পরিচ্ছেদঃ ৩৫. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - বিতরের সালাত
১২৭৭-[২৪] ’আবদুল্লাহ ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তাঁর নিকট প্রশ্ন করা হলো যে, আমীরুল মু’মিনীন মু’আবিয়াহ্ (রাঃ)-এর ব্যাপারে আপনার কিছু বলার আছে? তিনি বিতরের সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) এক রাক্’আত আদায় করেন। (এ কথা শুনে) ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) বললেন, তিনি একজন ’ফকীহ’, যা করেন ঠিক করেন।
অন্য এক বর্ণনায় আছে, ইবনু আবূ মুলায়কাহ্ বলেন, মু’আবিয়াহ্ ’ইশার সালাতের পর বিতরের সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) এক রাক্’আত আদায় করেছেন। তার কাছে ছিলেন ইবনু ’আব্বাস-এর আযাদ করা গোলাম। তিনি তা দেখে ইবনু ’আব্বাসকে ব্যাপারটি জানিয়ে দিলেন। ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) বললেন, তার সম্পর্কে কিছু বলো না। তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাহচর্যের মর্যাদা লাভ করেছেন। (বুখারী)[1]
عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قِيلَ لَهُ: هَلْ لَكَ فِي أَمِير الْمُؤمنِينَ مُعَاوِيَة فَإِنَّهُ مَا أَوْتَرَ إِلَّا بِوَاحِدَةٍ؟ قَالَ: أَصَابَ إِنَّهُ فَقِيهٌ
وَفِي رِوَايَةٍ: قَالَ ابْنُ أَبِي مُلَيْكَةَ: أَوْتَرَ مُعَاوِيَةُ بَعْدَ الْعِشَاءِ بِرَكْعَةٍ وَعِنْدَهُ مَوْلًى لِابْنِ عَبَّاسٍ فَأَتَى ابْنَ عَبَّاسٍ فَأَخْبَرَهُ فَقَالَ: دَعْهُ فَإِنَّهُ قَدْ صَحِبَ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ
ব্যাখ্যা: মু‘আবিয়াহ্ একজন ফিকহবিদ ও শারী‘আত সম্পর্কে বিজ্ঞ ব্যক্তি ছিলেন। শারী‘আত বিষয়ে তিনি ভাল জানতেন, অর্থাৎ সানাদগত দিক থেকে যা প্রমাণিত নয় তা তিনি করেননি। এ ব্যাপারে ত্বীবী (রহঃ) বলেনঃ তিনি যা জানেন না তা তিনি করবেন না। মু‘আবিয়াহ্ (রাঃ)-এর কর্মের (এক রাক্‘আত বিতর পড়ার) মাধ্যমে ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) এক রাক্‘আত বিতর শারী‘আত সম্মত সুন্নাত, এ বিষয়ে দলীল গ্রহণ করেছেন এবং এক্ষেত্রে তার (এক রাক্‘আত বিতর পড়ার) পূর্বে কোন নফল সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) বিতরের সাথে যুক্ত করা ওয়াজিব নয়, আর এ ব্যাপারে (শুধু এক রাক্‘আত বিতর সালাত আদায় করার ব্যাপারে) অনেক হাদীস রয়েছে। যেমন পূর্বে অতিবাহিত হয়েছে এবং অসংখ্য সাহাবী এক রাক্‘আত বিতর পড়তেন। তাদের মধ্য সা‘দ ইবনু আবী ওয়াক্কাস (রাঃ), ইমাম বুখারী তা দা‘ওয়াতুল কাবীরে বর্ণনা করেছেন এবং ‘উসমান ইবনু ‘আফফান, ‘উমার ইবনু খাত্ত্বাব, আবূ দারদাহ্, ফুজালাহ্ ইবনু ‘উবায়দ, মু‘আয ইবনু জাবাল, আবূ ‘উমামাহ্ (রাঃ) প্রমুখগণ, তাঁদের ব্যাপারে বর্ণনা করেছেন যথাক্রমে, ত্বহাবী, দারাকুত্বনী, বায়হাক্বী, তার মারেফা ও সুনান গ্রন্থে, এর প্রত্যেকটি হাদীসে তাদের কথাকে প্রত্যাখ্যান করছে, যারা মনে করেন যে, এক রাক্‘আত বিতর শারী‘আত সম্মত নয় এবং মনে করেন যে, এক রাক্‘আত বিতরের সাথে জোর সংখ্যক নফল সালাত যুক্ত করা ওয়াজিব। এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা পূর্বে করা হয়েছে বিধায় এখানে ছেড়ে দেয়া হলো।