৯৯৭

পরিচ্ছেদঃ ১৯. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - সালাতের মাঝে যে সব কাজ করা নাজায়িয ও যে সব কাজ করা জায়িয

৯৯৭-[২০] আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বললেন, হে আমার বৎস! সালাতে এদিক-সেদিক তাকানো থেকে সাবধান থাকো। কারণ সালাতে (ঘাড় ফিরিয়ে) এদিক-সেদিক লক্ষ্য করা ধ্বংসাত্মক কান্ড। যদি নিরুপায় হয়ে পড়ে তবে নফল সালাতের ক্ষেত্রে (অনুমতি থাকবে) ফরয সালাতের ক্ষেত্রে নয়। (তিরমিযী)[1]

وَعَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «يَا بُنَيَّ إِيَّاكَ وَالِالْتِفَاتَ فِي الصَّلَاةِ فَإِنَّ الِالْتِفَاتَ فِي الصَّلَاةِ هَلَكَةٌ. فَإِنْ كَانَ لابد فَفِي التَّطَوُّع لَا فِي الْفَرْضِيَّة» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ

وعنه قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: «يا بني اياك والالتفات في الصلاة فان الالتفات في الصلاة هلكة. فان كان لابد ففي التطوع لا في الفرضية» . رواه الترمذي

ব্যাখ্যা: ‘‘সালাতের মধ্যে অন্যদিকে দৃষ্টিপাত করা ধ্বংস’’- কেননা এতে শায়ত্বনের (শয়তানের) আনুগত্য বিদ্যমান রয়েছে, আর তা ধ্বংসের কারণ। ইমাম শাওকানী (রহঃ) বলেনঃ সালাতের মধ্যে দৃষ্টিপাতকে ধ্বংস এজন্য বলা হয়েছে যে, তা সালাতের মাধ্যমে অর্জিত সাওয়াবে স্বল্পতার কারণ ঘটিয়েছে অথবা তা আল্লাহ অভিমুখী হওয়া থেকে মানুষকে আল্লাহ বিমুখ করে দেয়। আল্লাহ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়া ধ্বংসের কারণ।

‘‘নফলের মধ্যে করা যেতে পারে ফারযের (ফরযের/ফরজের) মধ্যে নয়’’ কেননা নফলের ভিত্তিই হল নম্রতা। যেমন দাঁড়ানোর সক্ষমতা সত্ত্বেও নফল সালাত বসে আদায় করা বৈধ। অত্র হাদীস দ্বারা সাব্যস্ত হলো যে, নফল সালাতে প্রয়োজনে দৃষ্টিপাত করা বৈধ যা ফরয সালাতের জন্য প্রযোজ্য নয়।’’


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৪: সালাত (كتاب الصلاة)