১৭২৫

পরিচ্ছেদঃ ৭. প্রথম অনুচ্ছেদ - মৃত ব্যক্তির জন্য কাঁদা

১৭২৫-[৪] ’আবদুল্লাহ ইবনু মাস্’ঊদ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি (মৃত ব্যক্তির শোকে) নিজের মুখাবয়বে আঘাত করে, জামার গলা ছিঁড়ে ফেলে ও জাহিলিয়্যাতের যুগের মতো হা-হুতাশ করে বিলাপ করে, সে আমাদের দলের মধ্যে গণ্য নয়। (বুখারী, মুসলিম)[1]

اَلْبُكَاءُ عَلَى الْمَيِّتِ

وَعَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَيْسَ مِنَّا مَنْ ضَرَبَ الْخُدُودَ وَشَقَّ الْجُيُوبَ وَدَعَا بِدَعْوَى الْجَاهِلِيَّةِ»

وعن عبد الله بن مسعود قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: «ليس منا من ضرب الخدود وشق الجيوب ودعا بدعوى الجاهلية»

ব্যাখ্যা: এ হাদীসে ইসলামের দৃষ্টিতে কয়েকটি অপছন্দনীয় কাজের কথা বলা হয়েছে। হাদীসের মধ্যে (ليس منا) এর অর্থ হল, সে আমার সুন্নাত ও পথের অনুসারী নয়। এর দ্বারা উদ্দেশ্য হল, তাকে দীন থেকে বের করা। তবে আহলুস্ সুন্নাহর মতে কোন পাপ কাজের দ্বারা কাফির হয় না। তবে এখানে এ কথা দ্বারা যেসব কাজের হারামের দলীল গ্রহণ করা হয়েছে তা হল যারা কষ্টের সময় গন্ডদেশে আঘাত করে, শোকে-দুঃখে কাপড় ছিঁড়ে ফেলে এবং জাহিলী লোকদের মতো দু‘আ করে।

সহীহ মুসলিমে বর্ণিত হয়েছে যে, জাহিলী যুগের দু‘আ বলতে ইসলাম আগমনের পূর্বের লোকদের দু‘আকে বুঝানো হয়েছে। মূলত জাহিলী যুগের লোকেরা একজন আরেকজনের জন্য বদ্দু‘আ তথা ধ্বংস ও ক্ষতির জন্য দু‘আ করত। যা অত্যন্ত ঘৃণিত কাজ। সুতরাং আমাদের এসব ঘৃণিত কাজ হতে বেচে থাকতে হবে। তাহলে রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সুন্নাত ও পথের অনুসারী হওয়া যাবে।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৫: জানাযা (كتاب الجنائز)