পরিচ্ছেদঃ ৬. প্রথম অনুচ্ছেদ - নফল সিয়াম প্রসঙ্গে
২০৪০-[৫] ’আবদুল্লাহ ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি কখনো নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে সওম পালনের ক্ষেত্রে ’আশূরার দিনের সওম ছাড়া অন্য কোন দিনের সওমকে এবং এ মাস (অর্থাৎ-) রমাযান (রমজান) ছাড়া অন্য কোন মাসের সওমকে অধিক মর্যাদা দিতে দেখিনি। (বুখারী, মুসলিম)[1]
بَابُ صِيَامِ التَّطَوُّعِ
وَعَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: مَا رَأَيْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَتَحَرَّى صِيَامَ يَوْمٍ فَضَّلَهُ عَلَى غَيْرِهِ إِلَّا هَذَا الْيَوْمَ: يَوْمَ عَاشُورَاءَ وَهَذَا الشَّهْرُ يَعْنِي شَهْرَ رَمَضَان
ব্যাখ্যা: আলোচ্য হাদীসের ক্ষেত্রে ‘আল্লামা আসকালানী (রহঃ) বলেন, ইবনু ‘আব্বাস (هٰذَا الشَّهْرُ) ‘‘এই মাস পর্যন্ত বলেছেন’’-এর দ্বারা তিনি ইঙ্গিত করেছেন, তিনি যেন রমাযান (রমজান) এবং ‘আশূরার আলোচনাকেই প্রাধান্য দিচ্ছেন। আর এ কারণে তার থেকে যিনি বর্ণনা করেছেন তিনি (يَعْنِىْ شَهْرَ) অর্থাৎ- রমাযান (রমজান) কথাটি বললেন, কিংবা রাবী তা সীমাবদ্ধতার দৃষ্টিতে গ্রহণ করলেন যে, রমাযান (রমজান) ব্যতীত কোন মাসেই তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) পূর্ণ সিয়াম পালন করেননি। যেমন ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) কর্তৃক অপর বর্ণনায় রয়েছে যে, আমি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে রমাযান (রমজান) ব্যতীত অন্য কোন মাসেই পূর্ণ করে সিয়াম পালন করতে দেখিনি।
‘আল্লামা শাওকানী (রহঃ) বলেন, আলোচ্য হাদীসটি এ মর্মে চাহিদা রাখে যে, রমাযানের পর সর্বোত্তম সিয়াম হলো ‘আশূরার সিয়াম।