঝে অবস্থিত এক খোলা প্রশস্ত স্থান। এটাকে এ নামে অভিহিত করার কারণ হলো এখানে সব কংকর একত্রিত হয় যেহেতু এটা একটা নিচু ভূমি। সাহেবে শারহুল লুবাব (রহঃ) বলেন, المحصب হল الأبطح-এর অপর নামগুলো হলো আল হাসবা, বাত্বহা, খায়ফ। কেউ কেউ বলেছেন, এটা মিনার খুব সন্নিকটে কিন্তু এ কথা ঠিক নয়।