১১৪৫

পরিচ্ছেদঃ ২৮. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - মুক্তাদীর ওপর ইমামের যা অনুসরণ করা কর্তব্য এবং মাসবূকের হুকুম

১১৪৫-[১০] আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেনঃ যে লোক উযূ (ওযু/ওজু/অজু) করেছে এবং ভালভাবে সে তার উযূ সমাপ্ত করেছে। তারপরে মসজিদে গিয়েছে। সেখানে লোকদেরকে সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায় করে ফেলা অবস্থায় পেয়েছে। আল্লাহ তা’আলা তাকে ঐ সালাত আদায়কারীদের সমান সাওয়াব দান করবেন যারা সেখানে হাযির হয়ে সালাত পুরা করেছে। অথচ তাতে তাদের পুণ্য একটুও কমতি হবে না। (আবূ দাঊদ, নাসায়ী)[1]

وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ تَوَضَّأَ فَأَحْسَنَ وُضُوءَهُ ثُمَّ رَاحَ فَوَجَدَ النَّاسَ قَدْ صَلَّوْا أَعْطَاهُ اللَّهُ مِثْلَ أَجْرِ مَنْ صَلَّاهَا وَحَضَرَهَا لَا يَنْقُصُ ذَلِكَ م أُجُورهم شَيْئا» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُد وَالنَّسَائِيّ

وعن ابي هريرة رضي الله عنه قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: «من توضا فاحسن وضوءه ثم راح فوجد الناس قد صلوا اعطاه الله مثل اجر من صلاها وحضرها لا ينقص ذلك م اجورهم شيىا» . رواه ابو داود والنساىي

ব্যাখ্যা: (ثُمَّ رَاحَ) অতঃপর সে মসজিদের দিকে গেল। হাদীসে (رَواحَ) দ্বারা সাধারণ যাওয়া উদ্দেশ্য। একে নাসায়ীর এক বর্ণনা সমর্থন করছে। তাতে আছে ‘‘অতঃপর সে সালাতের উদ্দেশে বের হল’’।

(قَدْ صَلَّوْا) তারা (জামা‘আতের সাথে) সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায় করে নিয়েছে।

(أَعْطَاهُ) ঐ ব্যক্তিকে যে জামা‘আতের সালাত শেষ হওয়ার পর আগমন করেছে।

(مِثْلَ أَجْرِ مَنْ صَلَّاهَا) জামা‘আতের সাথে যে সালাত আদায় করেছে।

(لَا يَنْقُصُ ذلِكَ) আল্লাহ তাকে তাদের সাওয়াবের মতো সাওয়াব দিবেন।

(من أُجُورهم) আবূ দাঊদে আছে (أُجرهم) এক বচন দ্বারা আওনুল মা‘বূদ-এর হাশিয়াতে (أُجرهم) লেখা আছে। অর্থাৎ জামা‘আতে সালাত আদায়কারীদের সাওয়াব।

(شَيْئا) অর্থাৎ সাওয়াব অথবা ঘাটতি থেকে বরং তারা জামা‘আতে সালাত আদায় করার কারণে তাদের সাওয়াব পূর্ণাঙ্গভাবে ধার্য থাকবে। আর জামা‘আত ছুটে যাওয়া ব্যক্তির জামা‘আতে সালাত আদায়ের জন্য চেষ্টা করাতে জামা‘আতে সালাত আদায়কারীদের প্রত্যেকের মতো সাওয়াব তার জন্যও থাকবে। সিনদী বলেনঃ হাদীসের বাহ্যিক দিক হল নিশ্চয়ই জামা‘আতের মর্যাদা লাভ নির্ভর করে মর্যাদা লাভের উদ্দেশ্য জামা‘আতে সালাত আদায়ের জন্য চেষ্টা করার উপর। এ মর্যাদার ক্ষেত্রে কোন ঘাটতি নেই। চাই জামা‘আতে সালাত পেয়ে থাকুক বা না পেয়ে থাকুক। সুতরাং যে ব্যক্তি জামা‘আতের একটি অংশ পাবে যদিও তাশাহুদের ক্ষেত্রে হোক তাহলে সে আরও উত্তমভাবে জামা‘আত পাবে এবং পুণ্য ও মর্যাদা চেষ্টা করার মাধ্যমে যা লাভ করা হয় এ লভ্যাংশ তার অন্তর্ভুক্ত না। সুতরাং যে ব্যক্তির উক্তি হাদীসের বিরোধিতা করবে তার উক্তি মূলত এ অধ্যায়ে ধর্তব্য না। (আবূ দাঊদ)

সা‘ঈদ বিন মুসাইয়্যাব এ অধ্যায় সম্পর্কে এক আনসারী লোক থেকে বর্ণনা করেন, আনসারী বলেনঃ আমি রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি, এরপর তিনি হাদীস উল্লেখ করেন, আর তাতে আছে ‘‘অতঃপর ব্যক্তি মসজিদে এসে যদি জামা‘আতের সাথে সালাত আদায় করে তাহলে তাকে ক্ষমা করে দেয়া হবে। আর মসজিদে আসার পর যদি দেখতে পায় তারা সালাতের কিছু অংশ আদায় করে নিয়েছে এবং কিছু অংশ অবশিষ্ট আছে তাহলে এ ব্যক্তি যতটুকু পাবে তা আদায় করবে আর যতটুকু অবশিষ্ট থাকবে তা পরে আদায় করে নিবে। এ ব্যক্তির অবস্থাও অনুরূপ। আর যদি মসজিদে আসার পর দেখতে পায় মানুষ সালাত আদায় করে নিয়েছে এরপর সে এসে সালাত আদায় করবে তাহলে তার মর্যাদাও অনুরূপ।’’ আবূ দাঊদ এ হাদীসটিকে এবং বায়হাক্বীও একই সানাদে সংকলন করেছে আবূ দাঊদ ও মুনযিরী এ ব্যাপারে চুপ থেকেছেন।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৪: সালাত (كتاب الصلاة)