১৬৩২

পরিচ্ছেদঃ ৩. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - মুমূর্ষু ব্যক্তির নিকট যা বলতে হয়

১৬৩২-[১৭] ’আবদুর রহমান ইবনু কা’ব (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি তাঁর পিতা হতে বর্ণনা করেন যে, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন যে, মু’মিনের রূহ (আলামে বারযাখে) পাখীর ক্বালবে থেকে জান্নাতের গাছ থেকে ফল-ফলাদি খেতে থাকবে যে পর্যন্ত আল্লাহ তা’আলা (তাকে উঠাবার দিন) এ রূহ তার শরীরে ফিরিয়ে না দেন (অর্থাৎ কিয়ামতের (কিয়ামতের) দিন)।’’ (মালিক, নাসায়ী, বায়হাক্বী- কিতাবুল বা’সি ওয়ান্ নুশূর)[1]

وَعَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ كَعْبٍ عَنْ أَبِيهِ قَالَ: أَنَّهُ كَانَ يُحَدِّثُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «إِنَّا نسمَة الْمُؤمن طير طَيْرٌ تَعْلُقُ فِي شَجَرِ الْجَنَّةِ حَتَّى يُرْجِعَهُ اللَّهُ فِي جَسَدِهِ يَوْمَ يَبْعَثُهُ» . رَوَاهُ مَالِكٌ وَالنَّسَائِيّ وَالْبَيْهَقِيّ فِي كتاب الْبَعْث والنشور

وعن عبد الرحمن بن كعب عن ابيه قال: انه كان يحدث ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قال: «انا نسمة المومن طير طير تعلق في شجر الجنة حتى يرجعه الله في جسده يوم يبعثه» . رواه مالك والنساىي والبيهقي في كتاب البعث والنشور

ব্যাখ্যা: ইমাম নাবাবী বলেন, ‘নাসামাহ্’ বলতে মানুষের সাথে শরীর ও রূহকে এক সঙ্গে বুঝায় আর রূহ বলতে স্বতন্ত্রভাবে বুঝায়। হাদীসের ভাষ্যমতে রূহ আল্লাহর আদেশে পাখির আকৃতি ধারণ করে যেমন মালায়িকাহ্ (ফেরেশতারা) মানুষের আকৃতি ধারণ করে।

আর সম্ভাবনা রয়েছে, রূহ পাখির শরীরে প্রবেশ করে যেমন অন্য বর্ণনা (أجواف طير) পাখির পেটের মধ্যে।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৫: জানাযা (كتاب الجنائز)