২০৩৯

পরিচ্ছেদঃ ৬. প্রথম অনুচ্ছেদ - নফল সিয়াম প্রসঙ্গে

২০৩৯-[৪] আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ রমাযান (রমজান) মাসের সওমের পরে উত্তম সওম হলো আল্লাহর মাস, মুহাররম মাসের ’আশূরার সওম। আর ফরয সালাতের পরে সর্বোত্তম সালাত হলো রাতের সালাত (অর্থাৎ- তাহাজ্জুদ)। (মুসলিম)[1]

بَابُ صِيَامِ التَّطَوُّعِ

وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَفْضَلُ الصِّيَامِ بَعْدَ رَمَضَانَ شَهْرُ اللَّهِ الْمُحَرَّمِ وَأَفْضَلُ الصَّلَاةِ بَعْدَ الْفَرِيضَةِ صَلَاةُ اللَّيْلِ» . رَوَاهُ مُسلم

وعن ابي هريرة رضي الله عنه قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: «افضل الصيام بعد رمضان شهر الله المحرم وافضل الصلاة بعد الفريضة صلاة الليل» . رواه مسلم

ব্যাখ্যা: ‘আল্লামা ত্বীবী (রহঃ) বলেন, এখানে মুহাররমের সিয়াম দ্বারা ‘আশূরার সিয়াম উদ্দেশ্য।

‘আল্লামা সিনদী (রহঃ) আবূ দাঊদ ও ইবনু মাজাহর প্রান্তটীকায় উল্লেখ করেছেন যে, এক লোক নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে জিজ্ঞেস করল, হে আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম! রমাযানের পর আমাদেরকে কোন্ মাসের সিয়াম পালনের নির্দেশ প্রদান করবেন? জবাবে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, রমাযানের পর যদি তুমি সিয়াম পালন করতে চাও তবে মুহাররম মাসে সিয়াম পালন করবে। কেননা তা আল্লাহর মাস। অর্থাৎ- তা হারাম মাসের একটি।

(وَأَفْضَلُ الصَّلَاةِ بَعْدَ الْفَرِيضَةِ صَلَاةُ اللَّيْلِ) আর সালাতের ব্যাপারে ‘আল্লামা নাবাবী (রহঃ) বলেন, এতে দলীল রয়েছে এবং ‘উলামাগণের ঐকমত্যও রয়েছে যে, দিনের নফল ‘ইবাদাতের তুলনায় রাত্রের নফল ‘ইবাদাতই উত্তম।

আর এতে আবূ ইসহাক আল মারূযী-এর দলীল রয়েছে, তার মত হলো, ধারাবাহিক সুন্নাত (দৈনন্দিন ১২ রাক্‘আত) এর চাইতে রাতের নফল সালাতই উত্তম। তবে অধিকাংশ ‘উলামার মতে দৈনন্দিন ১২ রাক্‘আতই উত্তম। কারণ তা ফরযের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৭: সওম (রোযা) (كتاب الصوم)