২০৪৭

পরিচ্ছেদঃ ৬. প্রথম অনুচ্ছেদ - নফল সিয়াম প্রসঙ্গে

২০৪৭-[১২] আবূ আইয়ূব আল আনসারী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি এ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন যে, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি রমাযান (রমজান) মাসের সওম রাখবে। এরপর সে শাওয়াল মাসের ছয়টি সওমও রাখবে তাহলে সে একাধারে সওম পালনকারী গণ্য হবে। (মুসলিম)[1]

بَابُ صِيَامِ التَّطَوُّعِ

وَعَنْ أَبِي أَيُّوبَ الْأَنْصَارِيِّ أَنَّهُ حَدَّثَهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «مَنْ صَامَ رَمَضَانَ ثُمَّ أَتْبَعَهُ سِتًّا مِنْ شَوَّال كَانَ كصيام الدَّهْر» . رَوَاهُ مُسلم

وعن ابي ايوب الانصاري انه حدثه ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قال: «من صام رمضان ثم اتبعه ستا من شوال كان كصيام الدهر» . رواه مسلم

ব্যাখ্যা: আলোচ্য হাদীসে দলীল রয়েছে যে, শাওয়াল মাসে ছয়টি সিয়াম পালন করা মুস্তাহাব। আর এটাই ইমাম শাফি‘ঈ, ইমাম আহমাদ, দাঊদ (রহঃ) এবং হানাফী মাযহাবের মুতাআখখিরীন ‘উলামাগণের মত। তবে ইমাম মালিক ও ইমাম আবূ হানীফাহ্ (রহঃ)-এর মতে এ সিয়াম পালন করা মাকরূহ।

কতিপয় হানাফী ‘আলিমগণ বলেন যে, ইমাম আবূ হানীফাহ্ (রহঃ)-এর শাওয়াল মাসের ছয়টি সিয়াম পালন করা মাকরূহ বলা দ্বারা উদ্দেশ্য হলোঃ ঈদুল ফিতরের দিনসহ পরবর্তী পাঁচদিন সিয়াম পালন করা মাকরূহ। ঈদুল ফিতর বাদে পরবর্তী ছয়দিন সিয়াম পালন করলে তা কখনই মাকরূহ হবে না। বরং তা মুস্তাহাব এবং সুন্নাত।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৭: সওম (রোযা) (كتاب الصوم)