পরিচ্ছেদঃ ২. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - সওম পর্বের বিক্ষিপ্ত মাস্আলাহ্
১৯৯১-[১০] আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সালাতের আগে কিছু তাজা খেজুর দিয়ে ইফতার করতেন। যদি তাজা খেজুর না পেতেন, শুকনা খেজুর দিয়ে করতেন। যদি শুকনা খেজুরও না পেতেন, কয়েক চুমুক পানি পান করে নিতেন। (তিরমিযী, আবূ দাঊদ। আর ইমাম তিরমিযী বলেন, এ হাদীসটি হাসান ও গরীব।)[1]
وَعَنْ أَنَسٍ قَالَ: كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُفْطِرُ قَبْلَ أَنْ يُصَلِّيَ عَلَى رطبات فَإِن لم تكن فتميرات فإنلم تكن تُمَيْرَات حسى حَسَوَاتٍ مِنْ مَاءٍ. رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَأَبُو دَاوُدَ. وَقَالَ التِّرْمِذِيُّ: هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيب
ব্যাখ্যা: (يُفْطِرُ قَبْلَ أَنْ يُصَلِّيَ) ‘‘সালাত আদায়ের পূর্বেই ইফতার করতেন।’’ অর্থাৎ- নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মাগরিবের সালাতের আগে ইফতার করতেন। এতে এ ইঙ্গিত পাওয়া যায় যে, সূর্যাস্তের পর দ্রুত ইফতার করা মুস্তাহাব। তবে ‘উমার ও ‘উসমান থেকে সহীহ সূত্রে বর্ণিত আছে যে, তারা উভয়ে রমাযান (রমজান) মাসে সূর্যাস্তের পর মাগরিবের সালাত আদায় করতেন। অতঃপর সালাত আদায়ের পর ইফতার করতেন। এতে বুঝা যায়, বিলম্বে ইফতার করা বৈধ, তথা দ্রুত ইফতার করা ওয়াজিব নয়। অত্র হাদীস এটাও প্রমাণ করে যে, রুতাব তথা তাজা খেজুর দ্বারা ইফতার করা মুস্তাহাব। তা পাওয়া না গেলে শুকনা খেজুর, তাও পাওয়া না গেলে পানি দিয়ে ইফতার করবে।
যারা বলে থাকেন মক্কাতে রমাযানের পানি দ্বারা ইফতার করা সুন্নাত, অথবা খেজুরের পানি মিশিয়ে ইফতার করবে তা এ জন্য প্রত্যাখ্যাত যে, তা রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর অনুসরণের বিপরীত। কেননা মক্কা বিজয়ের বৎসর তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) মক্কাতে অনেকদিন সিয়াম পালন করেছেন কিন্তু এটা বর্ণিত হয়নি যে, তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তার চিরাচরিত অভ্যাস পরিত্যাগ করে পানি দিয়ে ইফতার করেছেন। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) যদি তা করতেন তবে অবশ্যই তা বর্ণিত হত।