পরিচ্ছেদঃ ৪৭. প্রথম অনুচ্ছেদ - দু’ ঈদের সালাত
১৪৩৩-[৮] আনাস (রাঃ) বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঈদুল ফিতরের দিন কয়েকটি খেজুর না খেয়ে বের হতেন না। আর খেজুরও খেতেন তিনি বেজোড়। (বুখারী)[1]
بَابُ صَلَاةِ الْعِيْدَيْنِ
وَعَنْ أَنَسٍ قَالَ: كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَا يَغْدُو يَوْمَ الْفِطْرِ حَتَّى يَأْكُلَ تَمَرَاتٍ وَيَأْكُلَهُنَّ وِتْرًا. رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ
ব্যাখ্যা: (لَا يَغْدُوْ يَوْمَ الْفِطْرِ حَتّى يَأْكُلَ تَمَرَاتٍ) রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঈদুল ফিতরের দিনে ঈদগাহের উদ্দেশে বের হতেন না যতক্ষণ না তিনি কয়েকটি খেজুর খেতেন। ইবনু হিব্বান ও হাকিমে এসেছে তিনটি, পাঁচটি, সাতটি বা এর চেয়ে কম বা বেশি বেজোড় সংখ্যা খেতেন। আর এটা সুস্পষ্ট যে, তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) নিয়মিত এমনটি করতেন।
মুহলিব বলেনঃ সালাতের পূর্বে খাওয়ার হিকমাত হল কোন অভিযোগকারী যেন ধারণা করতে না পারে যে, তিনি ঈদের সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) পর্যন্ত সওম অবস্থায় রয়েছেন মনে হয় এ পথকে বন্ধ করার জন্য ইচ্ছে করেছেন।
আর খেজুর খাওয়ার হিকমাত হলঃ তাতে মিষ্টি রয়েছে যা চক্ষুকে শক্তিশালী করে তোলে যাকে সওম দুর্বল করে দিয়েছিল। আর সুস্বাদু ঈমানের অনুকূলে হয় এবং এটা দ্বারা হৃদয়কে নরম করে আর এটা অন্য কিছুর চেয়ে সহজলব্ধ। আর বেজোড় সংখ্যা দ্বারা আল্লাহর একত্ববাদের প্রতি ইঙ্গিত করা অনুরূপ সকল কাজে রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বেজোড়ের মাধ্যমে বারাকাত নিতেন।