পরিচ্ছেদঃ ১৩. প্রথম অনুচ্ছেদ - রুকূ‘
৮৭৬-[৯] আবূ সা’ঈদ আল্ খুদরী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রুকূ’ হতে মাথা উঠিয়ে বলতেনঃ
’’আল্লা-হুম্মা রব্বানা- লাকাল হামদু মিল্আস্ সামা-ওয়া-তি ওয়াল আরযি ওয়া মিল্আ মা- শি’তা মিন শাইয়্যিম বা’দু আহলুস্ সানা-য়ি ওয়াল মাজদি আহাক্কু মা ক্ব-লাল ’আবদু ওয়া কুল্লুনা- লাকা ’আবদুন, আল্লা-হুম্মা লা- মা-নি’আ লিমা- আ’ত্বাইতা ওয়ালা- মু’তিয়া লিমা- মানা’তা। ওয়ালা ইয়ানফা’উ যাল জাদ্দি মিনকাল জাদ্দ’’-
(অর্থাৎ- হে আল্লাহ! হে আমাদের রব! তোমারই সব প্রশংসা। আকাশ পরিপূর্ণ ও পৃথিবী পরিপূর্ণ, এরপর তুমি যা চাও তাও পরিপূর্ণ। হে প্রশংসা ও মর্যাদার মালিক! মানুষ তোমার প্রশংসায় যা বলে তুমি তার চেয়েও অধিক প্রশংসা ও মর্যাদার অধিকারী। আমরা সকলেই তোমার গোলাম। হে আল্লাহ! তুমি যা দিবে তাতে বাধা দেবার কেউ নেই। আর তুমি যাতে বাধা দিবে তা দিতেও কেউ সমর্থ নয়। কোন সম্পদশালীর সম্পদই তোমার শাস্তি হতে তাকে রক্ষা করতে পারবে না)। (মুসলিম)[1]
بَابُ الرُّكُوْعِ
وَعَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ قَالَ: كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا رَفَعَ رَأْسَهُ مِنَ الرُّكُوعِ قَالَ: «اللَّهُمَّ رَبَّنَا لَكَ الْحَمْدُ مِلْءَ السَّمَاوَاتِ وَمِلْءَ الْأَرْضِ وَمِلْءَ مَا شِئْتَ مِنْ شَيْءٍ بَعْدُ أَهْلُ الثَّنَاءِ وَالْمَجْدِ أَحَقُّ مَا قَالَ الْعَبْدُ وَكُلُّنَا لَكَ عَبْدٌ اللَّهُمَّ لَا مَانِعَ لِمَا أَعْطَيْتَ وَلَا مُعْطِيَ لِمَا مَنَعْتَ وَلَا يَنْفَعُ ذَا الْجَدِّ مِنْكَ الْجد» . رَوَاهُ مُسلم
ব্যাখ্যা: (أَحَقُّ مَا قَالَ الْعَبْدُ) তথা বান্দা যা বলে তার চেয়ে আল্লাহ তা‘আলা অনেক বেশী যোগ্য- এ কথার দ্বারা বান্দা আল্লাহর দিকে নিজকে সোপর্দ করা ও বড়ত্ব ঘোষণা করা এবং একত্ববাদের স্বীকৃতি দেয়া আর এ কথাটির ব্যাখ্যা অন্য স্থানে এসেছে (لَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ اِلَّا بِاللهِ) ‘‘একচ্ছত্র ক্ষমতা ও শক্তির মালিক কেবলমাত্র আল্লাহ তা‘আলাই’’।
(لَا مَانِعَ لِمَا أَعْطَيْتَ وَلَا مُعْطِيَ لِمَا مَنَعْتَ) অর্থাৎ- তুমি যা দান করো তাতে বাধা দেয়ার মতো কেউ নেই আর যাতে তুমি বাধা দাও তাও দান করার মতো কেউ নেই- এ বাক্যটি কুরআনের এ আয়াতটিরই প্রতিধনিত্ব হয়েছেঃ ‘‘আল্লাহ মানুষের জন্য রহমাত বা অনুগ্রহের মধ্যে যা খুলে দেন তা ফেরাবার কেউ নেই আর তিনি যা বারণ করেন তা কেউ প্রেরণ করতে পারে না।’’ (সূরাহ্ আল ফা-ত্বির ৩৫ : ২)
(وَلَا يَنْفَعُ ذَا الْجَدِّ) উদ্দেশ্য আল্লাহর নিকট কোন কাজে আসবে না মানুষের ধন-সম্পদ, সম্মান, ক্ষমতা; উপকার আসবে শুধুমাত্র নেক আ‘মাল।
আবার কেউ বলেছেনঃ আল্লাহর শাস্তি থেকে মানুষের ধন-সম্পদ, মান-মর্যাদা রক্ষা করতে পারবে না যদি তিনি শাস্তি দিতে চান।
(وَلَا يَنْفَعُ ذَا الْجَدِّ مِنْكَ الْجَدُّ) অর্থাৎ- মানুষের প্রাণান্তকর প্রচেষ্টা ও আ‘মাল তেমন কোন উপকার আসবে না, মূলত আল্লাহর অনুগ্রহ দয়া ও রহমাতই উপকারে আসবে।
হাদীসটি প্রমাণ করে এ গুরুত্বপূর্ণ রুকনে প্রত্যেক মুসল্লীদের জন্য এ সমস্ত যিকর-আযকার শারী‘আতসম্মত।