পরিচ্ছেদঃ ১. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - আল্লাহ সুবহানাহূ ওয়াতা‘আলার জিকির ও তাঁর নৈকট্য লাভ
২২৭৯-[১৯] ’আবদুল্লাহ ইবনু বুসর (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদিন জনৈক ব্যক্তি এসে বলল, হে আল্লাহর রসূল! আমার ওপর ইসলামের (নাফ্লী) নির্ধারিত বিধি-বিধান অনেক। তাই আমাকে সংক্ষেপে কিছু বলে দিন যা আমি সব সময় করতে পারি। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, তুমি সব সময় তোমার জিহবাকে আল্লাহর জিকিররত রাখবে। (তিরমিযী, ইবনু মাজাহ; ইমাম তিরমিযী বলেন, হাদীসটি হাসান গরীব)[1]
وَعَن عبد الله بن يسر: أَنَّ رَجُلًا قَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ شَرَائِعَ الْإِسْلَامِ قَدْ كَثُرَتْ عَلَيَّ فَأَخْبِرْنِي بِشَيْءٍ أَتَشَبَّثُ بِهِ قَالَ: لَا يَزَالُ لِسَانُكَ رَطْبًا بِذكر اللَّهِ)
رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَابْنُ مَاجَهْ وَقَالَ التِّرْمِذِيُّ: هَذَا حَدِيث حسن غَرِيب
ব্যাখ্যা: (إِنَّ شَرَائِعَ الْإِسْلَامِ) আল্লাম ত্বীবী (রহঃ) বলেন, ‘শারী‘আহ্’ শব্দটির অর্থ হলো প্রবাহমান পানির উপর উটের অবতরণস্থল। কিন্তু এখানে শারী‘আহ্ শব্দটির দ্বারা উদ্দেশ্য হলো আল্লাহ সুবহানাহূ ওয়াতা‘আলা তার বান্দার জন্য যেগুলো কর্মশালা বিধিসম্মত করেছেন যেমনঃ ফরয ও সুন্নাতসমূহ। ‘আল্লামা মুল্লা ‘আলী কারী হানাফী (রহঃ) বলেন, এখানে শারী‘আহ্ দ্বারা উদ্দেশ্য হলো নফলসমূহ।
(فَأَخْبِرْنِي بِشَىْءٍ) ‘আল্লামা ত্বীবী (রহঃ) বলেন, আমাকে এমন এক স্বল্প ‘আমলের কথা বলে দিন যার অল্প ‘আমল করেই আমি বেশি নেকী অর্জন করতে সক্ষম হই।