১২৭৬

পরিচ্ছেদঃ ৩৫. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - বিতরের সালাত

১২৭৬-[২৩] ’আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর বিতরের সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) শেষে এ দু’আ পড়তেনঃ

’’আল্ল-হুম্মা ইন্নী আ’ঊযু বিরিযা-কা মিন সাখাতিকা ওয়া বিমু’আ-ফা-তিকা মিন ’উকূবাতিকা ওয়া আ’ঊযু বিকা মিনকা, লা- উহসী সানা-য়ান ’আলায়কা, আন্‌তা কামা- আসনায়তা ’আলা- নাফসিকা’’

(অর্থাৎ ’হে আল্লাহ! আমি পানাহ চাই তোমার সন্তুষ্টির মাধ্যমে তোমার গজব থেকে, তোমার নিরাপত্তার মাধ্যমে তোমার ’আযাব থেকে। আমি পানাহ চাই তোমার নিকট তোমার [অসন্তোষ] থেকে। তোমার প্রশংসা বর্ণনা করে আমি শেষ করতে পারবো না। তুমি তেমন, যেমন তুমি তোমার বিবরণ দিয়েছ।)। (আবূ দাঊদ, তিরমিযী, নাসায়ী, ইবনু মাজাহ)[1]

وَعَنْ عَلِيٍّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: إِنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَقُولُ فِي آخِرِ وَتْرِهِ: «اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِرِضَاكَ من سخطك وبمعافاتك من عُقُوبَتك وَأَعُوذ بك مِنْكَ لَا أُحْصِي ثَنَاءً عَلَيْكَ أَنْتَ كَمَا أَثْنَيْتَ عَلَى نَفْسِكَ» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ وَالتِّرْمِذِيُّ وَالنَّسَائِيُّ وَابْنُ مَاجَهْ

وعن علي رضي الله عنه قال: ان النبي صلى الله عليه وسلم كان يقول في اخر وتره: «اللهم اني اعوذ برضاك من سخطك وبمعافاتك من عقوبتك واعوذ بك منك لا احصي ثناء عليك انت كما اثنيت على نفسك» . رواه ابو داود والترمذي والنساىي وابن ماجه

ব্যাখ্যা: আলোচ্য হাদীসে বিতরের পর যিকর করা শারী‘আত সম্মত সুন্নাত এ বিবরণ রয়েছে। আল্লামা মীরাক (রহঃ) বলেনঃ নাসায়ীর এক রিওয়ায়াতে রয়েছে যে, তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) শেষে উক্ত স্থানে বসা অবস্থায় এ দু‘আ পড়তেন। মুল্লা ‘আলী ক্বারী (রহঃ) অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। ইবনুল ক্বইয়্যূম (রহঃ) যাদুল মা‘আদণ্ড ১ম খন্ডের ৮৯ পৃষ্ঠায় ও শাওকানী (রহঃ) তুহফাতুয্ যাকিরীন-এর ১২৯ পৃষ্ঠায় অনুরূপ বর্ণনা করেছেন, যা সানাদী (রহঃ)-এর কথাকে প্রত্যাখ্যান করছে। তিনি বলেন যে, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিতরের ক্বিয়ামের পর কুনূত হিসেবে পড়েছেন। তবে ‘আয়িশাহ্ (রাঃ)-এর বর্ণিত হাদীস باب السجود ‘‘সাজদার অধ্যায়ে’’ চলে গেছে। সেখানে তিনি বলেছেন যে, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাজদাতে উক্ত দু‘আ পড়েছেন। হাফিয ইবনুল ক্বইয়্যূম (রহঃ) বলেনঃ উক্ত দু‘আ সালাতে এবং সালাতের পরেও পড়া যেতে পারে।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৪: সালাত (كتاب الصلاة)