১১৯৯

পরিচ্ছেদঃ ৩১. প্রথম অনুচ্ছেদ - রাতের সালাত

১১৯৯-[১২] ’আবদুল্লাহ ইবনু মাস্’ঊদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, যেসব সূরাহ্ পরস্পর একই রকমের ও যেসব সূরাকে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একসাথে করতেন আমি এগুলোকে জানি। তাই ’আবদুল্লাহ ইবনু মাসঊদ তাঁর ক্রমিক অনুযায়ী বিশটি সূরাহ্ যা (তিওয়াতে) মুফাস্‌সালের প্রথমদিকে তা গুণে গুণে বলে দিয়েছেন। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ সূরাগুলোকে এভাবে একত্র করতেন যে, এক এক রাক্’আতে দু’ দু’টি সূরাহ্ পাঠ করতেন। আর বিশটি সূরার শেষের দু’টি হলো, (৪৪ নং সূরাহ্) হা-মীম আদ্ দুখা-ন ও (৭৮ নং সূরাহ্) ’আম্মা ইয়াতাসা-আলূন। (বুখারী, মুসলিম)[1]

بَابُ صَلَاةِ اللَّيْلِ

وَعَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ قَالَ: لَقَدْ عَرَفْتُ النَّظَائِرَ الَّتِي كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقْرِنُ بَيْنَهُنَّ فَذَكَرَ عِشْرِينَ سُورَةً مِنْ أَوَّلِ الْمُفَصَّلِ عَلَى تَأْلِيفِ ابْنِ مَسْعُودٍ سُورَتَيْنِ فِي رَكْعَةٍ آخِرُهُنَّ (حم الدُّخان)
و (عَم يتساءلون)

وعن عبد الله بن مسعود قال: لقد عرفت النظاىر التي كان النبي صلى الله عليه وسلم يقرن بينهن فذكر عشرين سورة من اول المفصل على تاليف ابن مسعود سورتين في ركعة اخرهن (حم الدخان) و (عم يتساءلون)

ব্যাখ্যা: (يَقْرِنُ بَيْنَهُنَّ) যে সূরাগুলো তিনি মিলাতেন অর্থাৎ একই রাক্‘আতে যে দুই, দুই সূরাহ্ পাঠ করতেন ইবনু মাস্‘ঊদ (রাঃ) মুফাসসাল থেকে এরূপ বিশটি সূরাহ্ উল্লেখ করেন। সূরাগুলো হলোঃ

১। সূরাহ্ আর্ রহমা-ন ও সূরাহ্ আন্ নাজম একই রাক্‘আতে।

২। ইক্বতারাবাত (সূরাহ্ আল ক্বামার) ও সূরাহ্ আল হা-ক্বক্বাহ্ একই রাক্‘আতে।

৩। সূরাহ্ আত্ব তূর ও সূরাহ্ আয্ যা-রিয়া-ত একই রাক্‘আতে।

৪। সূরাহ্ ওয়াক্বি‘আহ্ ও সূরাহ্ আল ক্বালাম একই রাক্‘আতে।

৫। সূরাহ্ আল মা‘আরিজ ও সূরাহ্ আন্ নাযি‘আত একই রাক্‘আতে।

৬। সূরাহ্ আল মুতাফফিফীন ও সূরাহ্ ‘আবাসা একই রাক্‘আতে।

৭। সূরাহ্ আল মুদ্দাস্‌সির ও সূরাহ্ আল মুযযাম্মিল একই রাক্‘আতে।

৮। সূরাহ্ আদ্ দাহর (ইনসান) ও সূরাহ্ আল ক্বিয়া-মাহ্ এবং রাক্‘আতে।

৯। সূরাহ্ আন্ নাবা- ও সূরাহ্ সালাত একই রাক্‘আতে।

১০। সূরাহ্ আদ্ দুখা-ন ও সূরাহ্ আত্ তাকভীর একই রাক্‘আতে। এটি ইবনু মাস্‘ঊদ (রাঃ) সংকলিত মুসহাফের ক্রমিক অনুযায়ী।

এতে বুঝা যায় যে, ‘উসমান (রাঃ) সংকলিত মুসহাফ এবং ইবনু মাস্‘ঊদ (রাঃ) সংকলিত মুসহাফের ক্রমধারায় পার্থক্য রয়েছে। ক্বাযী আবূ বাকর বাক্বিল্লানী (রহঃ) বলেন, আমাদের নিকট যে ক্রম ধারায় সংকলিত মুসহাফ বিদ্যমান, হতে পারে যে তা নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নির্দেশক্রমে সাজানো হয়েছে। এ সম্ভাবনাও রয়েছে যে, সাহাবীদের ইজতিহাদের ভিত্তিতে তা সাজানো হয়েছে। তবে বুখারীর একটি বর্ণনা প্রথম অভিমতকে সমর্থন করে। আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রতি বৎসর জিবরীল (আঃ) কে কুরআন পাঠ করে শুনাতেন। এখানে যা প্রকাশমান তা হলো নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে এ ক্রমধারা অনুযায়ী পাঠ করে শুনিয়েছেন।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৪: সালাত (كتاب الصلاة)