১৭২৪

পরিচ্ছেদঃ ৭. প্রথম অনুচ্ছেদ - মৃত ব্যক্তির জন্য কাঁদা

১৭২৪-[৩] ’আবদুল্লাহ ইবনু ’উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, সা’দ ইবনু ’উবাদাহ্ খুব অসুস্থ হয়ে পড়লে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁকে দেখতে গেলেন। তাঁর সাথে ছিলেন ’আবদুর রহমান ইবনু ’আওফ, সা’দ ইবনু আবূ ওয়াক্বক্বাস ও ’আবদুল্লাহ ইবনু মাস্’ঊদ। তিনি ওখানে প্রবেশ করে সা’দ ইবনু ’উবাদাহকে বেহুঁশ অবস্থায় পেলেন। জিজ্ঞেস করলেন, সে কি মারা গেছে? সাহাবী জবাব দিলেন, জ্বী না, হে আল্লাহর রসূল! তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কাঁদতে লাগলেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে কাঁদতে দেখে সাহাবীগণও কাঁদতে লাগলেন। এ সময় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ সাবধান তোমরা শুনে রাখো অশ্রু বিসর্জন ও মনের শোকের কারণে আল্লাহ তা’আলা কাউকে শাস্তি দেবেন না। তিনি তার মুখের দিকে ইশারা করে বললেন, অবশ্য আল্লাহ এজন্য ’আযাবও দেন আবার রহমতও করেন। আর মৃতকে তার পরিবার-পরিজনের বিলাপের কারণে ’আযাব দেয়া হয়। (বুখারী, মুসলিম)[1]

اَلْبُكَاءُ عَلَى الْمَيِّتِ

وَعَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ قَالَ: اشْتَكَى سَعْدُ بْنُ عُبَادَةَ شَكْوًى لَهُ فَأَتَاهُ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَعُودُهُ مَعَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ وَسَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ فَلَمَّا دَخَلَ عَلَيْهِ وَجَدَهُ فِي غَاشِيَةٍ فَقَالَ: (قَدْ قَضَى؟ قَالُوا: لَا يَا رَسُولَ اللَّهِ فَبَكَى النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَلَمَّا رَأَى الْقَوْمُ بُكَاءَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَكَوْا فَقَالَ: أَلَا تَسْمَعُونَ؟ أَنَّ اللَّهَ لَا يُعَذِّبُ بِدَمْعِ الْعَيْنِ وَلَا بِحُزْنِ الْقَلْبِ وَلَكِنْ يُعَذِّبُ بِهَذَا وَأَشَارَ إِلَى لِسَانِهِ أَوْ يَرْحَمُ وَإِن الْمَيِّت لعيذب ببكاء أَهله

وعن عبد الله بن عمر قال: اشتكى سعد بن عبادة شكوى له فاتاه النبي صلى الله عليه وسلم يعوده مع عبد الرحمن بن عوف وسعد بن ابي وقاص وعبد الله بن مسعود فلما دخل عليه وجده في غاشية فقال: (قد قضى؟ قالوا: لا يا رسول الله فبكى النبي صلى الله عليه وسلم فلما راى القوم بكاء النبي صلى الله عليه وسلم بكوا فقال: الا تسمعون؟ ان الله لا يعذب بدمع العين ولا بحزن القلب ولكن يعذب بهذا واشار الى لسانه او يرحم وان الميت لعيذب ببكاء اهله

ব্যাখ্যা: আলোচ্য হাদীসে মৃত ব্যক্তির জন্য তার আত্মীয়-স্বজনের ক্রন্দনের নিয়ম সম্পর্কে আলোকপাত করা হয়েছে। মৃত ব্যক্তির আত্মীয়-স্বজন তার জন্য উচ্চ আওয়াজে বিলাপ ব্যতীত শুধু চোখের পানি ছেড়ে দিয়ে ক্রন্দন করতে পারবে। মৃত ব্যক্তির জন্য মনে মনে দুঃখ-কষ্ট পাওয়া এটা কোন দোষের নয়। মৃত ব্যক্তির আত্মীয়-স্বজন বিভিন্ন প্রকার বিলাপ করে ক্রন্দন করতে পারবে না। যদি কেউ এরূপ করে তাহলে মৃত ব্যক্তিদের শাস্তি দেয়া হয় তবে তা সর্বাবস্থায় নয়। বরং ঐ অবস্থায় যখন সে তার পরিবারকে বা অন্য কাউকে ওয়াসিয়্যাত করবে বা এসব কাজে সন্তুষ্ট থাকবে ফলে পরিবারকে নিষেধ করবে না, তাহলে তাকে এ কারণে ‘আযাব দেয়া হবে, অন্যথায় নয়। এ হাদীস থেকে এ কথাও বুঝা যায় যে, রোগীর সেবা-যত্ন করা মুস্তাহাব তথা অত্যধিক সাওয়াবের কাজ। নেতা তার অধীনস্ত ব্যক্তিদের রোগের সময় তাদের দেখতে যাবে এ থেকে আরো বুঝা যায় যে, রোগীর কাছে বসে ক্রন্দন করা জায়িয তথা বৈধ।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৫: জানাযা (كتاب الجنائز)