পরিচ্ছেদঃ তৃতীয় অনুচ্ছেদ
২১৭০-[৬২] ’আবদুল মালিক ইবনু ’উমায়র (রহঃ) হতে মুরসাল হাদীসরূপে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ সূরা আল ফাতিহার মধ্যে সকল রোগের আরোগ্য রয়েছে। (দারিমী, বায়হাক্বী- শু’আবূল ঈমান)[1]
اَلْفَصْلُ الثَّالِثُ
وَعَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ عُمَيْرٍ مُرْسَلًا قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «فِي فَاتِحَةِ الْكِتَابِ شِفَاءٌ مِنْ كُلِّ دَاءٍ» . رَوَاهُ الدَّارمِيّ وَالْبَيْهَقِيّ فِي شعب الْإِيمَان
ব্যাখ্যা: রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর বাণীঃ ‘‘সূরা আল ফাতিহায় সকল রোগের আরোগ্য রয়েছে’’। এ রোগ দৈহিক ও আত্মিক উভয়ই হতে পারে, অর্থাৎ- সূরা আল ফাতিহাহ্ মানুষের শরীর ও রূহের সকল ব্যাধি নিরাময় করতে পারে। এমনকি সর্প দংশনের বিশ বিধ্বংসেও এটা অমোঘ চিকিৎসা।
‘আল্লামা ত্বীবী বলেনঃ কুফর, অজ্ঞতা এবং গুনাহের রোগ সহ অন্যান্য বাহ্যিক রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসাও এর অন্তর্ভুক্ত।
হাফেয ইবনুল কইয়্যূম আল জাওযী (রহঃ) স্বীয় ‘ত্বীববুন্ নাবী’ গ্রন্থে বিভিন্ন রোগের চিকিৎসায় সূরা আল ফাতিহার ভূমিকা আলোচনা করেছেন। বিশেষ করে বিষক্রিয়া বিনষ্টের বিষয় বিস্তারিত আলোচনা সেখানে রয়েছে। তিনি (সহীহুল বুখারীতে বর্ণিত) সূরা আল ফাতিহাহ্ দিয়ে ঝাড়ফুঁক দিয়ে সাপের বিষ নামানোর হাদীস উল্লেখ করেছেন। এছাড়াও সূরা আল ফাতিহাহ্ কোন পাত্রে লিখে তা ধুয়ে অসুস্থ ব্যক্তিকে পান করানো সংক্রান্ত বিস্তারিত মাসআলাহ্ সেখানে লিপিবদ্ধ রয়েছে, প্রয়োজনে উক্ত গ্রন্থ সংগ্রহ করুন এবং দেখে নিন।