২০৬২

পরিচ্ছেদঃ ৬. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - নফল সিয়াম প্রসঙ্গে

২০৬২-[২৭] আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ’আরাফার দিন ’আরাফার ময়দানে সওম রাখতে নিষেধ করেছেন। (আবূ দাঊদ)[1]

وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: نَهَى عَنْ صَوْمِ يَوْمِ عَرَفَةَ بِعَرَفَةَ. رَوَاهُ أَبُو دَاوُد

وعن ابي هريرة رضي الله عنه ان رسول الله صلى الله عليه وسلم: نهى عن صوم يوم عرفة بعرفة. رواه ابو داود

ব্যাখ্যা: (نَهٰى) অর্থাৎ- ‘আরাফায় অবস্থানকালে, তবে অন্যান্যদের জন্য উক্ত দিনে সিয়াম রাখা মুস্তাহাব। যেমন আবূ কাতাদাহ্ (রাঃ) বর্ণিত হাদীসে তা অতিবাহিত হয়েছে।

‘আমীর আল ইয়ামামী (রহঃ) বলেন, হাদীসের বাহ্যিক দিক হতে প্রতীয়মান হয় যে, ‘আরাফার ময়দানে উক্ত দিবসে সিয়াম পালন করা হারাম। আর ইয়াহ্ইয়া বিন সা‘ঈদ এ মতই গ্রহণ করেছেন। আর তিনি বলেছেন, হাজীদের ওপর ঐ দিনে সিয়াম পালন না করাই মুস্তাহাব। কেউ কেউ বলেছেন যে, নির্ধারিত দু‘আ পাঠ হতে দুর্বল হওয়ার আশংকা না থাকলে এ দিনে সিয়াম পালনে কোন অসুবিধা নেই। ইমাম শাফি‘ঈ (রহঃ) হতে বর্ণিত রয়েছে এবং আল খাত্ত্বাবী (রহঃ) তা পছন্দ করেছেন।

আর জমহূর ‘উলামাগণ বলেন, এ দিনে সিয়াম পালন না করাই মুস্তাহাব। এবং নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর বিশুদ্ধ বাণী প্রমাণিত আছে যে, তিনি হাজ্জের সময় ‘আরাফায় সিয়ামবিহীন ছিলেন। যেমন তা পূর্বে আলোচিত হয়েছে।


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৭: সওম (রোযা) (كتاب الصوم)