৯৪৩

পরিচ্ছেদঃ ১৭. প্রথম অনুচ্ছেদ - তাশাহুদের মধ্যে দু‘আ

৯৪৩-[৫] ’আমির ইবনু সা’দ (রহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি তার পিতা সা’দ ইবনু আবূ ওয়াক্কাস (রাঃ) হতে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, আমি দেখেছি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর ডান দিকে ও বাম দিকে এভাবে সালাম ফিরাতেন যে, আমি তাঁর গালের শুভ্রতা দেখতে পেয়েছি। (মুসলিম)[1]

بَابُ الدُّعَاءِ فِي التَّشَهُّدِ

وَعَنْ عَامِرِ بْنِ سَعْدٍ عَنْ أَبِيهِ قَالَ: كُنْتُ أَرَى رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُسَلِّمُ عَنْ يَمِينِهِ وَعَنْ يَسَارِهِ حَتَّى أرى بَيَاض خَدّه. رَوَاهُ مُسلم

وعن عامر بن سعد عن ابيه قال: كنت ارى رسول الله صلى الله عليه وسلم يسلم عن يمينه وعن يساره حتى ارى بياض خده. رواه مسلم

ব্যাখ্যা: এ হাদীসটি এখানে দলীল প্রমাণ করে ডান ও বাম দিকে তাকানোর ক্ষেত্রে অতিরিক্তভাবে করা। আর জ্ঞাতব্য যে, সালাত হতে হালাল হওয়ার জন্য সালাম ফরয। এর পরিবর্তে অন্য কিছু গ্রহণযোগ্য হবে না।

কেউ যদি প্রশ্ন করে যে, সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) ভুলকারী সাহাবীকে রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সালাম শিক্ষা দেননি যদি ওয়াজিব হতো তাহলে অবশ্যই শিক্ষা দিতেন, কেননা মূলনীতি হলো প্রয়োজনের সময় ব্যাখ্যা না করা বৈধ নয়।

জবাব হলো নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সালাত ভুলকারী সাহাবীকে সব ওয়াজিব শিক্ষা দেননি যেমন তিনি তাশাহুদে  বসা এবং আরো অন্যান্য সালাতের বিষয় শিক্ষা দেননি, বরং তিনি যা ভুল দেখেছেন তা শিক্ষা দিয়েছেন।

হক কথা হলো শারী‘আতসম্মত প্রত্যেক সালাত আদায়কারীর জন্য দু’টি সালাম, তা ব্যতিরেকে সালাত বৈধ হবে না।

আর এ মাস্আলায় অসংখ্য হাদীস, খবর এবং সাহাবীগণের বক্তব্যের সন্নিবেশ ঘটেছে।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৪: সালাত (كتاب الصلاة)