১০৩১

পরিচ্ছেদঃ ২১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - তিলাওয়াতের সিজদা্

১০৩১-[৯] ’আবদুল্লাহ ইবনু ’উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যুহরের সালাতে সিজদা্ (সিজদা/সেজদা) করলেন, তারপর কিয়াম করলেন। তারপর রুকূ’ করলেন। মানুষেরা মনে করলেন, তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তানযীল আস্ সিজদা্ সূরাহ্ পড়েছেন। (আবূ দাঊদ)[1]

وَعَنِ ابْنِ عُمَرَ: أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سَجَدَ فِي صَلَاةِ الظُّهْرِ ثُمَّ قَامَ فَرَكَعَ فَرَأَوْا أَنَّهُ قَرَأَ تَنْزِيلَ السَّجْدَةَ. رَوَاهُ أَبُو دَاوُد

وعن ابن عمر: ان النبي صلى الله عليه وسلم سجد في صلاة الظهر ثم قام فركع فراوا انه قرا تنزيل السجدة. رواه ابو داود

ব্যাখ্যা: অতঃপর ‘দাঁড়িয়ে রুকূ' করলেন’ ইবনু মালিক বলেনঃ অর্থাৎ যখন নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তিলাওয়াতের সিজদা্ (সিজদা/সেজদা) শেষ করে দাঁড়ালেন তখন রুকূ‘ করলেন। আর তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এ দাঁড়ানো অবস্থায় কোন কিছু পাঠ না করেই রুকূ' করেন যদিও দাঁড়ানোর পর ক্বিরাআত (কিরআত) করা বৈধ। মুল্লা ‘আলী ক্বারী বলেনঃ বরং তিলাওয়াতে সিজদা্ (সিজদা/সেজদা) থেকে দাঁড়িয়ে পুনরায় ক্বিরাআত (কিরআত) পাঠ করা উত্তম। এই ক্বিরাআত ত্যাগ করার কারণ এও হতে পারে যে, সালাত দীর্ঘ হয়ে যাচ্ছিল অথবা তিনি এরূপ করেছেন তা যে বৈধ তা বর্ণনা করার উদ্দেশে।

হাদীসের শিক্ষাঃ নীরবে ক্বিরাআত (কিরআত) করা হয় এমন সালাতেও তিলাওয়াতের সিজদা্ বিধিসম্মত।


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৪: সালাত (كتاب الصلاة)