২১৪৭

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ

২১৪৭-[৩৯] আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ প্রত্যেক জিনিসের ’কলব’ (হৃদয়) আছে। কুরআনের ’কলব’ হলো, ’সূরা ইয়াসীন’। যে ব্যক্তি এ সূরা একবার পড়বে, আল্লাহ তা’আলা তার জন্য একবার পড়ার কারণে দশবার কুরআন পড়ার সাওয়াব লিখবেন। (তিরমিযী, দারিমী। ইমাম তিরমিযী এ হাদীসটিকে গরীব বলেছেন।)[1]

اَلْفَصْلُ الثَّانِىْ

وَعَنْ أَنَسٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّ لِكُلِّ شَيْءٍ قَلْبًا وَقَلْبُ الْقُرْآنِ (يس)
وَمَنْ قَرَأَ (يس)
كَتَبَ اللَّهُ لَهُ بِقِرَاءَتِهَا قِرَاءَةَ الْقُرْآنِ عَشْرَ مَرَّاتٍ» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَالدَّارِمِيُّ وَقَالَ التِّرْمِذِيُّ هَذَا حَدِيثٌ غَرِيب

وعن انس قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: «ان لكل شيء قلبا وقلب القران (يس) ومن قرا (يس) كتب الله له بقراءتها قراءة القران عشر مرات» . رواه الترمذي والدارمي وقال الترمذي هذا حديث غريب

ব্যাখ্যা: সূরা ইয়াসীন কুরআনের কলব বা হৃদপিন্ড এর অর্থ হলো কুরআনের মাজ্জা বা সারবস্ত্ত। সূরাটি ছোট হওয়া সত্ত্বেও এতে রয়েছে আল্লাহ তা‘আলার সুস্পষ্ট দলীল, যুক্তি নিদর্শন, সুরক্ষিত জ্ঞানভাণ্ডার, সূক্ষ্ম ও গুরুতর অর্থ, শ্রেষ্ঠ ওয়া‘দাসমূহ এবং পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা।

ইমাম গাযালী (রহঃ) বলেন, হাশর-নাশরের স্বীকৃতির উপর ঈমানের বিশুদ্ধতা প্রমাণিত হয়, এ সূরায় এটা পূর্ণমাত্রায় রয়েছে। এ কারণেই এ সূরাকে কুরআনের কলব বলা হয়েছে।

ইমাম ফখরুদ্দীন রাযী এটিকে একটি উত্তম ব্যাখ্যা বলে অভিহিত করেছেন। তিনি স্বীয় লুম্‘আত গ্রন্থে বলেন, কোন বস্ত্তর কলব হলো তার মাখন সদৃশ, সুতরাং সূরাটি আকারে ছোট হলেও তা আল কুরআনের পূর্ণ মাকাসিদ বা উদ্দেশাবলীর ক্ষেত্রে মাখন সদৃশ। আল্লাহর হাতেই এ ক্ষমতা এবং তারই ইচ্ছা, তিনি যে বস্ত্ততে ইচ্ছা বিশেষ মর্যাদা ও বিশেষত্ব দান করে থাকেন। যেমন লায়লাতুল কদরকে সকল সময়ের উপর বিশেষ মর্যাদা দান করেছেন। এমনভাবেই আল্লাহ তা‘আলা সূরা ইয়াসীন তিলাওয়াতের অতিরিক্ত বা বিশেষ মর্যাদা দান করেছেন।


হাদিসের মানঃ জাল (Fake)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৮: কুরআনের মর্যাদা (كتاب فضائل القراٰن)