পরিচ্ছেদঃ ১. প্রথম অনুচ্ছেদ - আল্লাহ সুবহানাহূ ওয়াতা‘আলার জিকির ও তাঁর নৈকট্য লাভ
২২৬৫-[৫] আবূ যার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আল্লাহ তা’আলা বলেনঃ যে ব্যক্তি আমার কাছে একটি কল্যাণকর (ভালো) কাজ নিয়ে উপস্থিত হবে, তার জন্য ঐ কাজের দশগুণ বেশি কল্যাণ (সাওয়াব) রয়েছে। আর আমি এর চেয়েও বেশি দিতে পারি। আর যে ব্যক্তি একটি অকল্যাণকর (মন্দ) কাজ নিয়ে উপস্থিত হবে তার প্রতিফল স্বরূপ এক গুণই অকল্যাণ (গুনাহ) হবে অথবা আমি তাকে মাফও করে দিতে পারি। আর যে ব্যক্তি এক বিঘত পরিমাণ আমার দিকে এগিয়ে আসবে; আমি তার দিকে এক হাত এগিয়ে আসব। যে আমার দিকে হেঁটে আসে, আমি তার দিকে দৌড়ে যাই। আর যে কোন শির্ক না করে আমার কাছে পৃথিবী সমান গুনাহ করে আসে, আমি ওই পরিমাণ ক্ষমা নিয়ে তার সাথে সাক্ষাৎ করি। (মুসলিম)[1]
بَابُ ذِكْرِ اللّٰهِ عَزَّ وَجَلَّ وَالتَّقَرُّبُ إِلَيْهِ
وَعَنْ أَبِي ذَرٍّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: يَقُولُ اللَّهُ تَعَالَى: مَنْ جَاءَ بِالْحَسَنَةِ فَلَهُ عَشْرُ أَمْثَالِهَا وأزيد وَمن جَاءَ بِالسَّيِّئَةِ فجزاء سَيِّئَة مِثْلُهَا أَوْ أَغْفِرُ وَمَنْ تَقَرَّبَ مِنِّي شِبْرًا تَقَرَّبْتُ مِنْهُ ذِرَاعًا وَمِنْ تَقَرَّبَ مِنِّي ذِرَاعًا تَقَرَّبْتُ مِنْهُ بَاعًا وَمَنْ أَتَانِي يَمْشِي أَتَيْتُهُ هَرْوَلَةً وَمَنْ لَقِيَنِي بِقُرَابِ الْأَرْضِ خَطِيئَةً لَا يُشْرِكُ بِي شَيْئًا لَقِيتُهُ بِمِثْلِهَا مَغْفِرَةً . رَوَاهُ مُسلم
ব্যাখ্যা: (فَجَزَاءُ سَيِّئَةٍ مِثْلُهَا) অসৎ কাজের শাস্তি একটি করলে সেই একটিই দেব একটুও বেশি হবে না। এটা নয় যে, বিচারের মানদণ্ডে হবে।
(أَوْ أَغْفِرُ) অথবা তাকে অনুগ্রহ করে আমি ক্ষমা করে দেব।
‘আল্লামা ত্বীবী (রহঃ) বলেন, সৎকাজের জন্য আল্লাহ সুবহানাহূ ওয়াতা‘আলা বললেন, একটি করলে দশটি দ্বারা বৃদ্ধি করে দিব, এটা হচ্ছে আল্লাহর অনুগ্রহ। অপরদিকে অসৎকাজের ক্ষেত্রে আল্লাহ বলেন, একটি অসৎ কাজের বিনিময়ে একটিই শাস্তি বা বদী লেখা হবে। এরূপ হওয়ার কারণ হলো একটি সৎকাজের জন্য আল্লাহ বান্দাকে উৎসাহ দিতে গিয়ে বলেছেন। একটি সৎ কাজ করলেই তা ১০ গুণ বর্ধিত হবে। যেমনঃ কুরআনে আল্লাহ তা‘আলা বলেন, لِلَّذِيْنَ أَحْسَنُوا الْحُسْنٰى وَزِيَادَةٌ
অর্থাৎ- ‘‘যারা সৎ কাজ করবে তাদের জন্য নেকী রয়েছে এবং অতিরিক্ত বোনাসও নির্ধারিত আছে।’’ (সূরা ইউনুস ১০ : ২৬)
আর অপরদিকে খারাপ ‘আমল একটি করলে তার শাস্তি বা বদী যদি একাধিক লেখা হয় তাহলে এটা ন্যায় বিচারের পরিপন্থী যা মহান আল্লাহর শানে শোভা পায় না।