১২২৮

পরিচ্ছেদঃ ৩৩. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - ক্বিয়ামুল লায়ল-এর প্রতি উৎসাহ দান

১২২৮-[১০] আবূ সা’ঈদ আল্ খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেনঃ তিন প্রকার লোকদের প্রতি নজর করে আল্লাহ তা’আলা হাসেন (অর্থাৎ তাদের ওপর খুশী হন)। ঐ লোক, যে রাতে উঠে (তাহাজ্জুদের) সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায় করেন। (দ্বিতীয়) ঐ লোক, যারা সালাতে কাতারবন্দী হয়ে দাঁড়ায়। (তৃতীয়) ঐ লোকজন, যারা (দীনের) দুশমনদের সঙ্গে যুদ্ধ করার জন্যে কাতারবদ্ধ হয়ে দাঁড়ায়। (শারহুস্ সুন্নাহ্)[1]

وَعَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: ثَلَاثَةٌ يَضْحَكُ اللَّهُ إِلَيْهِمْ الرَّجُلُ إِذَا قَامَ بِاللَّيْلِ يُصَلِّي وَالْقَوْمُ إِذَا صَفُّوا فِي الصَّلَاةِ وَالْقَوْمُ إِذَا صَفُّوا فِي قِتَالِ الْعَدُوِّ. رَوَاهُ فِي شَرْحِ السّنة

وعن ابي سعيد الخدري قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: ثلاثة يضحك الله اليهم الرجل اذا قام بالليل يصلي والقوم اذا صفوا في الصلاة والقوم اذا صفوا في قتال العدو. رواه في شرح السنة

ব্যাখ্যা: এখানে আল্লাহর হাসি অর্থ হলো তার সন্তুষ্টি এবং কল্যাণের ইচ্ছা। কেউ বলেছেন, তার প্রশস্ত দয়া ও অনুগ্রহ নিয়ে বান্দার দিকে এগিয়ে আসা বা নিকট হওয়া। অথবা আল্লাহ তার মালায়িকাহকে খুশি ও হাসির নির্দেশ প্রদান করা। ইমাম ইবনু হিব্বান (রহঃ) বলেছেন, এটা (আল্লাহর) নির্দেশকে তার কর্মের দিকে সম্পর্ক করা, ‘আরাবী ভাষার কথপকথনে এটা অধিকহারে ব্যবহার হয়ে থাকে। আরব্য পরিভাষায় বলা হয় হাসি বা অনুরূপ কার্য যদি আল্লাহর দিকে সম্পর্কিত হয় তখন সেটা অপরের দ্বারা সম্পাদনের অর্থ দেয়। মুহাক্কিক ‘উলামাদের মাযহাব হলো এটা সিফাতে সিমাইয়া, সাদৃশ্যবিহীন তার সত্যতা ও যথার্থতা স্বীকৃত। যেমন ইমাম মালিক (রহঃ)-কে ‘ইস্‌তাওয়া’ অর্থাৎ আল্লাহ ‘আরশে সমাসীন’ এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি উত্তরে বলেন, ‘ইসতাওয়া’ এটাতো জানা, কিন্তু তার ধরণ ও প্রকৃতি অজানা বিষয়, তবে তার উপর ঈমান গ্রহণ ওয়াজিব। আর এতদ বিষয়ে প্রশ্ন করা বিদ্‘আত। সুতরাং আল্লাহর হাসির ধরণ প্রকৃতি ও অর্থ তার জন্য যেভাবে প্রযোজ্য ও শোভন সেভাবেই।


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৪: সালাত (كتاب الصلاة)