১৪১১

পরিচ্ছেদঃ ৪৫. প্রথম অনুচ্ছেদ - খুতবাহ্ ও সালাত

১৪১১-[১১] জাবির (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খুতবাহ্ দেয়ার সময় বলেছেনঃ তোমাদের কেউ জুমু’আর দিন ইমামের খুতবাহ্ চলাকালে মসজিদে উপস্থিত হলে সে যেন সংক্ষেপে দু’ রাক্’আত (নফল) সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায় করে নেয়। (মুসলিম)[1]

بَابُ الْخُطْبَةِ وَالصَّلَاةِ

وَعَنْ جَابِرٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسلم وَهُوَ يخْطب: «إِذَا جَاءَ أَحَدُكُمْ يَوْمَ الْجُمُعَةِ وَالْإِمَامُ يَخْطُبُ فليركع رَكْعَتَيْنِ وليتجوز فيهمَا» . رَوَاهُ مُسلم

وعن جابر قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم وهو يخطب: «اذا جاء احدكم يوم الجمعة والامام يخطب فليركع ركعتين وليتجوز فيهما» . رواه مسلم

ব্যাখ্যা: এখানে আদেশটি মুস্তাহাবের জন্য। এ হাদীসের দলীল হলো যে, জুমু‘আর দিনে তাহিয়্যাতুল মাসজিদ শারী‘আত সম্মত এবং ইমামের খুতবাহ্ চলা অবস্থায়ও তা আদায় করা মুস্তাহাব এবং হাসান, ইবনু ‘উয়াইনাহ্, শাফি‘ঈ, আহমাদ, ইসহাক্ব, মাকহূল, আবূ সাওর ও ইবনুল মুনযির (রহঃ) প্রমুখগণ এ মতই গ্রহণ করেছেন, ইমাম নাবাবী ফকীহ মুহাদ্দিসীনদের থেকে বর্ণনা করেছেন।

এখানে দলীল হলোঃ খুতবাহ্ চলা অবস্থায় তাহিয়্যাতুল মাসজিদ খুতবাহ্ শ্রবণের সাথে সংক্ষেপ হওয়া উচিত। তবে তা খুতবাহ্ চলা অবস্থায় আদায় করা যে শারী‘আত সম্মত এতে কোন দ্বিমত নেই। এ হাদীস ইমাম মালিক ও আবূ হানীফাহ্ (রহঃ)-এর বিরুদ্ধ দলীল; তাদের মত হলো খুতবাহ্ চলা অবস্থায় তাহিয়্যাতুল মাসজিদ আদায় করা নিষিদ্ধ এবং তাদের অনুসারীগণ এ হাদীসের জবাবও দিয়েছেন যে,

আলোচ্য হাদীস আল্লাহ তা‘আলার কথার ‘‘যখন কুরআন তিলাওয়াত করা হয় তখন তোমরা তা শোন এবং নীরব থাকো’’- (সূরাহ্ আল আ‘রাফ ৭ : ২০৪) সাথে সাংঘর্ষিক এবং ত্ববারানীর বর্ণনায় ইবনু ‘উমার (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত রয়েছে যে, ইমামের খুতবাহ্ চলা অবস্থায় যদি তোমাদের কেউ মসজিদে প্রবেশ করে তবে ইমামের খুতবাহ্ শেষ না হওয়া পর্যন্ত কোন সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) ও কথা বলা যাবে না।

তার জবাবে বলা যায় যে, প্রথমতঃ আয়াতের ক্ষেত্রেঃ সমস্ত খুতবাটি কুরআন নয়, তাতে যা রয়েছে তা কুরআনের কিছু অংশ, সুতরাং তার জবাব হাদীসের জবাবের অনুরূপ আর তা হলো মসজিদে প্রবেশের সাথে খাস। দ্বিতীয়তঃ হাদীসের ক্ষেত্রঃ ইবনু ‘উমার (রাঃ)-এর বর্ণিত হাদীস য‘ঈফ, তাতে আইয়ূব ইবনু নাহীক তিনি মুনকার। তবে এ ব্যাপারে বিশুদ্ধ হাদীসগুলোর মাঝে কোন বৈপরীত্য নেই। অনুরূপ বিবরণ ফাতহুল বারীতেও রয়েছে।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৪: সালাত (كتاب الصلاة)