২৪৯৪

পরিচ্ছেদঃ ৭. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - মৌলিক দু‘আসমূহ

২৪৯৪-[১৩] ’উমার ইবনুল খাত্ত্বাব (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ওপর যখন ওহী অবতীর্ণ হতো তাঁর মুখে মৌমাছির গুন্ গুন্ শব্দের মতো আওয়াজ শোনা যেতে। এভাবে একদিন তাঁর ওপর ওহী নাযিল করা হলো। আমরা কিছু সময় তাঁর কাছে অপেক্ষা করলাম। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) স্বাভাবিক হয়ে কিবলার দিকে ফিরলেন এবং হাত উঠিয়ে বললেন,

’’আল্ল-হুম্মা যিদনা- ওয়ালা- তানক্বুসনা- ওয়া আকরিমনা- ওয়ালা- তুহিন্না- ওয়া আ’ত্বিনা- ওয়ালা- তাহ্‌রিম্‌না- ওয়া আ-সির্‌না- ওয়ালা- তু’সির ’আলায়না- ওয়া আর্‌যিনা- ওয়ার্‌যা ’আন্না-’’

(অর্থাৎ- হে আল্লাহ! আমাদের জন্য [তোমার দান] বাড়িয়ে দাও, কম করো না। আমাদেরকে সম্মানিত করো, অপমানিত করো না। আমাদেরকে দান করো, বঞ্চিত করো না। আমাদেরকে ক্ষমতা দাও, কাউকেও আমাদের বিপক্ষে ক্ষমতা দিও না। তুমি আমাদেরকে খুশী করো, আমাদের প্রতিও তুমি খুশী থাকো।)।

অতঃপর তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, এখন আমার ওপর দশটি আয়াত নাযিল হলো, যে ব্যক্তি এ আয়াত বাস্তবায়ন করবে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। এরপর তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তিলাওয়াত করতে লাগলেন, (সূরা মু’মিনূন-এর শুরু হতে) ’’কদ্ আফলাহাল মু’মিনূন’’ (অর্থাৎ- মু’মিনগণ কৃতকার্য হয়েছে)- এভাবে দশটি আয়াত (তিলাওয়াত) শেষ করলেন। (আহমাদ ও তিরমিযী)[1]

وَعَنْ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا أُنْزِلَ عَلَيْهِ الْوَحْيُ سُمِعَ عِنْدَ وَجْهِهِ دوِي كَدَوِيِّ النَّحْل فأنل عَلَيْهِ يَوْمًا فَمَكَثْنَا سَاعَةً فَسُرِّيَ عَنْهُ فَاسْتَقْبَلَ الْقِبْلَةَ وَرَفَعَ يَدَيْهِ وَقَالَ: «اللَّهُمَّ زِدْنَا وَلَا تَنْقُصْنَا وَأَكْرِمْنَا وَلَا تُهِنَّا وَأَعْطِنَا وَلَا تَحْرِمْنَا وَآثِرْنَا وَلَا تُؤْثِرْ عَلَيْنَا وَأَرْضِنَا وَارْضَ عَنَّا» . ثُمَّ قَالَ: «أُنْزِلَ عَلَيَّ عَشْرُ آيَاتٍ مَنْ أَقَامَهُنَّ دَخَلَ الْجَنَّةَ» ثُمَّ قَرَأَ: (قَدْ أَفْلَحَ الْمُؤْمِنُونَ)
حَتَّى خَتَمَ عَشْرَ آيَاتٍ. رَوَاهُ أَحْمَدُ وَالتِّرْمِذِيّ

وعن عمر بن الخطاب رضي الله عنه قال: كان النبي صلى الله عليه وسلم اذا انزل عليه الوحي سمع عند وجهه دوي كدوي النحل فانل عليه يوما فمكثنا ساعة فسري عنه فاستقبل القبلة ورفع يديه وقال: «اللهم زدنا ولا تنقصنا واكرمنا ولا تهنا واعطنا ولا تحرمنا واثرنا ولا توثر علينا وارضنا وارض عنا» . ثم قال: «انزل علي عشر ايات من اقامهن دخل الجنة» ثم قرا: (قد افلح المومنون) حتى ختم عشر ايات. رواه احمد والترمذي

ব্যাখ্যা: (دَوِىٌّ) ‘‘দাভিয়্যু’’ বলতে মূলত এমন আওয়াজকে বুঝায় যে আওয়াজ বুঝা যায় না। এটা ছিল জিবরীল (আঃ)-এর আওয়াজ। তিনি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট ওহী পৌঁছে দিতেন এবং এমতাবস্থায় রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর আশে-পাশে উপস্থিত সাহাবীগণ ঐ আওয়াজের কিছুই বুঝতে পারতেন না।

তুমি আমাদের সম্মানিত করো। এর অর্থ হলো তুমি দুনিয়ায় আমাদের প্রয়োজন পূরণ ও আখিরাতে আমাদের স্থান উচ্চে উঠানোর মাধ্যমে আমাদেরকে সম্মানিত করো।

তুমি আমাদেরকে সন্তুষ্ট করো। অর্থাৎ- আমাদের পক্ষে এবং বিপক্ষে যা নির্ধারণ করেছ তার প্রতি ধৈর্য ধারণ, কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপনের শক্তি, আনুগত্য বজায় রাখা ও আমাদের জন্য যা বণ্টন করে দিয়েছ তার প্রতি তুষ্ট হওয়ার মাধ্যমে আমাদেরকে তোমার প্রতি সন্তুষ্ট রাখো।

আমাদের সাধ্য অনুযায়ী যে সামান্য ও তুচ্ছ চেষ্টা ও আনুগত্য করি তার প্রতি তুমি সন্তুষ্ট থাকো এবং আমাদের খারাপ কাজের জন্য আমাদেরকে পাকড়াও করো না।

শেষে রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, যে ব্যক্তি এ সূরা আল মু’মিনূন-এর প্রথম দশটি আয়াত মুখস্থ করবে এবং এগুলোর বিধিবিধানের উপর স্থায়ীভাবে ‘আমল করবে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-১০: আল্লাহ তা‘আলার নামসমূহ (كتاب اسماء الله تعالٰى)