পরিচ্ছেদঃ ২. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - ক্ষমা ও তাওবাহ্
২৩৫৬-[৩৪] ’আবদুল্লাহ ইবনু বুসর (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ সৌভাগ্যবান হবে সে, যার ’আমলনামায় ইস্তিগফার বা ক্ষমা চাওয়া বেশি পাওয়া যাবে। (ইবনু মাজাহ। আর ইমাম নাসায়ী তাঁর ’আমলুল ইয়াওমি ওয়াল লায়লাহ্ ’’একদিন ও একরাতের ’আমল [কাজ]’’ কিতাবে বর্ণনা করেছেন।)[1]
وَعَن عبد الله بن يسر قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «طُوبَى لِمَنْ وَجَدَ فِي صَحِيفَتِهِ اسْتِغْفَارًا كَثِيرًا» . رَوَاهُ ابْنُ مَاجَهْ وَرَوَى النَّسَائِيُّ فِي «عملِ يَوْم وَلَيْلَة»
ব্যাখ্যা: (طُوبٰى) এটি الطيب থেকে একটি ক্রিয়া। আর তা জান্নাতের একটি নাম অথবা জান্নাতে একটি বৃক্ষ। একমতে বলা হয়েছে, আরাম এবং উত্তম জীবন-যাপন। কারী বলেন, طوبى অর্থাৎ- উত্তম অবস্থা, সন্তোষজনক জীবন-যাপন অথবা সুউচ্চ জান্নাতে প্রসিদ্ধ বৃক্ষ।
(اسْتِغْفَارًا كَثِيرًا) ত্বীবী বলেন, যদি বলা হয় (طوبى لمن استغفر كثيرا) অর্থাৎ- যে ব্যক্তি অধিক ক্ষমা প্রার্থনা করবে তার জন্য طوبى। কথাটি এভাবে কেন বলা হয়নি? আর এভাবে পরিবর্তন করে কেন বলা হল? আমি বলব, এটি ঐ ব্যাপারেই একটি ইঙ্গিতসূচক বিষয় ফলে তা দৃঢ়তা ও নিষ্ঠার সাথে অর্জন হওয়ার উপর প্রমাণ বহন করছে। কেননা ক্ষমা প্রার্থনাকারী যখন তার ক্ষমা প্রার্থনার ক্ষেত্রে নিষ্ঠাবান না হবেন তখন তার ক্ষমা প্রার্থনা নিরর্থক হবে তখন সে তার ‘আমলনামাতে তার বিপক্ষে দলীল এবং তার প্রতিকূল হয় এমন বিষয় ছাড়া আর কিছুই পাবে না। ত্ববারানী আওসাত গ্রন্থে যুবায়র বিন ‘আও্ওয়াম থেকে মারফূ' সূত্রে বর্ণনা করেন, যে ব্যক্তি পছন্দ করে যে, তার ‘আমলনামা তাকে আনন্দ দিক সে যেন তার ‘আমলনামাতে ক্ষমা প্রার্থনাকে বৃদ্ধি করে। হায়সামী বলেন, এর সানাদের বর্ণনাকারীগণ নির্ভরযোগ্য বায়হাক্বীও একে বর্ণনা করেছেন। মুনযিরী বলেন, এর সানাদে কোন দোষ নেই।