১৪১৯

পরিচ্ছেদঃ ৪৫. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - খুতবাহ্ ও সালাত

১৪১৯-[১৯] আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি (ইমামের সাথে) জুমু’আর (সালাতের) এক রাক্’আত পেয়েছে, সে যেন এর সাথে দ্বিতীয় রাক্’আত যোগ করে। আর যার দু’ রাক্’আতই ছুটে গেছে, সে যেন চার রাক্’আত আদায় করে; অথবা বলেছেন, সে যেন যুহরের সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায় করে নেয়। (দারাকুত্বনী)[1]

وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «من أدْرك من الْجُمُعَة رَكْعَة فَليصل إِلَيْهَا أُخْرَى وَمَنْ فَاتَتْهُ الرَّكْعَتَانِ فَلْيُصَلِّ أَرْبَعًا» أَو قَالَ: «الظّهْر» . رَوَاهُ الدَّارَقُطْنِيّ

وعن ابي هريرة رضي الله عنه قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: «من ادرك من الجمعة ركعة فليصل اليها اخرى ومن فاتته الركعتان فليصل اربعا» او قال: «الظهر» . رواه الدارقطني

ব্যাখ্যা: কেউ বলেছেন অত্র হাদীসে রাক্‘আত দ্বারা রুকু’ উদ্দেশ্য। ইবনু হাজার (রহঃ) বলেনঃ সালাত (ফউত) ছুটে যাওয়ার অর্থ হলোঃ দ্বিতীয় রাক্‘আতের রুকু’র পরে ইমামকে পাওয়া। জুমু‘আর দু’ রাক্‘আত অন্য সকল সালাতের মধ্যে পার্থক্য হলোঃ জুমু‘আর সালাতটা ২ রাক্‘আতে পরিপূর্ণ এবং তা বিশুদ্ধ হওয়ার জন্য জামা‘আত শর্ত। কাজেই পূর্ণ রাক্‘আত না পাওয়া গেলে জুমু‘আহ্ পাওয়া যাবে না। এ হাদীস দ্বারা ইমাম শাফি‘ঈ (রহঃ) তাদের মত অনুযায়ী দলীল গ্রহণ করেছেন যে, যার জুমু‘আর সালাতে দ্বিতীয় রাক্‘আতের রুকু’ ছুটে যাবে এবং সিজদা কিংবা তাশাহুদে প্রবেশ করবে অর্থাৎ ইমামের সাথে সিজদা্ (সিজদা/সেজদা) কিংবা তাশাহুদ পেলে, যুহরের চার রাক্‘আত আদায় করতে হবে। তার জন্য জুমু‘আর দু’ রাক্‘আতের উপর সংক্ষেপ করা যাবে না। কিন্তু এ হাদীস দ্বারা দলীল গ্রহণ করা মাওকূফ এ কারণে যে, হাদীসে রাক্‘আত দ্বারা রুকু’ উদ্দেশ্য এবং দারাকুত্বনী ও বায়হাক্বীর বর্ণনা দ্বারাও তার জন্য দলীল গ্রহণ করা যায়।

(مَنْ أَدْرَكَ مِنَ الْجُمُعَةِ رَكْعَةً) অর্থাৎ যে জুমু‘আর এক রাক্‘আত ইমামের সাথে পাবে সে অন্য রাক্‘আত আদায় করবে। আর যদি তাদেরকে (জামা‘আত) বসাবস্থায় পায় তবে চার রাক্‘আত যুহর আদায় করে নিবে। কিন্তু এ হাদীসের সানাদে সালিহ ইবনু আবী আল আখজার আল বসরী নামক রাবী রয়েছে, ইবনু মা‘ঈন, আহমাদ, বুখারী, নাসায়ী, ইয়াহ্ইয়া ইবনু আল ক্বাত্তান, আবূ যুর‘আহ্, আবূ হাতিম, ইবনু ‘আদী এবং আল-আজলী (রহঃ) প্রমুখগণ তাকে য‘ঈফ বলেছেন।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৪: সালাত (كتاب الصلاة)