১৩৫৬

পরিচ্ছেদঃ ৪২. প্রথম অনুচ্ছেদ - জুমু‘আর সালাত

১৩৫৬-[৩] আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যেসব দিনে সূর্য উদিত হয় তার মধ্যে সবচেয়ে উত্তম দিন হলো জুমু’আর দিন। এ দিনে আদম (আঃ)-কে সৃষ্টি করা হয়েছে। এ দিনে তাঁকে জান্নাতে প্রবেশ করানো হয়েছে। এ দিনে তাঁকে জান্নাত থেকে বের করে (দুনিয়ায় পাঠিয়ে) দেয়া হয়েছে। আর ক্বিয়ামাত (কিয়ামত) ও এ জুমু’আর দিনেই ক্বায়িম হবে। (মুসলিম)[1]

بَابُ الْجُمُعَةِ

وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «خَيْرُ يَوْمٍ طَلَعَتْ عَلَيْهِ الشَّمْسُ يَوْمُ الْجُمُعَةِ فِيهِ خُلِقَ آدَمُ وَفِيهِ أُدْخِلَ الْجَنَّةَ وَفِيه أخرج مِنْهَا وَلَا تقوم السَّاعَة لَا فِي يَوْم الْجُمُعَة» . رَوَاهُ مُسلم

وعن ابي هريرة رضي الله عنه قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: «خير يوم طلعت عليه الشمس يوم الجمعة فيه خلق ادم وفيه ادخل الجنة وفيه اخرج منها ولا تقوم الساعة لا في يوم الجمعة» . رواه مسلم

ব্যাখ্যা: আলোচ্য হাদীসে (خَيْرُ) শব্দটি আধিক্য অর্থের জন্য ব্যবহার হয়েছে, অর্থ হলো নিশ্চয় জুমু‘আর দিনটি, প্রতিটি দিন (যাতে সূর্য উদিত হয়) অপেক্ষা উত্তম।

(يَوْمُ الْجُمُعَةِ) দ্বারা এখানে উদ্দেশ্য হলো নিশ্চয় দিনগুলোর শ্রেষ্ঠ দিন হলো জুমু‘আর দিন (শুক্রবার)। অতএব তা ‘আরাফার দিনের চেয়েও উত্তম। তবে ইবনুল ‘আরাবী (রহঃ) এর বিরোধিতা করেছেন এবং সহীহ ইবনু হিব্বানে জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিত মারফূ' হাদীস দ্বারা দলীল পেশ করেছেন যে, আল্লাহ তা‘আলার নিকট ‘আরাফার দিন অপেক্ষা উত্তম দিন আর নেই।

এ বৈপরীত্যের সমাধানে আল্লামা ‘ইরাক্বী (রহঃ) বলেনঃ জুমু‘আর দিনের শ্রেষ্ঠত্বটা সপ্তাহের দিনগুলোর সাথে সম্পৃক্ত, আর ‘আরাফার দিনের শ্রেষ্ঠত্বটা বছরের দিনগুলোর সাথে সম্পৃক্ত। তবে জুমু‘আর দিনের শ্রেষ্ঠত্বের হাদীস অধিক বিশুদ্ধ।

(فِيْهِ أُدْخِلَ الْجَنَّةَ) এখানে দলীল হলো যে, আদম (আঃ)-কে জান্নাতে সৃষ্টি করা হয়নি, বরং বাহিরে সৃষ্টি করার পর তাঁকে জান্নাতে প্রবেশ করানো হয়েছে। কেউ বলেছেন, তাঁর সৃষ্টি ও জান্নাতে প্রবেশ এক দিনে হয়েছে। সুতরাং হয়ত বা তাকে এক জুমু‘আয় সৃষ্টি করা হয়েছে ও অন্য জুমু‘আয় জান্নাতে প্রবেশ করানো হয়েছে। তাকে বের করার বিষয়টাও অনুরূপ হতে পারে।

ইবনু কাসীর (রহঃ) বলেন যে, যদি তার সৃষ্টি ও জান্নাত থেকে বের করাটা একই দিনে হয় তবে বলব যে, দিন হলো ৬টি; যেমন আজকে পৃথিবীর দিন। সুতরাং দুনিয়ার কয়েকটি দিন তিনি [আদম (আঃ)] জান্নাতে অবস্থান করেছেন। এখানে লক্ষণীয় বিষয় হলো যদি তাকে বের করাটা সৃষ্টির দিন ছাড়া অন্যদিন হয় তবে বলব যে, নিশ্চয় প্রতিটি দিন হাজার বছরের সমান যেমন ইবনু ‘আব্বাস, যাহহাক (রাঃ) বলেছেন এবং ইবনু জারীর তা পছন্দ করেছেন এবং এখানে তিনি লম্বা সময় বা দীর্ঘকাল উদ্দেশ্য নিয়েছেন। (আল্লাহ তা‘আলাই ভাল জানেন)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৪: সালাত (كتاب الصلاة)