২১২৪

পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ

২১২৪-[১৬] ’আবদুল্লাহ ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদিন জিবরীল আমীন (আঃ) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে বসে ছিলেন। এ সময় উপরের দিক হতে দরজা খোলার শব্দ [জিবরীল (আঃ)] শুনলেন। তিনি উপরের দিকে মাথা উঠালেন এবং বললেন, আসমানের এ দরজাটি আজ খোলা হলো। এর আগে আর কখনো তা খোলা হয়নি। (রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ) এ দরজা দিয়ে একজন মালাক (ফেরেশতা) নামলেন। তখন জিবরীল (আঃ) বললেন, যে মালাক (আজ) জমিনে নামলেন, আজকে ছাড়া আর কখনো তিনি জমিনে নামেননি। (রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,) তিনি সালাম করলেন। তারপর আমাকে বললেন, আপনি দু’টি নূরের সুসংবাদ গ্রহণ করুন। এটা আপনার আগে আর কোন নবীকে দেয়া হয়নি। (তাহলো) সূরা আল ফাতিহাহ্ ও সূরা আল বাকারাহ্’র শেষাংশ। আপনি এ দু’টি সূরার যে কোন বাক্যই পাঠ করুন না কেন নিশ্চয়ই আপনাকে তা দেয়া হবে। (মুসলিম)[1]

اَلْفَصْلُ الْأَوَّلُ

وَعَن ابْن عَبَّاس قَالَ: بَيْنَمَا جِبْرِيلُ قَاعِدٌ عِنْدَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سَمِعَ نَقِيضًا مِنْ فَوْقِهِ فَرَفَعَ رَأْسَهُ فَقَالَ: «هَذَا بَابٌ مِنَ السَّمَاءِ فُتِحَ الْيَوْمَ لَمْ يُفْتَحْ قَطُّ إِلَّا الْيَوْمَ فَنَزَلَ مِنْهُ مَلَكٌ فَقَالَ هَذَا مَلَكٌ نَزَلَ إِلَى الْأَرْضِ لَمْ يَنْزِلْ قَطُّ إِلَّا الْيَوْمَ فَسَلَّمَ وَقَالَ أَبْشِرْ بِنُورَيْنِ أُوتِيتَهُمَا لَمْ يُؤْتَهُمَا نَبِيٌّ قَبْلَكَ فَاتِحَةُ الْكِتَابِ وَخَوَاتِيمُ سُورَةِ الْبَقَرَةِ لَنْ تَقْرَأَ بِحَرْفٍ مِنْهُمَا إِلَّا أَعْطيته» . رَوَاهُ مُسلم

وعن ابن عباس قال: بينما جبريل قاعد عند النبي صلى الله عليه وسلم سمع نقيضا من فوقه فرفع راسه فقال: «هذا باب من السماء فتح اليوم لم يفتح قط الا اليوم فنزل منه ملك فقال هذا ملك نزل الى الارض لم ينزل قط الا اليوم فسلم وقال ابشر بنورين اوتيتهما لم يوتهما نبي قبلك فاتحة الكتاب وخواتيم سورة البقرة لن تقرا بحرف منهما الا اعطيته» . رواه مسلم

ব্যাখ্যা: সূরা আল ফাতিহাহ্ ও সূরা আল বাকারাহ্’র শেষ অংশ নিয়ে মালাকের অবতরণ ছিল দ্বিতীয় পর্যায়ে। কেননা সূরা আল ফাতিহাহ্ একবার মক্কায় নাযিল হয়েছিল এবং এ সময় তা জিবরীলের মাধ্যমেই নাযিল হয়েছিল। পরবর্তীবার অন্য মালাকের মাধ্যমে তা নাযিল ছিল তার সাওয়াব সহ নাযিল হওয়া। এ নাযিলের সময় জিবরীল (আঃ) নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছেই ছিলেন। এ নাযিলের সময় জিবরীলকে সম্পৃক্ত করা হলে তার অর্থ হবে তিনি এ সূরা ও আয়াতের ফাযীলাত নিয়ে অন্য মালাকের আগমনের সংবাদ নিয়ে এবং তার তা‘লিমের জন্য আগেই এসেছিলেন। সুতরাং এতে তিনিও যেন অংশীদার।

সূরা ফাতিহাহ্ এবং সূরা বাকারাহ্’র শেষ অংশকে দু’টি নূর বলে নামকরণ করা হয়েছে এজন্য যে, কিয়ামতের দিন এ দু’টি তার পাঠকের জন্য নূর হয়ে তার সামনে দিয়ে চলতে থাকবে। অথবা এর অর্থ এ দু’টি সূরা ও আয়াত দু’টি তাকে সিরাতে মুস্তাক্বীমের পথ দেখিয়ে থাকে এবং হিদায়াত দান করে থাকে।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৮: কুরআনের মর্যাদা (كتاب فضائل القراٰن)