পরিচ্ছেদঃ ৬. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - নফল সিয়াম প্রসঙ্গে
২০৬১-[২৬] মুসলিম আল কুরাশী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি অথবা অন্য কোন ব্যক্তি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে সবসময়ে সওম পালনের বিষয় জিজ্ঞেস করেছে। তখন তিনি বলেছেন, তোমার ওপর তোমার পরিবার-পরিজনের হক আছে। রমাযান (রমজান) মাসের সওম রাখো। আর রমাযান (রমজান) মাসের সাথের দিনগুলোতে রাখো। অর্থাৎ- ঈদুল ফিতরের পরের দিন থেকে ছয়টি সওম পালন কর। আর প্রত্যেক বুধ, বৃহস্পতিবার রাখতে পার। যদি তুমি এ দিনগুলো সওম রাখো তাহলে মনে করবে যে, তুমি সব সময়ই সিয়াম রেখেছ। (আবূ দাঊদ, তিরমিযী)[1]
وَعَن مُسلم الْقرشِي قَالَ: سَأَلت أَوْ سُئِلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَن صِيَام الدَّهْر فَقَالَ: «إِنَّ لِأَهْلِكَ عَلَيْكَ حَقًّا صُمْ رَمَضَانَ وَالَّذِي يَلِيهِ وَكُلَّ أَرْبِعَاءَ وَخَمِيسٍ فَإِذًا أَنْتَ قَدْ صُمْتَ الدَّهْرَ كُلَّهُ» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ وَالتِّرْمِذِيُّ
ব্যাখ্যা: রমাযান (রমজান) মাসের সিয়াম ও তার সাথে সংশ্লিষ্ট শাওয়াল মাসের ছয়টি সিয়াম পালন করা পূর্ণ বছরের সিয়াম পালনের সমান। যেমন পূর্বে আবূ আইয়ূব (রাঃ) বর্ণিত হাদীস অতিবাহিত হয়েছে। আর প্রতি বুধবার ও বৃহস্পতিবারের সিয়ামও অনুরূপ। বরং এটা পূর্ণ বছরের সিয়ামের উপর অতিরিক্তও বটে। কেননা কোন মাস তো চারটি বুধবার ও চারটি বৃহস্পতিবার হতে মুক্ত নয়। সুতরাং প্রতি মাসে চারটি বুধবার ও চারটি বৃহস্পতিবারে সিয়াম পালন করবে। তখন তো প্রতি মাসে আটটি সিয়াম পালন করা হবে। আর তিনদিন (আইয়্যামে বীয) সিয়াম পালন করা যখন পূর্ণ মাসের সিয়ামের সমান হবে তখন তো আটদিন সিয়াম পালন করা পূর্ণ মাসের সিয়ামেরও বেশি হবে।