পরিচ্ছেদঃ ১৩. প্রথম অনুচ্ছেদ - রুকূ‘
৮৭৭-[১০] রিফা’আহ্ ইবনু রাফি’ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর পিছনে সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায় করছিলাম। তিনি যখন রুকূ’ হতে মাথা তুলে, ’’সামি’আল্লা-হু লিমান হামিদাহ’’ বললেন (যে ব্যক্তি আল্লাহর হামদ ও সানা পাঠ করলো আল্লাহ তা শুনলেন), তখন এক ব্যক্তি ’বলল, ’’রব্বানা- লাকাল হামদু হামদান কাসীরান ত্বইয়্যিবাম্ মুবা-রকান্ ফীহ’’- (অর্থাৎ- হে আল্লাহ! তোমার জন্য প্রশংসা, অনেক প্রশংসা, যে প্রশংসা শির্ক ও রিয়া হতে পবিত্র ও মুবারক)। সালাত শেষে তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) জিজ্ঞেস করলেন, এখন এ বাক্যগুলো কে পড়ল? সেই ব্যক্তি উত্তরে বললো, আমি, হে আল্লাহর রসূল! তখন তিনি বললেন, আমি ত্রিশজনেরও অধিক মালাক দেখেছি এ কালিমার সাওয়াব কার আগে কে লিখবে, এ নিয়ে তাড়াহুড়া করছেন। (বুখারী)[1]
بَابُ الرُّكُوْعِ
وَعَنْ رِفَاعَةَ بْنِ رَافِعٍ قَالَ: كُنَّا نُصَلِّي وَرَاءَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَلَمَّا رَفَعَ رَأْسَهُ مِنَ الرَّكْعَةِ قَالَ: «سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ» . فَقَالَ رَجُلٌ وَرَاءَهُ: رَبَّنَا وَلَكَ الْحَمْدُ حَمْدًا كَثِيرًا طَيِّبًا مُبَارَكًا فِيهِ فَلَمَّا انْصَرَفَ قَالَ: «مَنِ الْمُتَكَلِّمُ آنِفًا؟» قَالَ: أَنَا. قَالَ: «رَأَيْتُ بِضْعَةً وَثَلَاثِينَ مَلَكًا يَبْتَدِرُونَهَا أَيُّهُمْ يَكْتُبهَا أول» . رَوَاهُ البُخَارِيّ
ব্যাখ্যা: হাদীসটি প্রমাণ করে যে, সেটা ছিল জামা‘আতের ফরয সালাত (সালাত/নামায/নামাজ)।
হাফিয ইবনু হাজার ফাতহুল বারীতে উল্লেখ করেছেন বিশর ইবনু ‘ইমরান আয্ যাহরানী রিফা‘আহ্ ইবনু ইয়াহ্ইয়া বর্ণনা করে সালাতটি মাগরিবের সালাত (সালাত/নামায/নামাজ)। যারা দাবী করে যে, এটি নফল সালাতে তাদের প্রত্যুত্তরে এটি শক্তিশালী দলীল।
রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সালাত শেষ করলে প্রশ্ন করলেন এ বাক্যগুলো কে বলেছে। প্রথমবারে কেউ জবাব দেয়নি। দ্বিতীয়বার আবার প্রশ্ন করেছেন, কেউ জবাব দেয়নি। তৃতীয়বার আবার প্রশ্ন করলেন। রিফা‘আহ্ ইবনু রাফি' বলেন, আমি বলেছি, হে আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম! আবার তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, কেন বললে? (উক্ত সাহাবী বলেন) আমি বাক্যগুলো বলেছি কল্যাণের আশায়।
এ হাদীস দ্বারা রুকূ'তে ধীরস্থিরতার প্রমাণ হয় এবং রুকূ' হতে ওঠার ক্ষেত্রে।