পরিচ্ছেদঃ ৩৩. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - ক্বিয়ামুল লায়ল-এর প্রতি উৎসাহ দান
১২২৯-[১১] ’আমর ইবনু ’আবাসাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেনঃ আল্লাহ তা’আলা শেষ রাত্রেই বান্দার বেশী নিকটতম হন। তাই সে সময় তোমরা আল্লাহর যিকরকারীদের মাঝে শামিল হওয়ার চেষ্টা করতে যদি পারো অবশ্যই করো। (তিরমিযী; তিনি বলেছেন, এ হাদীসটি হিসেবে হাসান সহীহ, সানাদগত দিক থেকে গরীব)[1]
وَعَن عَمْرو بن عبسة قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَقْرَبُ مَا يَكُونُ الرَّبُّ مِنَ الْعَبْدِ فِي جَوْفِ اللَّيْلِ الْآخِرِ فَإِنِ اسْتَطَعْتَ أَنْ تَكُونَ مِمَّنْ يَذْكُرُ اللَّهَ فِي تِلْكَ السَّاعَةِ فَكُنْ» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَقَالَ: هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيب إِسْنَادًا
ব্যাখ্যা: ইতিপূর্বে আল্লাহ তা‘আলার দুনিয়ার আসমানে অবতরণ সংক্রান্ত হাদীসের ব্যাখ্যা যেভাবে হয়ে গেছে, রাত গভীরে সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায়কারীর নিকটে হওয়া সংক্রান্ত অত্র হাদীসটির ব্যাখ্যাও ঠিক একইরূপ। এখানে আল্লাহর নিকটে হওয়া মানে তার রহমাত, মাগফিরাত ইত্যাদি নিকটে হওয়া। এ কথার প্রমাণ বিভিন্নভাবে পাওয়া যায়, যেমন আল্লাহর বাণীঃ وَاسْجُدْ وَاقْتَرِبْ ‘সিজদা্ কর এবং নৈকট্য অর্জন কর’- (সূরাহ্ আল ‘আলাক্ব ৯৬ : ১৯)। এতে আরো জ্ঞাতব্য যে, আল্লাহর দয়া এবং তাওফীক বান্দার ‘আমলের উপর অগ্রগামী এবং ‘আমলের কারণও এটাই। আল্লাহর অনুগ্রহ ও তাওফীক না হলে বান্দার দ্বারা কখনো কোন কল্যাণ সম্পাদিত হতো না।