পরিচ্ছেদঃ ২১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - তিলাওয়াতের সিজদা্
১০৩২-[১০] উক্ত রাবী [’আবদুল্লাহ ইবনু ’উমার (রাঃ)] হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের সামনে কুরআন মাজীদ পাঠ করতেন। যখন সাজদার আয়াতে পৌঁছতেন তাকবীর বলে সিজদা্ (সিজদা/সেজদা) দিতেন। আমরাও তাঁর সাথে সিজদা্ (সিজদা/সেজদা) করতাম। (আবূ দাঊদ)[1]
وَعنهُ: أَنه كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقْرَأُ عَلَيْنَا الْقُرْآنَ فَإِذَا مَرَّ بِالسَّجْدَةِ كَبَّرَ وَسجد وسجدنا مَعَه. رَوَاهُ أَبُو دَاوُد
ব্যাখ্যা: অত্র হাদীসের শিক্ষাঃ
(১) কুরআন শ্রবণকারীর নিকট যখন তিলাওয়াতের সিজদা্ (সিজদা/সেজদা) করা হয় তখন পাঠকরীর সাথে শ্রবণকারীও সিজদা্ করবে।
(২) তিলাওয়াতের সাজদার জন্য তাকবীর বলা বিধিসম্মত।
(৩) ইমাম শাফি‘ঈ, আহমাদ এবং হানাফীদের মতে তিলাওয়াতের সিজদা্ হতে মাথা উঠানোর সময় তাকবীর বলাও বিধিসম্মত।
তিলাওয়াতের সাজদাকালে তাকবীর বলার সময় দু’হাত উত্তোলন করতে হবে কিনা এ বিষয়েও মতভেদ রয়েছে। এ সিজদা্ সালাতের ভিতরে হোক বা বাইরে হোক হানাফীদের মতে হাত উত্তোলন করতে হবে।
ইমাম শাফি‘ঈ ও আহমাদের মতে দু’হাত উত্তোলন করতে হবে। কেননা সালাতের বাইরে তা তাকবীরে ইহরাম। আর সালাতের ভিতরে হলেও অনুরূপ। তিলাওয়াতের সিজদা্ শেষে তাশাহুদ পাঠ এবং সালাম ফেরানো সম্পর্কেও মতভেদ রয়েছে।
হানাফীদের মতে তাতে তাশাহুদও নেই সালামও নেই। ইমাম আহমাদ হতে প্রসিদ্ধ বর্ণনা হচ্ছে তাতে সালাম ফেরানো ওয়াজিব তবে তাশাহুদ পাঠের প্রয়োজন নেই। তবে সঠিক কথা হচ্ছে তিলাওয়াতের সিজদা্ এর তাকবীরের সময় হাত উত্তোলন তাশাহুদ পাঠ এবং সালাম ফেরানো কোনটাই বিধি সম্মত নয়। কেননা বিধান প্রণেতা হতে এ ধরনের কোন বিষয় বর্ণিত হয়নি।