১৩৫৭

পরিচ্ছেদঃ ৪২. প্রথম অনুচ্ছেদ - জুমু‘আর সালাত

১৩৫৭-[৪] আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ জুমু’আর দিনে এমন একটি মুহূর্ত রয়েছে, সে মুহূর্তটি যদি কোন মু’মিন বান্দা পায় আর আল্লাহর নিকট কোন কল্যাণ কামনা করে, আল্লাহ তা’আলা তাকে তা দান করেন। মুসলিম; অন্য এক বর্ণনায় ইমাম মুসলিম এ শব্দগুলোও নকল করেছেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ সে সময়টা খুবই ক্ষণিক হয়। বুখারী ও মুসলিমের অপর এক বর্ণনায় এ শব্দগুলো বর্ণিত হয়েছে যে, তিনি বলেছেনঃ নিঃসন্দেহে জুমু’আর দিনে এমন একটি ক্ষণ আসে যে ক্ষণে যদি কোন মু’মিন বান্দা সালাতের জন্য দাঁড়াতে পারে এবং আল্লাহর নিকট কল্যাণের জন্য দু’আ করে, তাহলে আল্লাহ তাকে অবশ্যই সে কল্যাণ দান করেন।[1]

بَابُ الْجُمُعَةِ

وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: إِنَّ فِي الْجُمُعَةِ لَسَاعَةً لَا يُوَافِقُهَا عَبْدٌ مُسْلِمٌ يَسْأَلُ اللَّهَ فِيهَا خَيْرًا إِلَّا أعطَاهُ إِيَّاه. وَزَاد مُسلم: «وَهِيَ سَاعَةٌ خَفِيفَةٌ» . وَفِي رِوَايَةِ لَهُمَا قَالَ: «إِنَّ فِي الْجُمُعَةِ لَسَاعَةً لَا يُوَافِقُهَا مُسْلِمٌ قَائِم يُصَلِّي يسْأَل لاله يخرا إِلَّا أعطَاهُ إِيَّاه»

وعن ابي هريرة رضي الله عنه قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: ان في الجمعة لساعة لا يوافقها عبد مسلم يسال الله فيها خيرا الا اعطاه اياه. وزاد مسلم: «وهي ساعة خفيفة» . وفي رواية لهما قال: «ان في الجمعة لساعة لا يوافقها مسلم قاىم يصلي يسال لاله يخرا الا اعطاه اياه»

ব্যাখ্যা: জুমু‘আর দিনের সংক্ষিপ্ত সময়ে যার চাওয়াটা উক্ত সময়ানুযায়ী হবে, খাস করে ওই মুসলিমকে কল্যাণ দান করা হবে। তার প্রার্থনা অনুযায়ী এবং তা শীঘ্রই কিংবা বিলম্বে দেয়া হতে পারে। যেমন- আবূ লুবাবাহ্ (রাঃ) বর্ণিত হাদীসে রয়েছে যে, যতক্ষণ হারাম বস্ত্ত না চাইবে। সা‘দ ইবনু ‘উবাদাহ্ (রাঃ) বর্ণিত হাদীস মুসনাদে আহমাদে রয়েছে যে, যতক্ষণ পাপের বিষয় অথবা আত্মীয়তার সম্পর্কের ছিন্নতা না চাইবে, ততক্ষণ তার চাওয়া অনুযায়ী দেয়া হবে।

(وَهِيَ سَاعَةٌ خَفِيفَةٌ) অর্থাৎ সংক্ষিপ্ত ও মহত্ত্বপূর্ণ সময়। তাদের অপর বর্ণনায় রয়েছে যে, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাত দ্বারা ইশারা করলেন যেন সেটা অতি সামান্য সময়। প্রিয় পাঠক! জেনে রাখুন যে, এ আবশ্যকীয় সময় নির্ধারণে পরস্পর বিরোধী হাদীস বর্ণিত হয়েছে এবং তার পরবর্তী সাহাবী, তাবি‘ঈ ও তাদের পরবর্তীদের মাঝেও মতপার্থক্য রয়েছে এবং তা ৪০-এরও অধিক, হাফিয আসক্বালানী তার মধ্য হতে দু’টি মতকে প্রাধান্য দিয়েছেন। তিনি হাদীসটি উল্লেখ করার পর বলেনঃ কোন সন্দেহ নেই যে, আমি উল্লেখিত মতামতগুলো থেকে আবূ মূসা (রাঃ)-এর হাদীসকেই প্রাধান্য দেই, অর্থাৎ ইমামের মিম্বারে বসা থেকে সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) শেষ করা পর্যন্ত সময়টুকু এবং ‘আবদুল্লাহ ইবনু সালাম (রাঃ)-এর হাদীস তিনি আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) বর্ণিত হাদীস উদ্দেশ্য করেছেন। আর তা হলো ‘‘নিশ্চয় সেটার শেষ সময় হলো জুমু‘আর দিনের ‘আসর পর পর্যন্ত।’’ আল্লামা ত্ববারানী (রহঃ) বলেনঃ অধিক বিশুদ্ধ হাদীস হলো আবূ মূসা (রাঃ) বর্ণিত হাদীস। আর অধিক প্রসিদ্ধ মত হলো ‘আবদুল্লাহ ইবনু সালাম (রাঃ)-এর মত। (আল্লাহ তা‘আলাই ভাল জানেন)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৪: সালাত (كتاب الصلاة)