২০৪৮

পরিচ্ছেদঃ ৬. প্রথম অনুচ্ছেদ - নফল সিয়াম প্রসঙ্গে

২০৪৮-[১৩] আবূ সা’ঈদ আল্ খুদরী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহার দিন সওম পালন করতে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিষেধ করেছেন। (বুখারী, মুসলিম)[1]

بَابُ صِيَامِ التَّطَوُّعِ

وَعَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ قَالَ: نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ صَوْمِ يَوْمِ الْفِطْرِ وَالنَّحْرِ

وعن ابي سعيد الخدري قال: نهى رسول الله صلى الله عليه وسلم عن صوم يوم الفطر والنحر

ব্যাখ্যা: সহীহ মুসলিমে ‘উমার (রাঃ) বর্ণিত হাদীসে রয়েছে যে, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঈদের সালাত আদায় করলেন, অতঃপর মানুষদের উপলক্ষে খুৎবাহ্ প্রদান করলেন এবং বললেন, নিশ্চয়ই নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ দু’দিনে (ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহা) সিয়াম পালন করতে নিষেধ করেছেন। একদিন তোমাদের সিয়াম (রমাযানের সিয়াম) ভঙ্গের দিন আর অপরদিন কুরবানী ভক্ষণের দিন। আলোচ্য হাদীসটি উল্লেখিত দু’দিনে সিয়াম পালন করা হারাম হওয়ার জন্য দলীল। কেননা نَهٰى-এর মৌলিকত্ব হলো হারাম সাব্যস্ত করা। আর সকল ‘উলামাগণ এ মতই প্রদান করেছেন।

‘আল্লামা ইবনুল কুদামাহ্ (রহঃ) বলেন, সকল বিদ্বানগণ এই মর্মে একমত হয়েছেন যে, উল্লেখিত দু’দিনে (ঈদুল ফিতর ও আযহা) নফল সিয়াম, মানৎ-এর সিয়াম, কাযা সিয়াম ও কাফফারার সিয়াম পালন করা নিষিদ্ধ ও হারাম। এ মর্মে ইবনু আযহারের ক্রীতদাস আবূ ‘উবায়দ (রহঃ) এর সূত্রে উপরে উল্লেখিত হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা রয়েছে। আর আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) ও আবূ সা‘ঈদ আল খুদরী (রাঃ) হতে বুখারী ও মুসলিমে অনুরূপ বর্ণনা রয়েছে, এবং এরই উপরে ইমাম নাবাবী, হাফেয আসকালানী, যুরক্বানী, আয়নী প্রমুখগণের ইজমা রয়েছে।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৭: সওম (রোযা) (كتاب الصوم)